পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՑՉե՞ বিভূতি-রচনাবলী সে অবস্থায় সব কিছুর ভার ছিল রূপে কাকার ওপর । বাৰা বাড়ী এসে পরদিন চণ্ডীমণ্ডপে বসতেন মহাজনী খাতা খুলে । বলতেন—কে কি নিয়েচে রূপে ? রূপে কাকা বলতো—লিখে রাখে, সনাতন ঘোষ ছ কাঠ কলাই, জু কাঠা বীজ মুর, কড়ি ছ কাঠা— -छोध्छ्रे । —হয়েচে ? আচ্ছা লেখে—বীরু মণ্ডল দু বিশ ধান, কড়ি পাঁচ সলি— •-खोध्छौं । —হয়েচে ? —হয়েচে । —রুপো বাঙাল একবিশ ধান দু কাঠা কলাই— -खोध्छु । —হয়েচে ? —হয়েচে । —লেখে, কাটু কলু চার কাঠ কলাই, কড়ি চার কাঠা । ময়জদি সেখ, ধান এগার কাঠ, কড়ি সাত কাঠ । এইভাবে রূপে কাক অনর্গল বলে চলেচে গত দু মাসের মধ্যে কর্জ দিয়েচে যাকে যতটা জিনিস। ওর সব মুখস্থ, কোনো কিছু ভোলে না। ওরই হাতে গোলার চাবির থোলো । যাকে যা দরকার দিয়ে সব মনে করে রেখে দিয়েচে, বাবার খাতায় লেখাবার জন্তে । একদিন একটা ঘটনা ঘটলো । রূপে কাকার জর হয়েছিল, আমাদের বাড়ীতে আসে নি দু-তিন দিন । এমন সময় বাবা বাড়ী এলেন মরেলডাঙা থেকে ৷ এসেই রূপোকে ডেকে পাঠালেন । রূপে জরে র্কাপতে কাপতে বললে—বল গে যাও, আমি জরে উঠতি পারচি নে। এখন যেতি পারবে না—জরে মরচি। তা সীতানাথ আর আসতে পারলে না পায়ে পায়ে ? তার একটু এলে কি মান যেতো ? বাবা বাৰু মানুষ। নতুন বাৰু, রূপে বাধানো ছড়ি হাতে নিয়ে বেড়ান, কেঁচা হাতে নিয়ে । ঘড়ির চেন ঝোলে বুকে, হাতে থাকে ঝকমকে আংটি। প্রজাপত্তরের কাছে খুব খাতির। বাবাকে যখন লোকে ফিরে এসে একথা বললে, তখন বাবা একেবারে তেলেবেগুনে উঠলেন জলে। কিন্তু তখন কিছু না বলে গুম্‌ হয়ে রইলেন। এর দিন পাঁচ-ছয় পরে রূপে কাক সেরে উঠে আমাদের বাড়ী এল। বাবা তখন চওঁীমণ্ডপে বলে হিসেবের খাতাপজ দেখছিলেন । ওকে দেখেই কড়া স্বরে বলে ऐं★लन-अॅरwiी !