পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাজ-বেী আমি ভাবচি। নদীতে দুটাে পুটমাছ থাকবার জল নেই, লোকটা সকাল থেকে একটা মস্ত হুইল-বাধা ছিপ ফেলে সারা দিন বসে আছে। বিরাজ চুপ করিয়া রহিল, সে কোন মতেই স্বামীর হাসিতে যোগ দিতে পারিল না । নীলাম্বর বলিতে লাগিল, কিন্তু এ ত ঠিক নয়। ভদ্রলোকের খিড়কির ঘাটের সামনে সমস্ত দিন ব'সে থাকলে মেয়ে-ছেলেরাই বা যায় কি ক’রে ? আচ্ছা, তোদের নিশ্চয়ই তা ভারি অসুবিধে হচ্ছে ? বিরাজ বলিল, হ’লেই বা কি কয়ব ? নীলাম্বর ঈষৎ উত্তেজিত হইয়া বলিল, তাই হবে কেন ? ছিপ নিয়ে পাগলামি কম্বুবার কি আর জায়গা নেই। না, না, কাল সকালেই আমি কাছারীতে গিয়ে ব’লে আসব-সখি হয়, উনি আর কোথাও ছিপ নিয়ে ব’সে থাকুন গে ; কিন্তু আমাদের বাড়ীর সামনে ও সব চলবে না। স্বামীর কথা শুনিয়া বিরাজ ভীত হইয় উঠিল, ব্যস্ত হইয়া বলিল, না, না, তোমাকে ও সব বলতে যেতে হবে না ; নদী আমাদের একলার নয় যে, তুমি বারণ ক’রে আসবে! নীলাম্বর বিস্মিত হইয়া বলিল, তুই বলিস কি বিরাজ। নাই হ’ল নদী আমার ; কিন্তু লোকের একটা ভালমন্দ বিবেচনা থাকবে না ? আমি কালই গিয়ে ব’লে আসব, না শোনে নিজেই ঐ সকল ঘাট-ফাট টান মেরে ভেঙ্গে ফেলব, তার পরে যা পারে, সে করুক। কথা শুনিয়া বিরাজ স্তম্ভিত হইয়া গেল। তার পর ধীরে ধীরে বলিল, তুমি যাবে জমিদারের সঙ্গে বিবাদ করতে ? DDBBD DBDBDS BB BDB DSS DDBBD DBSB D DBD DBuu করবে। তাই সয়ে থাকতে হবে ? অত্যাচার কমুচে, তুমি প্রমাণ করতে পাের ? নীলাম্বর রাগিয়া বলিল, আমি এত তর্কের ধার ধারি। নে ; স্পষ্ট