বিরাজ-বীে גw বলিল, দুপুর-বেলা মতি চাঁড়াল এসে আমার পা দুটাে জড়িয়ে ধরেছিল। তাদের বিশ্বাস, আমার পায়ের ধূলো না পড়লে তার ছিমন্ত বাঁচবে না, আমাকে একবার যেতে হবে । তাহার মুখপানে চাহিয়া বিরাজ স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল। খানিক পরে বলিল, এই রোগা দেহ নিয়ে তুমি যাবে ? কি কয়ব বিরাজ, কথা দিয়েছি, আমাকে একবার যেতেই হবে। কথা দিলে কেন ? নীলাম্বর চুপ করিয়া রহিল। বিরাজ কঠিনভাবে বলিল, তুমি কি মনে করু, তোমার প্রাণটা তোমার একলার, ওতে কারও কিছু বলবার নেই ? তুমি যা ইচ্ছে তাই কয়তে পার ? নীলাম্বর কথাটা লঘু করিয়া ফেলিবার জন্য হাসিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু স্ত্রীর মুখের পানে চাহিয়া তাহার হাসি আসিল না। কোনমতে বলিয়া ফেলিল, কিন্তু তার কান্না দেখলে DBDBS S DBDBB BDBBBD BB DDDBSDD DDDSS S SDBD BDBB দেখলে-কিন্তু আমার কান্না দেখবার লোক সংসারে আছে কি ! বলিয়া চারপাত জোড়া চিঠিখানা তুলিয়া লইয়া কুচি কুচি করিয়া ছিাড়িয়া ফেলিতে ফেলিতে বলিল, উঃ । পুরুষমানুষেরা কি ! চার দিন চার রাত না খেয়ে না ঘুমিয়ে কাটালুম-ও হাতে হাতে তার প্রতিফল দিতে চলল। ঘরে ঘরে জ্বর, ঘরে ঘরে বসন্ত-এই রোগ দেহ নিয়ে ও রোগী ঘাঁটতে চলল-আচ্ছা যাও, আমার ভগবান আছেন। বলিয়া আর একবার বালিশে বুক দিয়া উপুড় হইয়া শুইয়া পড়িল । নীলাম্বরের ওষ্ঠধরে অতি সুহ্ম, অতি ক্ষীণ হাসি ফুটিয়া উঠিল ; ধীরে ধীরে বলিল, সে ভরসা কি তোদের আছে বিরাজ, যে কথায় কষ্মায় ভগবানের দোহাই পাড়িসী।
পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮
অবয়ব