পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—নামগুলো দিয়ে আমার কাছে। —বলেন তো ওদের ক্লাস-ওয়ার্ক দেখি আজ থেকে । রিপোর্ট করি । একদিন মিঃ আলম চুপি চুপি সাহেবের কাছে আসিয়া বলিল, তার মাস্টারেরা, নতুন টীচারকে নিয়ে দল পাকাচ্ছে। —কে কে ? —ঙ্গার, ক্ষেত্রবাবু, যদুবাবু, শ্ৰীশবাবু, জ্যোতিৰ্ব্বিনোদ, দত্ত, বোল—কেবল নারাণবাবু নয়। —নারাণবাৰু ইজ অ্যান ওল্ড লয়্যালিস্ট। —স্তার, নতুন টীচারকে নিয়ে দল পাকায়—মোড়েই ওই চায়ের দোকানে রোজ ছুটির পর ওদের নীট হয়। নতুন টাচার ওদের দলপতি। —তোমাকে কে বললে ? —ক্লার্ক হবল দে আমায় সব কথা বলে । ও ওদের দলে যোগ দিয়ে শুনে এসে আমায় বলেছে। আমাদের স্থলের সম্বন্ধে ইউনিভার্সিটিতে নাকি ওরা জানাবে। নতুন টীচারের কে আত্মীয় আছে ইউনিভার্সিটিতে। —দেখ মি: আলম, যে যা পারে করুক। আর ও-সব স্পাইগিরি আমি পছন্দ করি নে ৷ এটা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, এর মধ্যে ও-সব দলাদলি, ডার্টি পলিটিক্স,—আই হেটু। আমার একমাত্র উদেশ্ব ছেলেদের শিক্ষা, স্কুলকে ভাল করব। গড ইজ অন মাই সাইড– —আমার মনে হয়, ওই নতুন টীচারকে না তাড়ালে স্কুলে দলাদলি আরও বাড়বে। ও-ই ভাঙবে স্কুলটাকে । ও লোক স্ববিধের নয় । কিন্তু এ রিপোর্টে ফল উলটা হইল। সাহেবের কাছে মাস দুইয়ের মধ্যে নতুন টীচারের প্রতিপত্তি বাড়িয়া গেল। মাস্টারের সব নতুন টীচারকে লিডার বানাইয়াছে, তাহাঙ্গের অভাব-অভিযোগের কথা নতুন টাচারের মুখে ব্যক্ত হয় হেডমাস্টারের কাছে। আজ ইহাকে দুই টাকা আগাম দিতে হইবে, কাল টীচার্স এড, ফও হইতে উহাকে পাচ টাকা ধার দিতে হুইবে—নতুন টীচারকে মুখপাত্র করিয়া সবাই পাঠাইয়া দেয়। . সাহেব বলেন, কী, রামেন্দুবাৰু? - —স্তার, আজ বন্ধুবাবুকে কিছু আগাম দিতে হবে। —কেন ? ও-মাসে দেওয়া হয়েছে সাত টাকা । —ওঁর বড় ঠেকা ! দেন হয়েছে— - —বড় অবিবেচক লোক ওই যত্নবাবু। আমি শুনেছি, ও রেস খেলে। —ন স্যার। রেস খেলার পয়সা কোথায় পাবেন ? মেগে থাকেন এখানে— মি: আলমের কানে কথাটা উঠিল। আজকাল নতুন টীচার সাহেবের কাছে মাস্টারদের জঙ্ক স্বপারিশ করে এবং তাহাতে ফলও হয়। আলম একদিন স্বৰল দে কেরানীকে বাহির একটা চায়ের দোকানে লইয়া গেলেন। বলিলেন, স্ববল, এ সব হচ্ছে কী ? —কী বলুন, স্তার