বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিয়াজ-বেী r ! সেই দিন দুপুর-বেল বিরাজ স্বামীকে ভাত বাড়িয়া দিয়া অদূরে বসিয়া পড়িয়া বলিল, আচ্ছা, তুমিই বলে দাও, আমি কি দিয়ে রোজ রোজ তোমার পাতে ভাত দি ? তুমি এ খাবে না, সে খাবে না-শেষ কালে কি না, মাছ পৰ্যন্ত ছেড়ে দিলে । নীলাম্বর থাইতে বসিয়া বলিল, এই তা এত তরকারি হয়েচে । এত কতা! ঐ থোড় বড়ি খাড়া, আর খাড়া বড়ি থোড় । এ দিয়ে কি পুরুষমানুষ খেতে পারে? এ সহর নয় যে, সব জিনিস পাওয়া যাবে; পাড়াগ, এখানে সম্বলের মধ্যে ঐ পুকুরের মাছ-তাও কি না। তুমি ছেড়ে দিলে ? পুটি কোথায় গেলি ? বাতাস কবি আয়-না, সে হবে না-আজ যদি একটি ভাত পড়ে থাকে ত তোমার পায়ে মাথা খুঁড়ে মন্ত্ৰব! - নীলাম্বর হাসিমুখে নিঃশব্দে আহার করিতে লাগিল। বিরাজ রাগিয়া বলিল, কি হাস, আমােৱ গা জালা করে । দিন দিন তোমার খাওয়া কমে আসছে—সে খবর রােখ ? গলার হাড় বেরোবার যো হচে, সে দিকে চেয়ে দেখা ? নীলাম্বর বলিল, দেখোঁচি, ও তোমার মনের ভুল। বিরাজ কহিল, মনের ভুল ? তুমি গুণে একটি ভাত কম খেলে আমি বলে দিতে পারি, রতি-পরিমাণ রোগ হলে আমি গায়ে হাত দিয়ে ধ’রে দিতে পারি তা জান ? যা ত পুটি, পাখা রেখে রান্নাঘর থেকে তোর দাদার দুধ নিয়ে আয়। " হরিমতি একধারে দাড়াইয়া বাতাস সুরু করিয়াছিল, পাখা রাখিয়া দুধ আনিতে গেল। বিরাজ পুনরায় কহিল, ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম কম্বুবার ঢের সময় আছে। আজ ওবাড়ীর পিসিম এসেছিলেন, শুনে বললেন, এত কম বয়সে মাছ ছেড়ে দিলে চোখের জ্যৈাতি ক’মে যায়, গায়ের জোর ক’মে যায়-না না, সে