পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వచ్చి • বিভূতি-রচনাবলী দ্রব ঠাকরুণ তাকে বল্পেন—কামু ভাই, অন্য একটা বাসা পাওয়া বায় না ? কাকু বিন্মিত হয়ে বল্পে—কেন এখানে কি হ’ল ! সত্যর মা রয়েচেন, এই তো সব চেয়ে ভালো— -ও মাগী পাগল । —পাগল ! সে কি ! —না বাৰু, বেজায় ধৰ্ম্মিষ্টি। অত ধশ্মিটি আমার পোষাবে না। আমাকে তুই সরিয়ে নিয়ে যা— কাকু কথাটা হেসে উড়িয়ে দিলে। ঠাকুরমার যেমন কাও ৷ বঙ্গে—আচ্ছা ঠাকুম, শেষবয়েসে কাশীবাস করতে এলে-ন হয় তুমিও হও একটু ধৰ্ম্মিষ্টি ! হ্যা, উনি ওই রকমই বটে। সত্য বলছিল, মা কিছুতেই দেশে থাকতে চান না। এই গত বোশেখ মাণে সত্যর ছোট ভাইয়ের বিয়ে গেল, ওঁর ছোট ছেলের—ওঁকে কত চিঠিপত্তর, কত অনুরোধ—কিছুতেই গেলেন না। বল্লেন, যে মায় একবার কাটিয়েচেন, তাতে আর জড়িয়ে পড়তে চান না। ছোট ছেলে টেলিগ্রাম পৰ্য্যস্ত করলে, কোনো ফল ह'छा ना । দ্রব ঠাকরণ অবাক হয়ে বল্পেন—বলিস কি রে কাছ, সত্যি ? —মিথ্যে বলচি তোমার কাছে ঠাকুমা ? —আমায় এখান থেকে তুই সরিয়ে দে ভাই । —ছিঃ–আচ্ছা, তুমি অত নাস্তিক কেন ঠাকুম ? ওঁর সঙ্গে থেকে একটু ধৰ্ম্ম শেখে না, চিরকালই বিষয় আর সংসার নিয়েই তো কাটালে । —হাপ লেগে মরে যাবে। যে এখানে থাকলে— —আবার ওই সব নাস্তিকের মত কথাবাৰ্ত্ত—ঠাকুমা তুমি কি ? শীত কেটে গ্রীষ্ম এল, চলেও গেল। আবার আষাঢ় মাসের প্রথম। দেশের খবর নেই অনেকদিন । ন’ঠাকরুণের চিঠি আগে আগে আসতো—গত তিন চার মাস তাও বন্ধ কথায় কথায় একদিন নীরজাকে কথাটা বলেই ফেল্পেন। —দেশে কে আছে আপনার ? শুনেচি সেখানে থাকে না কেউ ? —বাড়ীট, গাছটা পালাটা—দিদি, এখনও ঐ সবের মায়া ? বিশ্বনাথের পাদপদ্মে মন সমর্পণ করুন সব বন্ধন ঘুচে স্বাবে। কেউ কিছু নয়, কিছু নয়—একমাত্র তিনিই সত্যি। বলে নীরজা চোখ কপালে তুলে ওপরের দিকে চেয়ে রইলেন। দ্রব ঠাকরুণ তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন—ওই যা, দাড়াও, কড়ার দুধটুকু বুঝি বেড়ালে খেয়ে গেল ! নাঃ বেড়ালের জালায়—যত বা বেড়াল, তত ৰ৷ বঁদির। অমন গামছাখানা সেদিন— —দিদি, আজ আমার সঙ্গে চলুন, কেদার ঘাটে কাশীখণ্ডের ব্যাখ্যা করবেন উপীন কথক।