পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ্কৃতি গঢ়মাবলী নেশার মত তর্কের নেশাও একবার পাইয়া বলিলে জার ছাড়িতে চায় না । নারাণবাৰু বলিলেন, আজ একটু যোগৰাশিষ্ট পড়া হল না ! —তা বেশ তো, পড়ুন না। অারও রাত হোক। অনেক রাত্রে নারাণবাৰুর বন্ধু রায় বাহাদুর শরং সাভাল বিষ্কায় গ্রহণ করিলে নারাণবাৰু রান্না চড়াইলেন। মনে এত জানন্দ, ও-বেলার বালি পুটিমাছ ভাজা ছিল, তাই দিয়া বোল চড়াইলেন আর ভাত-জার কিছু না। মনের আনন্দই মানুষকে তাজা রাখে, খাইয়া ।। - খাওয়া শেষ হইলে সাহেবের ঘরের দিকে উকি মারিয়া দেখিলেন, সাহেবের টেবিলে আলো অলিতেছে, অত রাজে লাহেৰ লেখাপড়া করিতেছেন নাকি । নারাণবাবুর ইচ্ছ। হইল, ঘরে ঢুকিয়া দেখেন সাহেব কী পড়িতেছেন! সাহেব বলিলেন, কাম ইন। —ইয়েল ? —না, এমনি দেখতে এলাম, আপনি কী পড়ছেন । —অামি আপিসের কাজ করছিলাম । ৰোল । —স্তার, কলকাতার মত জায়গা নেই। —আমাদের মত লোক অজ্ঞ জায়গায় গিয়ে থাকতে পারে না। আমার এক ভাই চায়নাতে আছে—মিশনারি। ক্যান্টন থেকে নদীপথে যেতে হয়—অনেক দূর। আগে সে ব্রিটিশ গানবোটে মেডিক্যাল অফিসার ছিল, এখন মিশনারি হয়েছে। সে কিন্তু চীনদেশের একটা অজ-পাড়াগায়ে মিশনে থাকে। আমি একবার গিয়েছিলাম সেখানে, গিয়ে আমার बन। ६ांश्लिंघ्र ऎंठैल । —আমিও স্তার বরিশালে গিয়েছিলাম ছুটিতে, আমার মন টেকে নি। একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয়ী কহিলেন, স্কুলটাকে আরও ভাল করতে হবে তার। —আমিও তাই ভাবছি। একটা বিজ্ঞাপন দেৰ কাগজে, আরও ছেলে হোক ! ছজনে বসিয়া স্কুলের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অনেক কথাবাৰ্ত্ত হইল। নারাশবাৰু বিদায় লইয়া শয়নের জন্ত গেলেন। শ্রাবণ মাসের দিকে স্কুলের কাজ ভয়ানক বাড়িল । এই সময় একজন নতুন মাস্টার স্কুলে নেওয়া হইল—বেশী বয়স নয়, বিশের মধ্যে। লোকুট কবিতা লেখে, বড় বড় কথা বলে অবস্থাও বোধ হয় ভাল। কারণ, সাধারণ ৰুলমাস্টারদের অপেক্ষ ভাল লাগোজ করিয়া স্থলে আলে, বেশির ভাগ আপন মনে বলিয়া