বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাজ-বেী by7D

রাজেন্দ্ৰ হতবুদ্ধি হইয়া গিয়াছিল-জবাব দিতে পারিল না। { বিরাজ বলিতে লাগিল, আপনার জমিদায়ী যত বড়ই হউক, যেখানে এসে দাড়িয়েছেন সেটা আমার। হাত দিয়া ও-পারের ঘাটটা দেখাইয়া বলিল, আপনি যে কত বড় ইতার, তা ঐ ঘাটের প্রত্যেক কাঠের টুকরোটা পৰ্যন্ত জানে, আমিও জানি। বােধ করি আপনার মা বােন নেই। অনেক দিন আগে আমার দাসীকে দিয়ে এখানে ঢুকতে নিষেধ করেছিলাম, তা

नांश्*नि 6*नन्न नि । রাজেন্দ্র এত অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিল যে, তখনও কথা কহিতে °ांड्रिल न । বিরাজ বলিল, আমার স্বামীকে আপনি চেনেন না, চিনলে কখনই আসতেন না। তাই আজ ব’লে দিচ্চি, আর কখনও আসবার পূর্বে তাকে চেনবার চেষ্টা করে দেখবেন, বলিয়া ধীরে ধীরে চলিয়া গেল। বাড়ীতে ঢুকিতে যাইতেছে, দেখিল পীতাম্বর একটা গাড় হাতে লইয়া দাড়াইয়া আছে। বহু দিন হইতেই তাহার সহিত বাক্যালাপ ছিল না, তথাপি সে ডাকিয়া বলিল, বৌঠান, যার সঙ্গে এতক্ষণ কথা কইছিলে সেই ওই জমিদারবাবু না ? চক্ষের নিমেষে বিরাজের চোখ মুখ রাঙা হইয়া উঠিল; সে ‘ই’ বলিয়া ভিতরে চলিয়া গেল । ঘরে গিয়া নিজের কথা সে তখনই ভুলিল, কিন্তু ছোটবেীর জন্য মনে মনে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল। কেবলই ভাবিতে লাগিল, কি জানি, তাহাকে ঠাকুরপো দেখিতে পাইয়াছে কি না ; কিন্তু অধিকক্ষণ ভাবিতে হইল না, মিনিট-দশেক পরে ও-বাড়ী হইতে একটা মারের শব্দ ও চাপা। বিরাজ ছটিয়া আসিয়া রান্নাঘরে ঢুকিয়া কাঠের মূৰ্ত্তির মত বসিয়া পড়িল।