পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

too e विफूडि-ब्रळ्नांवली হাওয়া গা-হাত-পা পুড়াইয়া বহিতেছে—সেখানে গ্রীষ্মের দুপুরে বসিয়া বলিয়া বাদশাহী তাখান ও সুন্দরী ইরাণীদের স্বপ্ন লুর আগুনে ঝলসাইয়া যায়। নীরেন মাঠের মাঝখানের পথ বাছিয়া হন হন করিয়া স্থাটিয়া চলিল। দুর মাঠের প্রান্তে চাদ উঠতেছে—নিশ্চয় আজ পূর্ণিমা, নতুবা সন্ধ্যার পরে টাঙ্গ উঠিবে কেন ? দুখান৷ গ্রাম পথে পড়ে—য়াস্তার ধারে দাড়াইয়া গ্রাম্য লোকেরা দেখিতেছে। একজন বলিল— কনে যাবা ? —রামচন্দ্রপুর। —বাড়ী কনে ? —কলকাতা ! কলকাতা বলাই সহজ, কারণ আলিগড় বলিলে ইহারা কিছুই বুঝিবে না। কিছুদূর গিয়া আর একটি ক্ষুদ্র পল্লী—নীরেন্স নাম জিজ্ঞাসা করিল। রাস্তার ধারেই একটা পুরানো কোঠাবাড়ী, গোটা দুই নারিকেলগছ, দুটি বড় ধানের গোলা নারিকেল গাছটির তলায়। জন পাচ-ছয় লোক গোলার কাছে উঠানে বসিয়া তামাক খাইতে খাইতে কথাবার্তা বলিতেছে—নীরেনকে দেখিয়া বলিল—বাড়ী কোথায় ? —কলকাতায় । —এদিকি কোথায় যাওয়া হবে ? —রামচন্দ্রপুর। তাহারা পরস্পর চাওয়াচাওয়ি করিয়া বলিল—এই রাত্তিরি সেখানে যাতি পারবেন না । নীরেন বলিল—কেন ? —তিনকোশ পথ এখান থেকে, তা ছাড়া গরম কাল, মাঠের পথ, সাপ-খোপের ভয় । কার বাড়ী যাব রামচন্দ্রপুর ? —র্বাডুয্যে-বাড়ী । —কোন বঁাডুয্যে-বাড়ী ? দে গায়ে ব্রাহ্মণ তো নেই ? —এক বুড়ী আছে না ? —আছেন বটে এক মা ঠাকরেনি। ওই বাওড়ের ধারে গোলাবাড়ীতে থাকেন। তা তিনি আবার মাঝে মাঝে তার জামাইয়ের বাড়ী যান কিনা ? দেখুন, আছেন কিনা। সেখানে পৌছাইতে নরেনের বড় রাত হইয়া গেল। গ্রামটিতে চারিধারে বাশবন জামবনের নিবিড় ছায়, প্রথমেই গোয়ালাদের পাড়, তারপর বড় মাঠ একট, গোটা দুই বড় পুকুর, শেওলায় ও কচুরীপানায় ভৰ্ত্তি । পথের ধারে একটা খড়ের ঘরে তখনও টিম টিম করিয়া আলো জলিতেছিল। নীরেনের প্রশ্নের উত্তরে একটি লোক উত্তর দিল, সেই গ্রামই রামচন্দ্রপুর বটে। বাড়ুষ্যে-বাড়ীর বুড়ী ? খা, আর একটু আগে বাওড়ের ধারে পাৰি সারি নরিকেল গাছওয়ালা বড় আটচালা খড়ের জয় |