পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢है चमब्रर्णj कधी कुंe $ጳፃ চাটগ থেকে রেণুর পত্র পেয়েছি কাল। ওর সঙ্গে যোগ এতদিন পরেও ঠিক বজায় আছে । কোথায় চলে গিয়েচে খুকু, কোথায় গিয়েচে স্থপ্রভা । দুদিন মোটে বৃষ্টি নেই। খরতর রোদে পুড়ছি। কাল বহুকাল পরে নদীর ধারে পুরনো পটুপটিতলায় বেড়াতে গিয়ে জলে নেমে কলমীশাক তুলে আনলুম। আমার বাল্যকালে এখানে সায়ের ছিল, আইনদি কয়াল ধান মাপতো । তারপর বহুদিন মন্থ রায় এ জমি বন্দোবস্ত নিয়ে এখানে পটলের ক্ষেত করে। নদীর বাকের এ জমির সে অপুৰ্ব্ব শোভা নষ্ট করেচে, বাল্যের সে মটরলতা দোলানো শোভামন্ত্র ঝোপঝাপ, সে নিভৃত স্বল্পভরা লতাবিতান কুডুলের মুখে অন্তৰ্হিত হয়েচে বহুকাল, কেন ? না, মন্থ রায় বা তার পুত্রপরিবার পটলভাজা খাবে। এখন আর সে পটলের ক্ষেত নেই। তাই বেড়াতে গিয়েছিলাম । নদীর ধারে ( একটা ছোট বিছে যাচ্চে, দেওয়াল বেয়ে উঠচে, কেন ওটা মারবো ? ) গিয়ে দাড়াই। ওপারে পাটকিলে ও খাটি সিদ্বরে রঙের মেঘের ছটা ঠিক স্বৰ্য্যকিরণের ছটার মত অৰ্দ্ধেক আকাশ জুড়ে বিরাজ করচে । যেন কোনো বিরাট পুরুষ অনন্ত, অসীম বিরাট বাছ প্রসারিত করে সারা বোম ছেয়েচেন । সেই অনাস্তম্ভ বিরাট পুরুষ যেমনি ঐ ক্ষুদ্র পুষ্পিত লতার মধ্যে প্রাণরূপী, তেমনি আবার ধারণাতীত বিরাটত্বের, বিশালত্বের মধ্যেও সমভাবে বিদ্যমান। তেঁতুল-তলার ঘাটে নদীর দিকের ঝোপটাতে সেই লতাটাতে সাদা সাদা ফুল ফুলচে, মটরতলায় ফলের খোলো ঝুলচে —শ্ৰীঅরবিন্দের কথায় “লচ্চিদানন্দ যেমন বন্ধীকন্তুপে তেমনি স্বৰ্য্যমণ্ডলে ।” স্থৰ্যমগুলে' কথাটা তিনি বলেন নি, বলেচেন “In the system of suns” অর্থাৎ বহু বিরাট স্বৰ্য্যাকার নক্ষত্ৰসমূহদ্বারা গ্রথিত বিশ্বে । মুক্তি! মুক্তি! মনের মুক্তি! আত্মার মুক্তি ! এই সন্ধ্যায় সীমাহীন আকাশের দিগন্তলীন অভ্র-বাছ যে দেবতার ছবি মনে আনে, তিনি আর তার এই গুমিল বর্ষীপুষ্ট বনকুঞ্জ মুবাসিত লতাপুষ্প মুক্তি দিতে সমর্থ। কিন্তু মুক্তি নিচ্ছে কে ? সবাই তুচ্ছ জিনিস নিয়ে ব্যস্ত। হে বন্ধ জীব, সন্ধ্যার আকাশতলে দাড়িয়ে সেই পরিপূর্ণ, অবাধ সেই মুক্তির বাণী শ্রবণ কর । একমুহূর্তে বন্ধত ছুটে যাবে (অর্থাৎ দূরে যাবে ), অমরত্ব নেমে আসবে প্ৰাণে-মনে । কাল রাত্রের ভীষণ গুমট গরমের পরে আজ নদীতে নামলুম স্নান করতে। আমনি ওপারের চরের দিকে চেয়ে দেখি নবনীল নীরদপুঞ্জ দিগন্তের নিচে থেকে ঠেলে উঠে ঝড়ের বেগে উড়ে আসচে এপারের দিকে, ভগবানের স্কিন্ধ করুণার মতো । কেউ কি দেখেচে এমন কাজল কালে মেঘের সঙ্গল অভিযান, ঘন মেঘমালার এলোমেলো আলুখালু হয়ে উড়ে আসার এ অপুৰ্ব্ব দৃশু ? আমার মনে পড়লে ভাগলপুরের আজমাবাদ কাছারিতে ওই ভাগ্রমাসেই আমি একবার এ দৃপ্ত দেখেছিলাম, সেও এই রকম সকালবেলা। বেনোয়ারী মণ্ডল পাটােয়ারীকে ডেকে তাড়াতাড়ি দেখালাম সে দৃপ্ত। আর কাকে দেখাই ? সেখানে আর কেউ ছিল না। বেনোয়াদী মণ্ডলকে প্রকৃতি-রসিক বলে আমি ডাকিনি, কাউকে ডেকে ভালো জিনিলের