পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८ङ्ग् चङ्गं] कृषीं कृ`e ●載や কাছে প্লেটু পেন্সিল বই নিয়ে পড়তে আসে—জামি বসে বলে মেটে প্রদীপের আলোয় দৃষ্টপ্রীপ লিখতুম | খামাচরণ দা’র বাড়ী বসে গল্প করে এদিন ওদের বাড়ীর খিড়কির পথে আমাদের পুরোনো ভিটের সামনে দিয়ে ফিরি। যেমন ফিরতুম বাল্যকালে, যখন মা ছিলেন, বাবা ছিলেন—আমাদের পুরোনো ভিটের বাড়ীটা বজায় ছিল। সে সব কত কালের কথা ! পরদিন আবার সকালে বড় চার আমতলায় বসলুম বনের মধ্যে শুষ্ক পাতার রাশির ওপর গামছা পেতে। এই বনের মধ্যে নিভৃতে চুপ করে বলে বন-বিহঙ্গের কাকলী শুনতে আমার যে কি ভাল লাগে। জীবনকে গভীর ভাবে অনুভব করি এই নির্জন বনভলে একা বলে। “আনন্দাদ্ধোৰ খঘিমানি সৰ্ব্বণি ভূতানি জায়ন্তে”—উপনিষদের বাণীর সার্থকতা ও সত্যত এখানে বসে বুঝতে পারি। হাটে গিয়ে পাটালি কিনলাম। ফিরে এসে সেদিন সন্ধ্যায় যে অপূৰ্ব্ব অভিজ্ঞতা হোল— তা এ ক'দিনের সব অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে গেল। সন্ধ্যায় বনভূমিপ্রান্তে ক্ষীরপুলি গাছের পেছনটাতে এক বসেচি চুপ করে—সামনে ছোট এড়াঞ্চি ফুলে ভরা ঝোপ-ঝাপ, সাই বাবলা গাছের পত্রশীর্ষ, বনপুষ্প-স্ববাস, পাখীর ডাক—সন্ধ্যায় অন্ধকার নেমে আসচে, বনভূমি আজও তেমনি স্বপ্নমাখা—কি স্বন্দর মধুমাখা সন্ধ্যা ! কল্যাণী আমার বলতেী—মানকু, এখানে বসবো | এই মাঠে । সেকথা মনে পড়লে এই সন্ধ্যায়। তার চোখে অসীম নির্ভরতার দৃষ্টি। কলকাতায় এলুম পরদিন গরুর গাড়ীতে। তিস্থ আমার সঙ্গে এল রানাঘাট স্টেশনে কচু কুমড়ে নিয়ে ওর দাদার শ্বশুরবাড়ীর জন্তে । মাঝের গায়ে মহীতোষ দা’র সঙ্গে স্টেশনে দেখা অনেকদিন পরে | কলকাতা থেকে আমতায় গেলুম শ্বশুরবাড়ী । সেই জাঙ্গিপাড়া স্কুলে যখন কাজ করতুম, গৌরী মারা গিয়েছিল—সেই সব শোকাচ্ছন্ন দিনের ছাপ আছে এই সব লাইনের গাছেপালায় মাঠে । সেই পথ দিয়েই আবার শ্বশুরবাড়ী যাচ্চি এতকাল পরে। খুব আশ্চর্ষ্য না ? কলকাতায় এৰাৱ দুজন লোকের সঙ্গে দেখা হোল বহুকাল পরে। খেলাত স্কুলের পুরোনে৷ হেডমাস্টার ক্ল্যারিঙ্গ সাহেব—আজকাল সে একজন ইহুদী স্কুলের হেডমাস্টার বউবাজারে । একেই নিয়ে ক্লার্কওয়েল সাহেবের স্বষ্টি জহুবর্তন’এ। আর ভাগলপুরের অধিক মোৰ যার লক্ষে অনেকদিন আগে ভাগলপুর থেকে দেওঘর হেঁটে গিয়েছিলাম। 'অভিযাত্রিক এ এ ঘটনার উল্লেখ করেচি। অম্বিকাকে একখণ্ড ‘অভিযাত্রিক’ উপহার দিলুম। ওর সঙ্গে ১৪/১৫ বছঃ পরে দেখা হোল—ও দেখতে তেমনিই আছে। জাজ লৰাই মিলে চারখানা গরুর গাড়ী করে বনের পথে ধাৱাগিৰি খাওয়া গিয়েছিল। গায়াপথ এমন enjoy করেছি কি বলবো। কাশিদা ছাড়িয়ে লাল শালুক ফোটা গেই বড়