পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6श् अद्भsij कधी कve $26. গাড়ী আবার ছাড়লো। আবার চলেছে বনের মধ্যে দিয়ে । বন যেন নিবিড় থেকে নিবিড়তর হয়ে উঠেছে । কোনো লোকালয় নেই। বনের মধ্যেই ছোট্ট একটা স্টেশন। তার নাম লেরো জংসন। এখান থেকে ঘনতর বনের মধুে একটা লাইন বেঁকে পূৰ্ব্বদিকে অদৃপ্ত রহস্তপথে অন্তৰ্হিত হোল, না জানি ওদিকে আবার কত বন, কত বর্ণ, কত বিচিত্র লতার দুলুনি, কত সৌন্দৰ্য্যময়ী বনস্থলী। মন যেন নেচে ওঠে, চোখ পিপাসিত দৃষ্টিতে সেদিকে চেয়ে থেকে। —ও লাইনটি কোথা গেল ? —রাসবিহারীবাবু বল্লেন—দুধিয়া মাইনস্ —সে কতদূর ? e —ত এখান থেকে ন মাইল । —ওপথে যাওয়ার উপায় কি ? —হেঁটে বা ট্রলিতে যাবেন ? —নিশ্চয়ই যাবো। আপনি ব্যবস্থা করবেন ? —যখন বলবেন, করে দেবো । o বেলা ন’টার সময় ট্রেন চিড়িয়াতে পৌছল। রেল লাইনের বাদিকে ৩• • • হাজার ফুট উচু পাহাড় বুদ্ধবুরু ও অজিতাবুরু । বুদ্ধদেবের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই এদের, এদেশী ভাষার নাম। পাহাড়ের ওপর থেকে লৌহগ্রস্তর কেটে নামানো হচ্চে, পাহাড়ের ওপর থেকে নীচু পর্য্যন্ত ট্রলি লাইন আছে। ছোট লাইনটা এখানেই শেষ হয়ে গেল। আশপাশের ছোটখাটে পাহাড়ের ওপর খনির ম্যানেজার, ওভারসিয়ার প্রভৃতির বাংলো। একজন বাঙালী ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ হলো, তিনি এই খনির ডাক্তার, নাম ডাঃ কানাইলাল গাঙ্গুলী। তদ্রলোক অতি অমায়িক, প্রথম আলাপেই আত্মীয়তা প্রদর্শন করে তার বাংলোতে সেদিন আমায় নিমন্ত্রণ করলেন । আমাদের সময় কম ছিল বলেই তার এ সদয় প্রস্তাবে আমরা রাজি হতে পারিনি। বনপথে হেঁটে একটা পাহাড়ের পাশ দিয়ে ক্ষুদ্র একটি বনগ্রাম পার হয়ে আমরা আংকুর ফরেস্ট বাংলোতে এসে পৌঁছলাম। কি সুন্দর এই আংকুয়া বাংলোটি, কি মনোরম এর পরিবেশ । একটা ছোট পাহাড়ের মাথায় এই বাংলো, পাহাড়ের পাদমূল ধৌত করে বইচে একটি পাহাড়ী নদী, বাংলোর সামনে পাহাড়ের মাথায় সমভূমিতে চেয়ার পেতে আমরা বললাম । ছোট টেবিল সামনে পেতে চা দিয়ে গেল বাংলোর চৌকিদার। সঙ্গে আমাদের খাবার ছিল । অমন জায়গায় বসে চা খাওয়ার অভিনবত্ব আমি ভালভাবে উপভোগ করবে বলে জলের গভীর বনভূমির দিকে চেয়ে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিই। কত রকমের গাছ চারিদিকে— অৰ্জুন, আসান, শাল, ধ ও পিয়ালাল। বাতালে বনভূমির স্কিন্ধ গন্ধ। তাকবাংলোর চৌকিদারের ৰেী, একটি স্বাস্থ্যবতী হে রমণী, জামাদের জলটল এনে