পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী ছিল। তা বোধ হয় হল না। আমি বললাম—কেন হল না ? উনি বললেন, টাকা নেই সঙ্গে, দাদার কাছে চাবি। মনে করে নিয়ে রাখতে ভুলে গিয়েছিলাম। আমি বললাম--তা আর কী ! যন্ধুবাবুর ফিরতে রাত হবে দশটা। আপনার কত দরকার, নিয়ে স্বান। পরম্পর বন্ধুবান্ধবের মধ্যে এসব—মেস-মেটের ভাই, আপনার কাছে নেই বলে কি আর অভাব ঘটবে ? —কত নিয়ে গেল ? —ছু টাকা বললেন দরকার। আর ছ টাকা নিয়েচেন বুঝি আপনার পিসিমার জন্যে কী ওষুধ কিনতে হবে—দোকান বন্ধ হলে আজ আর পাওয়া যাবে না-কাল সকালেই বুঝি উনি চলে যাবেন। তা থাক, তার জন্যে কী, এখন দেবার তাড়া নেই। মাইনে পেলে শনিবার দেবেন, এখন কাজটা তো হয়ে গেল। যদুবাৰু অতিকষ্টে রাগ মামলাইয়া ঘরে ঢুকিলেন এবং একটু পরেই অবনী সিনেমা হইতে ফিরিয়া ঘরে ঢুকিল। দাত বাহির করিয়া বলিল, এই যে দাদা, দেখে এলাম সিনেমা। থাকি গায়ে পড়ে, ওসব দেখা অদৃষ্টে ঘটেই না তো। সতীশবাবুর কাছ থেকে গোটাচারেক টাকা নিয়ে গেলাম। কুড়ি টাকার মধ্যে চার টাকা সতীশবাবুকে আর ষোলটা দেবেন एषांषांङ्ग । স্বছবাৰু দেখিলেন, অবনী ধরিয়াই লইয়াছে—কুড়ি টাকা তাহার হাতের মুঠার মধ্যে জালিয়। গিয়াছে। কুড়ি টাকা তো দূরের কথা, এই বহু-কষ্টাৰ্জ্জিত টাকার মধ্যে চার টাক এভাবে বাজে ব্যয় হওয়াই কি কম কষ্টকর ? এ চার টাকা দিতেই হইবে ভজ্ঞতার थाडिएन । षष्ठूदाबूत दरु डाश cष, cन कूज़ि ऎाको थाह करद्र नाझे ! এমন মুশকিলে তিনি জীবনে কখনও পড়েন নাই। কেন মিছামিছি শরিক-জ্ঞাতিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠত করিতে গিয়াছিলেন । এখন তাহার ধাক্কা সামলাইতে প্রাণ যে যায় ! যদুবাৰুর ইচ্ছা হইল, তিনি হঠাৎ চিৎকার করিয়া উঠিয়া হাত-পা ছোড়েন, অবনীকে ধরিয়া ছুমদাম করিয়া কিল মারেন, কিংবা একদিকে ছুটিয়া বাহির হইয়া যান। কিন্তু মেসের ভালোকদের মধ্যে কিছুই করিবার জো নাই। তিনি শাস্তমুথে তামাক সাজিতে বসিয়া গেলেন । অবনী উৎসাহের সঙ্গে সিনেমায় কী দেখিয়া আসিয়াছে, তাহার গল্প সবিস্তারে আরম্ভ করিল। গল্প তার আর শেষ হয় না। যন্ধুবাবু বলিলেন, চল, খেয়ে আলি। অবনী হাসিয়া বলিল, আজ এখনও হয় নি। আজ যে আপনাদের মেসে ফিস্ট ! আমি খোজ নিয়ে এলাম রান্নাঘরে, এখনও দেরি আছে। সৰ্ব্বনাশ ! আট আন ফ্ৰেণ্ডচার্জ আজ ফিটের দিনে ! এ ভূতভোজন করাইয়া লাভ কী তাহার রক্ত-জলকরা পয়সায় ! অবনী পরের দিনও নড়িতে চাহিল তো না-ই, টাকার তাগাদ করিয়া যত্নবাবুকে উৰ্যন্ত করিয়া তুলিল। রাত দশটায় ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন, অবনী কাহার কাছে খবর গাইয়াছে,