পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3& e বিভূতি-রচনাবলী ৰাড়ী আসতে সবাই খুশি । উষা চিঠি দিয়েচে কাশ্মীর থেকে, অজিতবাবু চিঠি দিয়েচেন রাঙামাটি (চট্টগ্রাম) থেকে —বাড়ী এলে পেলুম। পরের দিন সন্ধ্যায় শচীম ও ফণির সঙ্গে বসে বসে চালভাজ খাচ্ছিলাম। সারেণ্ডাতে কত ভাল জায়গা দেখেচি তার একটি তালিকা ওদের কাছে বল্লাম। প্রথমে ধরি কুম্ডির পাশে কোইন নদী । ২য়, শশাংদাধুরী ; ৩য়, থলকোবাদ বাংলো ; ৪র্থ, জাতি-সিয়াং ( MatRock ) ; aম, ভানগাও ও বোনাই সীমাস্ত ; ৬ষ্ঠ, বাবুডের ; ৭ম, বনশ্ৰী ও বাবুডেরা থেকে সমিটার তেমাথার পথ , ৮ম, হেন্দেকুলি ক্যাম্প ও তৎপূৰ্ব্বের সামটা নালার loop : ৯ম, শিশিরদা জলা ও গুহাদ্বয় ; ১০ম, থলকোবাদ বাংলো থেকে বনপথে কোইন নদী ও তীরবর্তী বনভূমিতে কোইন নদীর loop ; ১১শ, টোয়েবু জলপ্রপাত ও সেখানে যাবার বনপথটি ; ১২শ, বিটুকেললোয়া গ্রাম ও সেখানে যাওয়ার পথটি ; ১৩শ, মহাদেবশাল ঝর্ণা ও কোল বোংগা গ্রাম ; ১৪শ, নৃসিংহদাস বাবাজীর আশ্রম, মনোহরপুর ; ১৫শ, হেন্দেসিরি ; ১৬শ, ছোটনাগরা বাংলো ; ১৭শ, সলাই বাংলো ; ১৮শ, সলাই থেকে আংকুয়া যাবার পথ ও পাশে কোইনা নদীর পাষাণময় গর্ত ; ১৯শ, চিড়িয়া খনি ; ২sশ, Lyall's look-out, রামদাতনের কাটালতা ভেঙে সেখানে গিয়েছিলাম ; ২১শ, উমুরিয়া বর্ণ ; ২২শ, বড় বড় শালের preservation plot ; ২৩শ, আংকুল্লা জলপ্রপাত , ২৪শ, সেচনের পয়োপ্রণালী , ২sশ, বড়ানাগরা ও ছোটানাগরা ( ঢোল ছুটি ও অভিরাম টুং রাজার ভগ্ন মন্দির), ২৬শ, কোদলীবাদে যে কুটিরে মিঃ সিন্‌ছ ১৯২৫ সালে ছিলেন । অনেকদিন লিখিনি। কাল সন্ধ্যায় ইন্দুবাবুর গাড়ীতে ধলভূমগড় থেকে ফিরে এসেচি। ৫ই জানুয়ারী তারিখেও একবার গিয়েছিলুম। বড় ভাল লাগে ও জায়গাটা । মুক্তপ্রান্তরের মধ্যে এখানে ওখানে খড়ের ঘরের সারি—এরোড্রোমের লোকদের বাসস্থান । শাল, মঙ্গল, হরীতকী ছাড়া বিদেশী কোন রোপিত ফুল-ফলের বৃক্ষ নেই, কোঠাবাড়ী এক-আধখানা ছাড়া বেশি নেই। বাদিকে দূরে চারচাকীর জঙ্গল দেখা যায়। শুকনো শালপাতার বেড়ার গন্ধ রোদ বী-বী দুপুরে ইসমাইলপুরের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । চারচাকার বনটি অতি চমৎকার, সেদিন যখন জ্যোৎস্না উঠলো আর কোনো বাড়ী-ঘর দেখা যায় নী—অত বড় বিরাট মুক্ত space যেন মায়াময় ছয়ে উঠলো। যে কোনো সময় ঘরে বা বারান্দাতে বসে সামনে চোখে পড়ে তালকী পাহাড় ও তার পটভূমিতে ঋজু ঋজু স্বীর্ঘ শাল তরুশ্রেণী—কাল আবার মেষ করাতে দৃশ্নটি এত স্বন্দর হয়েছিল। নীল হয়ে উঠেচে শৈলমালা। এখানে যদি কলকাতার শৌধীন লোকের বাড়ী করে টাউন বানাতে, বাড়ীর নাম দিতে ‘সন্ধ্যানিবাস জলক বনৰীৰি ‘Hiu view’ ‘অমুক নিলয়’ ‘Forest side' ইত্যাদি, বালিগঞ্জী ফ্যাশানে সামনে DD DD DBB DBB BB BBBB BBBS BB BBBB BB BBBS BBBB আকারের লোহার রেলিং বসানো গেই বলতেী—তাহলেই এই শালবন ও শৈলশ্রেণী, লাল 傳