পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*● वेिङ्कडि-ब्रध्नांयणौ পিলেও কোলেপিঠে করে মানুষ করবো ? আমি কি আর জোয়ান আছি ? এখন বুড়ো হইটি না ? ওলব ঝামেলা আমার দ্বারা আর হবে না— —লা আমি আর থাকবে না। কালই যাবে চলে । —কোথায় যাবি ? —মরেলডাঙা চলে যাবো । ঠিক বলচি যাবো। আমার বড় কষ্ট হয়েচে স্কপোস্ক, তুমি আমায় এমন করে বললে শেষকালে। আমি গৃহত্যাগী হবে, হবে, হবো—বলেই বাবা ফেললেন কেঁদে । রূপে কাক আমনি উঠে এসে বাবার হাত ধরে বললে—কাদিস নে সীতেনাথ, কাদিস নে, ছিঃ—মুই আর তোরে কি বললাম ? তুই-ই তো কত কথা শুনিয়ে দিলি— কাদিস নে— শেবে দুজনেরই কাল্লা । আমরা ছেলেমানুষ, অবাক হয়ে চেয়ে দেখতে লাগলুম দুই বড় লোকের কান্না। দাদা আমায় কনুইয়ের গুতো মেরে মুখে হাত চেপে হি হি করে হেসে উঠলো। আমরা অবিপ্তি দূরে গোলার নিমতলায় দাড়িয়ে ছিলাম । ব্যাপারটা শেষ পৰ্য্যন্ত অবিখি মিটমাট হয়ে গেল। বাবাও দেশত্যাগী হলেন না, রূপো কাকাও চাকরি ছাড়লেন না । রূপে কাক। রাত্রে চৌকিদারি করতো। অনেক রাত্রে আমাদের বাড়ী এসে ঠাকুরমাকে জাগিয়ে দিয়ে বলতেী—ওঠে। বৌমা, জাগন থাকে। রাত খারাপ। চণ্ডীমণ্ডপে সন্নিসি ঘোষ ও হীরু মাস্টার শুয়ে থাকতো, তাদের জাগিয়ে দিয়ে বলতো–একেবারে অত নাক ডাকিয়ে ঘুমোও কেন ? ওঠে, মাঝে মাঝে তামুক খাও আর গোলাগুলোর চারিধারে বেড়িয়ে এল লা— একটা অদ্ভুত দৃগু কতদিন হীরু মাস্টার দেখেচে । আমাদের গল্প করেচে সকালবেল । সব গ্রাম ঘুরে এসে অনেক রাত্রে চৌকিদারি পোশাক পরে লাঠি হাতে রূপে কাকা অন্ধকারে আমাদের চওঁীমগুপের পৈঠার ওপর বসে থাকতো । এক এক দিন হীরু মাস্টার বাইরে এসে ওকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করতো—কে বলে ? —মুই রূপো । ' —বলে কেন ? এত রাতে ? o —তোমরা তো দিব্যি ঘুমোচ্চ, তোমাদের আর কি ? গোলার ধান ধাবে সীতেনাথের যাবে। চোরের যা উপদ্রব হয়েছে তার খবর কি জানবা ? মোর ওপর ঝক্কি কত ! মোর তো তোমাদের মত ঘুমুলি চলৰে না। লীতেনাথের এ ঝামেলা আর কদিন পোয়াবো। এবার এলি চাবিছড়া তার হাতে দিয়ে মুই খোলসা হবে । এ আর পারি না বুড়ো বয়সে pঙ্ক জাগতি