পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चयनांथांद्रणं ছ২৯ —কি ? —তুমি মনে মনে কি ভেবেচ জিজ্ঞেস করি ? তোমার এতবড় আম্পন্ধা, তুমি বলে আমি পায়ে পায়ে তোমার বাড়ী যাবো ? তুমি জানে, কার সামনে তুমি দাড়িয়ে আছ ? তোমার মুণ্ডুটা যদি কেটে ফেলি তা হলে খোজ হয় না তুমি জানো ? এত বড়লোক তুমি হোলে কবে ? রূপে কাকাও সমানে গলা চড়িয়ে উত্তর দিলে—ত তুমি মাখ কাটবে না ? এখন কাটৰে না ? এখন কাটবে বৈকি ! ই্যারে সীতেনাথ, তোকে যে কোলে করে মানুষ করেছিলাম একদিন, মনে পড়ে ? এখন তুমি বড় হয়েচ, বাবু হয়েচ, সাঁতেবাবু—এখন তুমি আমার মুণ্ডু কাটবা না ? বড় গুণবন্ত হয়েচিল তুই, হ্যা সীতেনাথ— “ ‘তুমি ছেড়ে রূপে কাক, সামান্ত সাডে তিন টাকা মাইনের কৰ্ম্মচারী হয়ে মনিবকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন আরম্ভ করলে সকলের সামনে । বাবা বললেন–যা যা, বকিস নূে— —না বকবো না–তুই বডড তালেবর হয়েচিম আজকাল, বড্ড বাৰু হয়েচিল—তুই আমার মুণ্ডু নিবি না তো কে নেবে ? বলেই রূপে কাকা হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললে । আমার ঠাকুরমা ছিলেন বাড়ীর মধ্যে । কপোর কান্না শুনে তিনি বাইরে ছুটে এসে বাবাকে যথেষ্ট বকলেন । বাবা বললেন—তা বলে আমায় ওরকম বলে কেন ? ঠাকুরমা বললেন—তুই কাকে কি বলিস সীতে, তোর একটা কাণ্ডজ্ঞান নেই ? তুই কি ক্ষেপলি ? বাবা কলম ছেড়ে বাড়ীর মধ্যে উঠে এলেন, তারপর রূপে কাকার হাত ধরে বললেন— রূপোদা, তুই কিছু মনে করিস নে। আমার বলা ভুল হয়ে গিয়েচে, বড় ভুল হয়েচে । রূপে কাকার রাগ কমে না, বললে—ন, আমার দরকার নেই কাজে । ঢের হয়েচে । নে, তোর গোলার চাবিছড়া রেখে দে—মুই আর ওসব ঝামেলা পোয়াতে পারবো না। নে তোর চাবিছড়া । কতবার বোঝানো হলো, রূপে কাকা কিছুতেই শুনবে না। চাবির খোলো সে খুলে বাবার সামনে ছুড়ে ফেলে দিলে । ● শেষে বাবা বললেন—বেশ, তা হলে আমিই বাড়ী ছেড়ে যাই। রইল গোলা পালা, প্রজাপত্তর। আমি কাল সকালের গাড়ীতেই বেরুচ্চি— রূপে কাকা ঝাঝের সঙ্গেই বললে—তুই চলে যাবি তা তোর কাচ্চাবাচ্চ মানুষ করবে কেভা ? —কেন, তুমি ? —মাের দায় পড়েচে। তোৰে কোলপিঠ করে আস্থ করলুম বলে কি জের ছেত্ত্ব