পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত २०७ করিয়াছিল, ছোকরা একজন ক্যানভাসার। এখন জিজ্ঞাসা করিল—আপনি বুঝি ক্যানভাস করেন । --आitऊ ईT| —কি জিনিস ? —হাতকাটা তেল—সাজিক্যাল মলম— —বেশ পাওয়া যায় ? কমিশন কেমন ? —ভালোই। খদেরকে হাত কেটে দেখাতে—সঙ্গে ছুরি থাকে —এই যে - ছোকরা জামার আস্তিন গুটাইয়া দেখাইল—কজি হইতে কচুই পর্যস্ত হাতের সম? অংশটা ছুরি দিয়া ফালা ফালা করিয়া চেরা । কৃষ্ণলাল শিহরিয়া উঠিয়া বলিল—এ কি ! লাগে না ? ছোকরা হাসিয়া বলিল—লাগে—আবার মলম লাগালে সেরে যায় । —কি রকম আয় করেন ? —চব্বিশ টাকা থেকে ত্রিশ পয়ত্রিশ টাকা মাসে । কৃষ্ণলালের মন বেজায় দমিয়া গেল। এত কাও করিয়া ত্রিশ টাকা ! অথচ এমন সময় গিয়াছে—যখন দত্তপুকুরের বাতের তেল ফিরি করিয়! সে মাসে যাট সত্তর টাকা অনায়াসে রোজগার করিয়াছে—তাহার জন্য নিজের হাত ছুরি দিয়া ফালা ফাল করিয়! কাটিবার প্রয়োজন হয় নাই । ক্যানভাসারের কাজে আর মুখ নাই । আর সে এ কাজ করিবে না। পরদিন কৃষ্ণলাল কলিকাতা ছাড়িয়া স্বগ্রামে রওনা হইল। বসিরহাট স্টেশনে নামিয়। সাত ক্রোশ হাটিয়া তাহার পৈতৃক গ্রাম ইলশেখালি পৌছিতে বেলা তিনটা বাজিল। গ্রামে তাহার দূর সম্পর্কের জ্ঞাতি ছাড়া অন্য কেহ আপনার জন নাই—নিজের পৈতৃক ভিটা জঙ্গলাকীর্ণ হইয়া পড়িয়া আছে। বহুদিন এদিকে আসে নাই, দেখা-শোনাও করে নাই—খড়ের ঘর কতদিনে টেকে ? আজ প্রায় সতেরো আঠারো বছর পূর্বে ফু পাচ দিনের জন্য একবার পিসিমার শ্রাদ্ধে গ্রামে আসিয়াছিল। সেই আর এই ৷ জ্ঞাতির অবস্থা কৃষ্ণলালকে জায়গা দিল । কিন্তু কিছুদিন থাকিয়া কৃষ্ণলালের কেমন অসহ বোধ হইতে লাগিল। গ্রামে তাহার মন টেকে না। কখনও সে দীর্ঘদিন ধরিয়া গ্রামে বাস করে নাই—এখানকার লোকে কথাবাৰ্ত্ত বলিতে জানে না, ভাল করিয়া মিশিতে জানে না, চা খায় না। কলিকাতায় রাস্তার ভিখারীও চা খায়। তাহার উপর এই পাড়াগায়ে যেমন জলকাদা, তেমনি জঙ্গল রাত্রে মশার উৎপাতে নিদ্রা হয় না । এর মধ্যে ম্যালেরিয়া প্রায় সকল বাড়ীতেই দেখা দিয়াছে। না, এখানে মন টেকে না। কৃষ্ণলাল চেষ্টা করিয়া দেখিল- এখানে সবাই যেন পারাঞ্জি ঘুমাইয়া আছে। সকাল হইতে সন্ধ্যা পর্য্যস্ত ইহারা চড়কতলায় ক্ষুদ্র মাঠে বেলতলায় বসিয়া DDB BB BBSBBS BB BBBS BB BB BD DB DBB BBDD DD