পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cई छाभ्रेै; कधी कe 鲁始键 দিকের খুব উচ্চ পাহাড়ের এক জায়গায় অনেকখানি অনাবৃত পাথর বেরিয়ে আছে । ঠাও। হাওয়া বইচে । ঈষৎ কুয়াশা লেগে আছে সামনের পর্বতগাত্রে—যেন মনে হচ্চে নীচেকার বনে বুঝি কেউ আগুন দিয়েচে, তারই ধোয়৷ কুণ্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে উঠচে পাহাড়ের গায়ে। বাদিকে পাহাড়ের নীচে কোইনা নদী বইচে পদে পদে সৌন্দর্ঘ্যভূমি রচনা করে। ট্রলি করে লো যেতে যেতে ঘন বনের ডান দিকে দু জায়গায় এমন স্বন্দর চওড়া পাবাণময় নদীগর্ভ বনের ফাকে চোখে পড়লো। তার ওপারে কম্প্রিটাম লতার ফুল-ফোটা বিশাল শৈলসামুর অরণ্যtণী । কি গম্ভীর শোভা ! সিংডুমের ও সারেণ্ডার বনান্তরালে কত স্থানে কত সৌন্দৰ্য্যভূমি ভগবান যে ছড়িয়ে রেখেচেন, কৃপণের মত দু'একটাকে গুনের্গেথে রাখেন নি—ধনী দাতার মত দু'হাত পুরে ছড়িয়েছেন হাজারে হাজারে। এই পথ দিয়ে ট্রলিতে সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে ফিরবার সময় রাঙা রোদ মাখানে পৰ্ব্বত ও বনানাশীর্ষে সামনের দুইয়া লৌহখনির অনাবৃত রক্তবর্ণ লৌহপ্রস্তরের পৰ্ব্বতগাত্রে বহু উচ্চ শৈলশিখরে মোটা মোটা লতা-দোলানো, অসংখ্য দেবকাঞ্চন ফুল-ফোট, ময়ূর ও ধনেশ পাখীর ডাকে মুখর অরণ্যানী দেখতে দেখতে ওই কথাই বার বার মনে পড়ছিল । সন্ধ্যায় ফিরবার পথে ঘন ছায়া পড়েচে বনে বনে, চারিধারে পাহাড়ের ছায়া— কোনো অজানা বনপুষ্পের স্ববাস অপরাত্ত্বের শীতল বাতাসে। আমি মিঃ সিনহাকে বল্লুম— কিসের বেশ গন্ধ পেয়েছেন ? Rauge Officer স্থলেমান কারকাটা ছিল ট্রলিতে, সেও কিছু বুঝতে পারলে না। আংকুয়া জংশন থেকে চিড়িয়া মাইন পৰ্যন্ত একটা লাইন গিয়েচে, একটা গিয়েচে দুইয়া মাইনসে। এ দুটিই বেঙ্গল আয়রণ ও স্টীল কোম্পানীর খনি। মনোহরপুর থেকে এই পনেরো মাইল এরা ঘন বন পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে ছোট লাইন পেতেচে এ দুই লৌহপ্রস্তরের পৰ্ব্বত থেকে ore নিয়ে যাবার জন্যে, মনোহরপুর রেলওয়ে সাইডিং-এ। কলকাতার ক'জন এই সুন্দর রেলপথটির খবর রাখে ? অংকুয়া জংশনে একটা সেলুন পেলুম, তাতে চিড়িয়া মাইনসের বড় সাহেব মিঃ মেরিডিথ যাচ্ছে। তার সঙ্গে গল্প করতে করতে গেলুম। সে বলে, চিড়িয়াতে ফুটবল আছে, টেনিস আছে, রেডিয়ো আছে । আবার চলেচি ছোট্ট ট্রেনে বনপথে, বাদিকে হামশাদা নদী বনের পথে মৰ্ম্মর শব্দে বয়ে গিয়ে কোইনাতে মিশেচে । চিড়িয়াতে পৌছে দেখি সামনের বহু উচু পাহাড়ের গা বেয়ে খাড়া রেলপথ উঠেচে পৰ্ব্বতশিখরে ( skip উঠেচে মোটা ভারের বন্ধনে—রাঙা ধুলোমাখা হে কুলী মেয়েরা সৰ্ব্বত্র কাজ করচে। আমাদের skip দিয়ে ওপরে উঠবার সময়ে বেশ লাগলো, কখনো উঠিনি–কিন্তু ভয়ও করলো খুব । কল্যাণী কখনো উঠতে পারতে না এ পথে—ও যা ভীতু ওপরে উঠে নীচে চেয়ে সমতলভূমির অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত চোখে পড়লো। ১৪৩ ফুট ওপর থেকে নীচের দিকে দেখচি এমন ভাবে, ঠিক যেন একটা উচু বাড়ীর ছাদের কার্নিলে ঝুকে আছি। এ সব দৃপ্ত চোখে না দেখলে বোঝানো যায় না । এই লৌহগ্রস্তরের বিরাট শৈলমালা লেদাবুক, অজিতাবুরু ও বুদ্ধাৰুরু এই তিনটি নামে অভিহিত। এর সৰ্ব্বোচ্চ শিখর হোল বুদ্ধাবুক ২৭° • ফুট উচু। অনাবৃত লৌহপ্রস্তরের বিরাট শৈলগাত্র সেদিন পনেরো মাইল দূর মনোহরপুর বাংলো থেকে দেখেছিলাম। কৃষ্টির জানি