সন্ন্যাসীর চিঠি।
(৩)
বিলাত-যাত্রীর দু-খানি চিঠি লিখেছি। এখন আমি বিলাতবাসী তাই প্রবাসীর ছাঁদে লিখিতে বসেছি।
বিলাত―কথাটার মানে কেহ কেহ বােধ হয় জানেন না। বিলায়েৎ শব্দে পারসীতে স্বদেশ বা বাড়ী বুঝায়। যাহা ইংরেজের বিলায়েৎ বা দেশ তাহাকে আমরা বিলাত বা বিলেত বলি। আমি অনেক দেশদেশান্তর ঘুরেছি—বিদেশ বােলে কোন কষ্ট কখনও অনুভব করি নাই। কিন্তু এবার সন্ন্যাসীগিরি ঘুরিয়ে দিয়েছে। কেবল আলু সেদ্দো আর কপি সেদ্দো খেয়ে খেয়ে বিঘ্নি হয়ে গেছে। মনে হয় দেশে ছুটে যাই আর একটা ঝালঝাল তরকারি ও তেঁতুল চেরার টক খেয়ে জিভটাকে শাণিয়ে নি। একটু সুরা আর মাংস গ্রহণ করিতে এখানকার বন্ধুরা আমাকে খুব পীড়াপীড়ি করেন কিন্তু আমি রাজি নহি। আর যা করি না করি—আমিষ মদিরা ও ইংরেজি পােষাক একান্ত পরিবর্জ্জনীয়।
আমার স্বর্গীয়া পিতামহী বলিতেন—ছেলেগুলাে নেক্চর দিয়ে দিয়ে উচ্ছন্ন গেল। আমি ত ঊক্ষপারে এসে তিন তিনটে বক্তৃতা দিয়েছি। উচ্ছন্ন ত গেছি আর এই বক্তৃতার চোটে বঙ্গবাসীতে চিঠি লেখাও হয় নাই—পাঠক মহাশয়েরা ক্ষমা করিবেন।
এখানে প্রথম দিন রাস্তায় বেরিয়ে মহা বিপদ। ছেলেরা—দেখ দেখ (look look)—বােলে আমার পানে ছুটে আসে—পুরুষেরা মুচকে হাসে―