পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। শুধু গেয়ে কথা—কী রাধলে ভাই ? কতক্ষণ রান্নার কথা বলা যায় বলতো? এর চেয়েডিহিরি গেলে খুব ভাল হত। শুনলেন। আমার কথা। গ্রামের একটা বাড়ীতে কলিকাতা হইতে এক ঘর গৃহস্থ আসিল । ক্ষেত্রবাবুর মত তাহারাও এই গ্রামের বাসিন্ধা, কলিকাতায় বাড়ী আছে, বড়বাজারে মসলার ব্যবসা করিয়া বেশ সঙ্গতিপন্ন অৰস্থা। তাহার সঙ্গে করিয়া আনিয়াছে আরও দুই ঘর বোমা-ভীত পরিবার। শেষোক্ত দলের একটি পরিবারের থাকিবার স্থান নাই, পূৰ্ব্বোক্ত গৃহস্থের প্রাচীন ঠাকুরদালানে দরমার ৰেড়া দিয়া আবরু স্বষ্টি করিয়া এক ঘর সেখানে রহিল। অপর পরিবারের জন্য গ্রামে ঘর খুজিয়া মিলিল না। সকলেই গরীব, কোটাবাড়ী বেশী নাই— যাহা দুই-একখানা আছে, তাহাতে মালিকদের নিজেদেরই কুলায় না। ক্ষেত্রবাবুর কাছে লোক আসিয়া বলিল, আপনার একখানা ঘর ভাড়া দেবেন ? ক্ষেত্রবাবু অবাক হইলেন। গ্রামের ভাঙা কুঠুরি কেহ ভাড়া লইবে, একথা কে কবে ७निग्रांtरु ? डद्रमा कब्रिब्रा वजिरजन, उी निरउ *ांति । —কী নেবেন ? ক্ষেত্রবাবু ভাবিয়া বলিলেন, তিম টাকা। লোকটি এই গ্রামেরই লোক। বলিল, তিন টাকা কেন ? পনেরো টাকা হাকুন না। তাই দেবে। ক্ষেত্রবাৰু বিম্মিত হইয়া বলিলেন, পনেরো টাকা বাড়ীভাড়া কে দেবে ? এই ভাঙা বাড়ীর একখানা ঘরের তাড়া তিন টাকা, তা-ই বেশী। পাগল ! —আপনি জানেন না। ওরা টাকার আশুিল, কারে না পড়লে কি করতে এসেছে এই পাড়াগায়ে ? ঠিক দেবে। নইলে বাড়ী পাচ্ছে কোথায় ? ক্ষেত্রবাবু হাজার হোক স্কুল-মাস্টার, অত ব্যবসাবুদ্ধিমাথায়খেলিলেআজ সতেরো আঠারো বছর ক্লার্কওয়েল সাহেবের স্কুলে পয়ত্রিশ টাকা বেতনে মাস্টারি করিবেন কেন ? তিনি স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করিতে গেলেন। অনিল বলিল, সে কী গো, ওই ঘর আবার ভাড়া! ওর আছে কী যে, ভাড়া দেবে । তারা বিপদে পড়ে এসেছে, ওই ভাঙা দুটো ঘরে থাকতে চাইছে, এতেই বোঝ। এমনি থাকতে দাও, কথা বলবার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে এক ঘর, এই না কত । ক্ষেত্রবাৰু ক্ষীণ স্বরে বলিলেন, তিনটে টাকা দিতে চাচ্ছে—আর বাড়াচ্ছি নে অবিশুি। शिक जिमt छैॉक । निहे । - -নাও গে যাও, কিন্তু আর এক পয়সা বেশী বোল না। পরদিন ক্ষেত্রবাবুর ভাঙা ঘরে ভাড়াটের আলিয়া গেল—একটি বধূ, তিন ছেলে মেয়ে, প্রৌঢ়ী নন। শোনা গেল, বন্থটির স্বামী কাজ করে ইছাপুরে বলুকের কারখানায়। ছুটি পাইলেই একবার আসিয়া দেখিয়া যাইবে । অনিলা বধূটর সঙ্গে খুব ভাব করিয়া ফেলিল,