পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হে অরণ্য কথা কও ፀ:: the wooded glens and valleys, traversed by rivers and hill streams,have a peculiar charm. Here will be found pools, shaded and rock-bound in which Diana and her nymphs might have deported themselves.” খলকোবাদ বাংলোর নিকটে যে ক্ষুদ্র ঝর্ণাটি কুলুকুলু শব্দে বনের নীরবতা ভগ্ন করে আপন মনে নেচে চলেচে, তার সম্বন্ধেও এ কথা বলা যায়। যদিও ওরেকুরা ও সামটা নালা সম্বন্ধে এবং কোইনা নদী সম্বন্ধে এ কথা বেশি খাটে । কর্ণেল ডালটনের উক্তি আমি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে বসে পড়ি বোধ হয় ১৯৩৪ সালে । তখন থেকেই সারেও ফরেস্ট দেখবার ইচ্ছে ছিল। কে জানতো তা এভাবে পূর্ণ হবে একদিন, ন বছর পরে সারেও অরণ্যের মধ্যে তিরিলপোসি বন্য গ্রামের বনবিভাগের বাংলোতে বসে একথা লিখবো । আরও কিছুদূর এসে এক জায়গায় বনের মধ্যে ঢুকে আমরা শিশিরদা বলে একটা জলাভূমি দেখতে গেলুম। স্বনিবিড় বনানী, চুকতে যাচ্চি এমন সময় ভাষণ চীৎকারে বনভূমি কঁাপিয়ে কি জানোয়ার ডেকে উঠলো। সঙ্গের ফরেস্টার বল্পে—কোংরা অর্থাৎ Barking deer— কিন্তু সামান্য হরিণে যে এত শব্দ করতে পারে প্রথমে এ বিশ্বাস হচ্ছিল না। বনের চেহারা দেখে ভয় হয়ে গেল। ডানদিকে পাহাড়ের সাহুদেশে নিবিড় অরণ্য, বায়ে কিছুদূর গিয়ে একটা জলাভূমি, শুধু দামদলে পূর্ণ, জল দেখা যায় না—অজস্ৰ কাশফুল ফুটেচে—এই পাহাড়ী পাথরের দেশে এমন জলাভূমি আর কোথাও দেখিনি—লারা সিংতুমে আছে কিনা সন্দেহ । সারেণ্ডাতে তো নেইই । আমরা পাচ-ছজন যাচ্ছি—মিঃ সিনহা তিরিলপোলির ফরেস্টার, একজন হে, দুজন গার্ড। কিন্তু ওরাই বলেচে বুনো হাতীর বড় ভয় এখানে, যেতে যেতে জলার ধারে হাতীর পায়ের চিহ্ন দেখলাম অনেক জায়গায় । একটা প্রকাও আমগাছকে কি একটা শক্ত লতায় এমনি জড়িয়ে ধরেচে যে দেখে কেমন যেন বিস্ময় বোধ হোল । কখনো দেখিনি এমন, আমগাছের পাতা দেখা যায় না নীচের দিকে, যা কিছু পাতা সবই সেই লতাটার । তারপর একটা নরম মাটিওয়ালা জমি পড়লে । সেখানকার বড় গাছগুলো কাটা হয়েছে বনবিভাগ থেকে—ফলে এক প্রকার কাটাওয়াল ফলের গাছ হয়েচে আমাদের দেশের ওকৃড়া ফলের মত। পা রাখবার স্থান নেই এতটুকু ৷ ফরেস্টার বল্পে—এই জায়গায় একটা "খো" আছে পাহাড়ের গারে । " –*ceri’ fè ? —কেতু, । আমরা তো তখনি কৌতুহলী হয়ে উঠলুম। দেখতেই হবে গুহা। মিঃ সিনহা একবার area_sqল, বেলা যাচ্ছে, জায়গাটা ভাল নয়। ফরেস্ট গার্ড কিছুক্ষণ আগে হাতীর গল্প বলছিল। একজন ফরেস্টারকে কি ভাবে বেলা চারটার সময় তিরিলপোলি থেকে আসবার সময় হাতীতে তাড়া করেছিল, কি ভাবে সে সাইকেল ফেলে পালালো। এই বনের মধ্যে