পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

69২ বিভূতি-রচনাবলী বিরাগে ওর মন তিক্ত হয়ে উঠেচে । কেমন লোক বাবা ? কিছু বোঝে না । এমন श्नाइ छांब्रशl- ! রাগে সে বাবার সঙ্গে কথা বললে না সারা রাস্তা । পয়ত্রিশ ছত্রিশ বছর পরের কথা । কাত্তিকচরণ মজুমদার সকালে উঠে কাগজপত্র দেখচেন । কাৰ্ত্তিকের মহাজনী কারবার আছে, আড়ত আছে ধানের ও পাটের । গত পঞ্চাশের মন্বন্তরে ধানচাল হাত ফিরতি করে বেশ কিছু লাভও করেচেন। তার কৰ্ম্মচারী হরিপদ এসে বললে—বড় বাবু ছে-কাটি কখানা গাড়ী যাবে ? —যে কখানা জোগাড় হয় । মাল কত ? —দাদনের মাল হবে পঞ্চাশ মণ। আর ইদিক ওদিকে যা যোগাড় হয় । –পাচখানা এখান থেকে নিয়ে যাও । G —লরির জন্যে শস্তুকে খবর দিতে বলে দেলাম। —লরি একখানা নয়, দুখান । আমের গুড়ি যাবে সাতটা । চার টন । —আপনি বেরুবেন কখন ? —আমি খেয়ে দেয়ে বেরুবো । তুমি চলে যাও আগে— এমন সময়ে কাৰ্ত্তিক মজুমদারের দশ বছরের পুত্র নীলু এসে বললে—বাবা আজ থিয়েটার হবে রামনগরে । দেখতে যাবো বাবা । খিয়েটারের নিমন্ত্রণপত্ৰ কাৰ্ত্তিক মজুমদার পেয়েছিলেন বটে, রামনগরের তরুণ-সংঘ আজ কি যেন একটা প্লে করবে তাতে লেখা ছিল। কিছু চাদাও তারা নিয়ে গিয়েছিল একদিন এসে । কিন্তু কৰ্মব্যস্ত কাৰ্ত্তিকের সে কথা স্মরণ ছিল না । নীলু বললে—বাবা যাবে তো ? —দেখি আজ আবার অনেক গোলমাল । যেতে পারি কিনা দেখি । —সে হবে না বাবা । তুমি না গেলে আমি যাবো কার সঙ্গে ? আমার দেখা হবে না। থিয়েটার কক্ষনো আমি দেখি নি— —আচ্ছ, যাও, সকালে উঠে এখন পড়গে যাও—সে তে ওবেল, তার এখন কি ? এই সময়ে পাটের মহাজন ফলেয়ার মানিক মণ্ডল উঠোনে এসে দাড়িয়ে বললে—বড় বাবু, আমার তার কি হোল ? –কিলের ? —জামার সেই মামলা জজ মিটিয়ে দেন বাৰু । —ম্বেৰে । আজ পঞ্চাশ মণ জানচি দাফনের মাল, আরও একশো মজুত। তোমার কখানা লরি ? .–শ্বখানার বায়না দেওয়া আছে! মাল বেশী হোলে আরও একখানা আনবোঁ ।