পাতা:বিলাপ - অমৃতলাল বসু.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগরের স্বর্গে আবাহন।
১৭  

চিরদিনই হা হুতাশ,
চিরদিনই বনে বাস;
দয়ার পানে দয়া করে
স্থান দেয় না কেউ ত ঘরে।
ক্বচিত কারুর দয়া হয়
যদি দয়ারে দেয় আtশ্রয়,
আম্নি কাঁন্না কাটনী বেদন যেথা,
হাত ধরে মোর নে যায় সেথা
মুছি মুছাই চক্ষের জল,
জন্মে আমার কর্ম্ম ফল।

 ব্রাহ্মণ। আহা, বড় ঘরের মেয়ে হয়ে বাছা এত দুঃখ পাচ্ছ? আমরা কলকেতায় যাচ্ছি, আমাদের সঙ্গে যাবে?

 দয়া। সেথায় তোমরা কি কত্তে যাচ্ছ বাবা?

 ব্রাহ্মণ। বাছা আমরা দুঃখী, তুমিও দুঃখী, বিশেষ মা তোমার নামটীও দয়া, মুখটীও যেন মায়া মাখা, তোমার কাছে দুঃখের কথা বলি; যৎকিঞ্চিৎ ব্রহ্মত্তর ছিল, জমিদার মহাশয় তা কেড়ে নিয়েছেন, ছেলেটী তেমন লেখাপড়া শেখেনি, তায় রুগ্ন, নিজের এই স্থবির অবস্থা, দিন চলা ভার, পিতৃপিতামহের নাম রাখবার ভরসা এই পৌত্রটী, এ যদি লেখাপড়া শিখে ভবিষ্যতে মানুষ হয়, তবেই ব্রাহ্মণের ঘরটা বজায় থাকে, লেখাপড়া শেখাবার সঙ্গতিও নাই, এতদিন কিছুই কত্তে পারিনে, সম্প্রতি কিছুদিন হল কলকেতা থেকে একজন মহাপুরুষ এসে এখানে বাস করেছিলেন, পরম্পরায় শুনলেম যে তাঁর অতুল বিদ্যা, অসীম দয়া, এমন কি এই পাহাড়ী সাওতালগুলোকে তিনি মানুষ করে