পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अञांथांब्रé లిe) কথা, না যার তার ভাগ্যে তা ঘটে? গ্রামের লোক, দেখিয়া বুকুক তার রুতিত্বের বহরখানা । আমি কিছু বলিবার পূর্বেই সে বলিল—আম্বন না দয়া করে আমার ঘরে। —ন, এখন যেতে পারবো না । সময় নেই। —কেন, কি করবেন ? —বাড়ী যাবো । সে আবদারের স্বরে বলিল-না। আসতেই হবে। পায়ের ধুলো দিতেই হবে আমার ঘরে । আথন— কি ভাবিয়া তাহার সঙ্গে ঢুকিয়া পড়িলাম তাহার ঘরে। নিচু রোয়াকে খড় ছাওয়া, রোয়াক পার হইয়া মাঝারি ধরণের একটি ঘর, ঘরে একখানা নিচু তক্তপোশের উপর সাজানো গোছানো ফর্স চাদর পাতা বিছানা । দেওয়ালে বিলিতি সিগারেটের বিজ্ঞাপনের ছবি দু-তিনখান । মেমসাহেব অমুক সিগারেট টানিতেছে। একখানা ছোট জলচৌকির উপর খানকতক পিতলকাসার বাসন রেডির তেলের প্রদীপের অল্প আলোয় ঝকৃঝক্‌ করিতেছে। মেঝেতে একটা পুরানো মাদুর পাতা। বেষ্টিমের মেয়ে, একখানা কেষ্টঠাকুরের ছবিও দেওয়ালে টাঙানো দেখিলাম। ঘরের এক কোণে ডুগিতবলা এক জোড়া, একটা হুকো, টিকে তামাকের মালসী, আরও কি কি ৷ হাজু গর্বের স্বরে বলিল—এই দেখুন আমার ঘর— —বাঃ, বেশ ঘর তো। কত ভাড়া দিতে হয় ? —সাড়ে সাত টাকা । —বেশ । হাজু একঘটি জল লইয়া আসিয়া বলিল—প ধুয়ে নিন— —কেন ? পা ধোয়ার এখন কোনো দরকার দেখচি নে। আমি এখুনি চলে যাবে। —একটু জল খেয়ে যেতে হবে কিন্তু এখানে জ্যাঠামশায়। এখানে জলযোগ করিবার প্রবৃত্তি হয় কখনো ? পতিতার ঘরদোর। গা ধিন্‌ ধিন্‌ করিয়া উঠিল। বলিলাম—ন, এখন কিছু থাবো না । সময় নেই— হাজু সে কথা গায়ে না মাখিয়া বলিল—তা হবে না। সে আমি শুনচি নে—কিছুতেই শুনবো না—বস্কন— o তাহার পর সে উঠিয়া জলচৌকি হইতে চায়ের পেয়ালা তুলিয়া আনিয়া সযত্নে সেটা আচল দিয়া মুছিয়া আমাকে দেখাইয়া বলিল—দেখুন, কিনিচি—আপনাকে চা করে খাওয়াবো এতে—চ করতে শিখিচি । ড্রেসঙেন চায়না নয়, অন্য কিছু নয়, সামান্ত একটা পেয়ালা । হাজুর মনস্তুষ্টির জন্য বলিলাম —বেশ জিনিস, বা:– ও উৎসাহ পাইয়া আমাকে ঘরের এ জিনিস ও জিনিসদেখাইতে আরম্ভ করিল। একখান,