এক এক জন দারোগার সঙ্গে দুজন কোরে যণ্ডামার্ক লোক থাকে। তাদের ছেলেরা নাম রেখেছে ডালকুত্তো (Bull-dog)। যদি কোন ছেলে ঐ রকম নিম্ন শ্রেণীর মেয়েদের সঙ্গে কথা কয় বা বেড়াতে যায় তা হোলে দারোগা তার নাম ও কোন কালেজের ছাত্র তা লিখে নেয়। অনেক ছেলে পালাতে চেষ্টা করে ও অলিগলি ঘেসে দৌড় দেয়। ডালকুত্তোরা অমনি পেছু পেছু ছোটে ও গ্রেপ্তার করে আনে। দারোগা রিপোর্ট কোল্লে ছেলেদের খুব সাজা হয়। তবে ছেলেরা খুব তৈয়ের। দারোগাকে ফাঁকি দিতে বেশ জানে।
আমার নিজের কথা বড় একটা বঙ্গবাসীতে লিখিনি। লিখিলেই মিথ্যার প্রশ্রয় দেওয়া হবে। এখানে কতকগুলা ভূতুড়ে বা ভূতের গল্পপ্রিয় লোক আছে। তারা মনে করে যে হিন্দু হোলে পরের মন জানতে পারা যায় দেওয়ালের ভিতর দিয়ে দেখতে পাওয়া যায় প্রেতসিদ্ধ হওয়া যায়। জাত ইংরেজ কি না তাই কেবল ক্ষমতা ও ঐশ্বর্যের দিকে নজর—ভক্তি বা অদ্বৈতজ্ঞান লাভ হবে এ সব কথা মাথায় যায় না। এরা আমায় পাকড়াও করেছিল। বক্তৃতার উপর বক্তৃতা। ভারি হৈ চৈ পোড়ে গিয়েছিল। যদি কাগজে সে সব লিখি বা লেখাই তা হোলে ধারণা হবে যে কি একটা ব্যাপার হয়েছে। কিন্তু সত্যের অপলাপ একটুও হবে না—যদি বলা যায় যে এরা অতি অকর্ম্মণ্য লোক। আবার এদের মধ্যে মেয়ে মানুষই ঢের। ভারতের যে কি দুর্দ্দশা তা বলা যায় না। যত মেয়ে তেড়ে ফুড়ে ভারতের দর্শনতত্ত্ব শিখতে আসে। শুধু শিখতে আসে তা নয় আচার্য্য হোতে চায়। এই সব মেয়েরা আমায় ধরেছিল। লণ্ডনে এক মস্ত সৌখীন লোকদের আড্ডায় (Sesame club) আমায় নিয়ে গিয়ে খানা দিয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখি যে সৌখীন মেয়েরা সন্ধ্যাবেলার পোষাক পোরে এসেছে। সন্ধ্যার