পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—আমি জানি, এখানে এমন শিক্ষক আছেন, যাদের মন নেই উীদের কাজে । উীদের প্রতি আমার বলবার একটিমাত্র কথা আছে। মাই গেট ইজ ওপ ন-তারা দিল্যি তার মধ্যে দিয়ে হেঁটে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন, কেউ তাদের লাধা দেবে না। হেডমাস্টার কটমট করিয়া যদুবাৰু, থার্ড পণ্ডিত ও হেডপণ্ডিতের দিকে চাহিলেন । —আজকের ঘটনাই বলি। আপনাদের মধ্যে কোন একজন শিক্ষক আঞ্জ আপিসে ঘড়ি দেখতে পাঠিয়েছিলেন একটি ছেলেকে। তিনি যে কতবড় গুরুতর অন্যায় করেছেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। এতে প্রমাণ হল যে, কৰ্ত্তব্য কাজে তার মন নেই, কখন ঘণ্ট। শেষ হবে সে জঙ্গ তার মন উদখুম করছে--তার দ্বারা স্বচারুরূপে শিক্ষকের কৰ্ত্তব্য কখনষ্ট সম্পন্ন হতে পারে না। স্বকুমারমতি বালকদের সামনে তিনি কী আদর্শ দাড করবেন ? কাজে ফাকি দেবার আদর্শ, কৰ্ত্তব্যে অবহেলার আদর্শ–কী বলেন আপনার } সকলেই মাথা এক পাশে হেলাষ্টয়া বলিলেন, ঠিক কথা । —এখন আমি আপনাদের একটা কপ জিজ্ঞাসা করি । সে শিক্ষকের প্রতি আর ভান্স ব্যবহার করা চলে কি ? তার দ্বার। এ স্কুলের কাজ চলে কি ? বলুন আপনার ? আমি মিঃ আলমকে এই প্রশ্ন করচি। মি: আলম একজন কৰ্ত্তব্যপরায়ণ শিক্ষক বলে আমি জানি । আর একজন ভাল শিক্ষক আছেন—নারাণবাবু, তার প্রতিও আমি এই প্রশ্ন করচি। ক্ষেত্রবাবু, যদুবাৰু ও থার্ড পণ্ডিত তিনজনেরই মুখ শুকাইল। তিনজনেই ঘড়ি দেখিতে পাঠাইয়াছিলেন, তিনজনের প্রত্যেকেই ভাবিলেন তাহার উদ্দেশেই হেডমাস্টারের এষ্ট বক্তৃতা । নারাণবাবু দাড়াইয়া উঠিয়া বলিলেন, একটা কথা আছে আমার স্তার। —কী, বলুন ? —এবার তাকে ক্ষমা করুন, তিনি যেই হোন, আমার নাম জানবার দরকার নেই, এবার র্তাকে ক্ষমা করুম। ওয়ানিং দিয়ে ছেড়ে দিন গুণত্ব । - হেডমাস্টারের কণ্ঠস্বর ফাসির হুকুম দিবার প্রাক্কালে পায়রা-জজের মত গম্ভীর হইয়। ਚੋਥੇਂਜ । ‘’ —ন নারাণবাৰু, তা হয় না। আমি নিজের কর্তব্য কৰ্ম্মে অবহেলা করতে পারব না-- আমি এই ইনষ্টিটিউশনের হেডমাস্টার, আমার ডিউটি একটা আছে তো ? আমি চোপ বুঙ্গে থাকতে পারি নে। আমার কর্তব্য এখানে সুস্পষ্ট হয়তো ডা কঠোর, কিন্তু তা করতে হবে আমায়। আমি সেই টাচারকে সাসপেও করলাম। হঠাৎ মন্থবাৰু দাড়াইয়া উঠিয়া বলিলেন, তার, আমি ঘড়ি দেখতে কোনদিন পাঠাই নি— আজ পাঠিয়েছিলাম, তার একটা কারণ ছিল স্তার, অামার ীি অস্থা, ডাক্তার আলবে চারটের পরেই—ভাই-এবারটা আমায়— e তিনি এতক্ষণ বসিয়া বসিয়া এই কৈফিয়তটি তৈরি করিতেছিলেন। তালুর দৃঢ় বিশ্বাস, তাহারই উদেশে হেডমাস্টার এতক্ষণ ধরিয়া বাক্যবাণ বর্ধণ করিলেন। বলা বাহুল্য,