পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cई ख्वद्भ*? कथां क& get দৃষ্টি কি করে আমরা বুঝব—শুধু মনে মনে তার জয়গান করেই বিশ্বয়ের অবসান করি। রাত সাড়ে চারটায় উঠলুম, বাইরে গেলুম। জ্যোৎস্না উঠেছে, কালকের মত শুকতার জলজল করচে, দূরের পাহাড়ের মাথার দিকে চেয়ে বালোর বারাকপুরের বাশবনে বাড়ী, বাবা মার কথ। মনে এল । শৈশবের সমস্ত অবস্থা—আমাদের দারিদ্র্য, বালক হয়ে আমার সমস্ত মনের ভাব যেন আমাকে পেয়ে বসলো শেষরাত্রে। জীবন কি অপূৰ্ব্ব ! কি অমৃতময়— জন্মে জন্মে শত শত বারাকপুরের মধ্যে দিয়ে শত বৈচিত্র্য, পিতামাতার কোলে বার বার আসি যাই ক্ষতি কি ? শুধু যেন বিশ্বদেবকে মনে রাখি, তার অনন্ত রূপের অনন্ত বৈচিত্র্য দেখবার চোখ যেন পাই । সকালে শালবনে বেড়াতে গেলুম। দুরে পাহাড়ের মাথায় কাল যেমন দেখেছিলুম একটা গাছ—বড় বড় বনস্পতি চারিধারে, বনের শাস্ত শু্যামল সমারোহ । প্রাণভরে দেখি । চেয়ে থাকি । শেষরাত্রে কালীর বোন পুটি দিদিকে স্বপ্ন দেখলুম, আশ্চৰ্য্য ! পুটি দিদি যেন মার মত স্নেহে আমায় কি খেতে দিলেন। অল্প বয়সের পুটি দিদি। আজ সকাল ন’টায় তিরিলপোসি থেকে স্নানাহার করে বার হয়েচি । সারেও অরণ্যে র্যাক কোথাও নেই—শুধুই চলেচে জঙ্গল। এক জায়গায় নেমে আমরা পাংলা জঙ্গলের মধ্যে ঢুকলাম, সেখানে কাঠকয়লার ভাটা করে কয়লা পুড়চ্চে। তারপর কিছুদূর এসে এক জায়গায় দীঘ নামক বন্যগ্রাম । তার প্রান্তভাগে ‘বিরহেরি নামক যাযাবর বন্ত জাতির আবাস, নেমে দেখতে গেলুম। অনেক ছেলেমেয়ে ও পুরুষ রোদে বসে চীহড় লতার দড়ি পাকাচ্চে। এই ওদের উপজীবিকা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেচে দড়ি, শিকা—সব তৈরি করে চীহড়ের বাকল থেকে । খুব শক্ত ঘড়ি হয়। এক গ্রামে সপ্তাহ দুই থাকে, তারপর অন্ত গ্রামে চলে যায়। কোথাও নির্দিষ্ট জায়গা নেই থাকবার। একটি রূপী বাদর নিয়ে এল বিক্রি করতে। আমরা নিলাম না। বেশ সুন্দর পাথরে-র্কোদ চেহারা ওদের । দীঘ৷ ছেড়ে সামটা গ্রামের পথে আমরা চললুম। আবার জঙ্গল, পাশে একটা ঝর্ণা ও গভীর খাদ। এক এক সময় মনে হয় সরু পথে গাড়ীগুলি উলটে যাবে। তেমনি গভীর অরণ্য। এপথে অনেক বঁাশ দেখলুম পাহাড়ী চালুর জঙ্গলে, এক জায়গায় বস্তকালীও দেখা গেল । @ সামটা গ্রাম বনের বাইরে । খ্ৰীষ্টান ও হিন্দুর বাস, তবে হো-দের বাসই বেণী । একটি ছেলের নাম বলে, চন্দন তাতি। একটু সভ্য কাপড় পর। ওরই মধ্যে। বঙ্গাম—তুমি খ্ৰীষ্টান ? --না, আমি হিন্দু। —কালী-দুর্গ পূজা কর, না বোঙ্গা পূজা কর— --ৰোঙ্গ পুজো করি ।