পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

व्षनांथांब्रभं ©9? ইক্সের সঙ্গে বরুণের কথা কাটাকাটির কি বাহার ! আর গান ? এমন সুন্দর স্বরের গান এ পর্য্যন্ত সে শোনে নি এ পাড়াগায়ে । দৃপ্তের পর দৃপ্ত বদলে চলেচে। প্রত্যেক দৃশ্বে অভিনব ঘটনার সমাবেশ, নতুন নতুন স্বরের গান, নতুন নতুন সুন্দর মুখ। পরীর মতো মেয়েরা । মেয়ে নয়, ওরা পুরুষ, কাতু জানে না যে এমন নয়, কিন্তু দু-একটি মেয়ে সম্বন্ধে, কাতু ঠিক বুঝতে পারলে না ওরা ছেলে, না সত্যিই মেয়ে । লে বাবাকে বললে—বাবা, ও বাবা— দুর্গাচরণ বললেন–কি ? কেন কথা বলচে ? চুপ করে থাকো । —ওরা মেয়ে না ছেলে ? 潘 —চুপ করে বসে থাকে। বকো না। কাতৃ তন্ময় হয়ে গিয়েচে, তার বাহ্যজ্ঞান নেই। একটা দুখে তার মন নেচে উঠলো। এবার বোধ হয় যুদ্ধের আয়োজন চলবে । কবিরাজ যে সেজেছে তার কি বিকট চেহারা আর সাজসজ্জা। সত্যিই লোকটা খারাপ নাকি ? নিশ্চয় লোকটা খুব বদমায়েস। বুড়ে কণ্ডুকী কি হাসিয়েই গেল । এইবার একটা করুণ দৃশ্বের অবতারণায় সভার লোক কেঁদে ভাসিয়ে দিল, সেই সঙ্গে কাতুও । রাজ্যহারা নল বনে দিশাহারা অবস্থায় একটা বৃক্ষতলে আশ্রয় নিয়েচেন ( বৃক্ষতলে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারটা অবিপ্তি নলের বক্তৃতার মধ্যে দিয়েই প্রমাণ পেয়েচে, কেন না তিনি বসে আছেন আসরের ঝাড় লণ্ঠনের তলায় ), সঙ্গে রয়েচেন নিরাভরণা দময়ন্তী । প্রোগ্রামে আছে অলক্ষ্যে বিধিলিপির সঙ্গীত–নলের করুণ বকৃত শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে আসরের সকলে ষ্টকিঝুকি মেরে দেখচে বিধিলিপি সাজঘর থেকে বেরুল কি না । কাতু অধীর আগ্রহে দাড়িয়ে উঠেছে। কিন্তু ঠিক যে সময় একটি বালককণ্ঠের মধুর সঙ্গীতের স্বরে আসর ভরে গিয়েচে, দেখা গেল ধীরে ধীরে বিধিলিপি গান গাইতে গাইতে আসরে ঢুকচে, সেই সময় দুর্গাচরণ মজুমদার হাই তুলতে তুলতে বললেন—চলো অনেক রাত হয়েচে। যাওয়া যাক। বাড়ী চলো—ছত্তি নাও হাতে— কাতু অবাক । বাবা কি সত্যিই বাড়ী যেতে চায় ? ঠিক এই সময় মহিষে পারে আসর ছেড়ে বাড়ী চলে যেতে ? কাতু বললে—বাব, এখন বাড়ী যাবেন কি বলচেন ? আমি যাৰো না বাবা | ه. م —না না চলো । ও আর কি দেখবে সারারাত জেগে । রাত দশটা। ওই নাকে কায় BBB BB BB BBS BBBS BBSBBS BB BBDSDDD DD DDS DDD আবার জেয়ালাতে খাজনার তাগিদে যেতে হবে ভোরে । চলে আসতেই হোল। উপায় নেই কাতুর। ওর চোখে জল ভরে এল। বাবার ওপর