পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিয়াছি। এখন সে ধুচুনি কুলো বনিয়া বিক্রয় করে, শূয়ার চরায়। ভাল কায়স্থ সন্তানকে কসাইয়ের মেয়ে বিবাহ করিয়া কসাই হইয়া যাইতেও দেখিয়াছি । আজ সে স্বহস্তে গরু কাটিয়া বিক্রয় করেতাহাকে দেখিয়া কাহার সাধ্য বলে, কোন কালে সে কসাই ভিন্ন আর-কিছু ছিল। কিন্তু, সকলেরই ওই একই হেতু । আমার তাই ত মনে হয়, এমন করিয়া এত সহজে পুরুষকে যাহারা টানিয়া নামাইতে পারে, তাহারা কি এমনিই অবলীলাক্রমে তা হাদের ঠেলিয়া উপরে তুলিতে পারে না ? যে পল্লীগ্রামে পুরুষদের সুখ্যাতিতে আজ পঞ্চমুখ হইয়া উঠিয়াছি, গৌরবটা কি একা শুধু তাঁহাদেরই ? শুধু নিজেদের জোরেই এত দ্রুত নীচের দিকে নামিয়া চুলিয়াছে ! আনন্দরের দিক হইতে কি এতটুকু উৎসাহ, এতটুকু সাহায্য আসে না ? কিন্তু থাক । বোকের মাথায় হয়ত বা অনাধিকার চর্চা করিয়া বসিব । কিন্তু আমার মুশকিল হইয়াছে এই যে, আমি কোনমতেই ভুলিতে পারি না, দেশের নব্বইজন নির নারীই ঐ পল্লীগ্রামেরই মানুষ এবং সেইজন্য কিছু একটা আমাদের করা চাই । যাক বলিতে ছিলাম যে, দেখিয়া কে বলিবে এ সেই মৃত্যুঞ্জয় । কিন্তু আমাকে সে খাতির করিয়া বসাইল। বিলাসী পুকুরে জল আনিতে গিয়াছিল আমাকে দেখিয়া সেও ভারি খুশি হইয়া বার বার বলিতে লাগিল, তুমি না। আগালালে সে রাত্তিরে আমাকে তারা মেরেই ফেলত। আমার জন্যে কত মারই না জানি তুমি খেয়েছিলে । কথায় কথায় শুনিলাম, পরদিনই তাহারা এখানে উঠিয়া আসিয়া ক্ৰমশঃ ঘর বঁাধিয়া বাস করিতেছে এবং সুখে আছে । সুখে যে আছে, এ কথা আমাকে বলার প্রয়োজন ছিল না, শুধু তাহদের মুখের পানে চাহিয়াই আমি তাহা বুঝিয়াছিলাম। তাই শুনিলাম, আজ কোথায় নাকি তাহদের সাপ-ধরার বায়না Sct