পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

£9& विङ्कडि-ब्रध्मावली কনট্রাক্টের কাজে শিবশঙ্কর অনেক টাকা রোজগার করেচেন। দুহাতে খুব বিলিয়েও ছ লক্ষ টাকা ঘরে এনেচেন । এ বাদে খুচরো কারবার তার অনেক রকম আছে; এই ছোট আপিসটাতে বলে সারা বাজাবের গুপ্ত খবর রাখচেন। টেলিফোনের বিরাম বিশ্রাম নেই এক মিনিট । বাজারে তার বহু চর সর্বদা ঘোরাঘুরি করচে, শেয়ার মার্কেট থেকে সর্ষে পৰ্যন্ত কোনো বাজারের গুপ্ত খবর ওদের জানতে বাকি নেই । মোটের উপর শিবশঙ্করের দিন যাচ্ছে ভালো, ধুলো-মুঠো করলে সোনা-মুঠে হচ্ছে। আর কি অসম্ভব খাটিয়ে লোক শিবশঙ্কর ৷ চরকির মত ঘুরচেন এখানে ওখানে, এ আপিস ও আপিস, কত লোকের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করচেন, কত লোক র্তার বাড়ী গিয়ে তার সঙ্গে দেখ। করচে—যে লোক এমনি নরম হয় না, তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করে অগ্রসর হতে হচ্ছে, ছুচ যেখানে গলে না, সেখানে হাতী গলিয়ে দিচ্ছেন শিবশঙ্কর,—পয়সা কি আমনি হয় ? শিবশঙ্করের অভিজ্ঞতা এই যে, অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে দয়া মায়া চক্ষুলজা ইত্যাদি দুৰ্ব্বলতা। যে বিচক্ষণ কারবারী সে এ সব মানবে না। কমপিটিশনের বাজার, চক্ষুলজ্জা এখানে খাটে না । আর একটা অভিজ্ঞতা, অবিপ্তি বড় মূল্যবান অভিজ্ঞতা যে, ঘুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে। শিবশঙ্করবাবু বলেই থাকেন-ওহে এমন লোক দেখলাম না যে পূজো পেলে খেতে চায় না। তবে বেশি আর কম। কেউ চায় ষোড়শোপচারে পুজে, কারো বা চাল কলা, কারো চিনির নৈবিস্থি –ঢের ঢের দেখলাম হে, যেখানে ভেবেচি এর কাছে কেমন করে যাবে, এত বড় পদস্থ লোক.পূজো দাও, বাস সব ঠিক ! সবাই সমান, তবে ওই যে বললাম, বেশি আর কম। চরি করার স্ববিধে জোটে নি যার, সেই সাধু। বেলা একটায় সময় একটি রোগ, দীর্ঘ চেহারার সাহেবি পোশাকপর লোক শিবশঙ্করের আপিলে এসে ঢুকলো । শিবশঙ্কর বললেন—কি খবর ? আম্বন, বস্থন । —বডড বেশি চায় । —কত ? —সাড়ে পাচ করে কাঠা । শিবশঙ্কর বিস্ময়ের স্বরে বললেন–জমি কার ? ব্যাঙ্কের } —আজ্ঞে না, মাগনলাল মূখনলাল ক্ষেত্রীর । একবার মর্টগেজ আছে। রেজিষ্ট্রি আপিস লার্চ করা হয়েচে । —বড় বেশি দর বলছে না ? —ও অঞ্চলে ওর কম দর নেই । এর পরে সাত পৰ্য্যস্ত উঠবে। ন কাঠা একসঙ্গে জার পাওয়া যায় না তার। আপনি কাল নিজে একবার চলুন-বায়নাপত্তর রেজিষ্টি না করলে ছু-তিনটে খন্ধের মুখিয়ে রয়েচে । এই সময় টেলিফোন বেজে উঠলো। অল্প খানিকক্ষণ কথা বলে শিবশঙ্কর ফোন রেখে