পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতেছিল, কিন্তু আজ তাহার হঠাৎ মনে হইতেছিল, কিছুই নাকিছুই না । তাহার কোন কাজেই তাহার কোন বিঘ্ন ঘটায় না ! সমস্ত মিথ্যা, সমস্ত ফাকি । সে ধরিতেও চাহে ন-ধরা দিতেও চাহে না । ওই দুর্বল দেহটা অকস্মাৎ কি করিয়া যেন একেবারে পাহাড়ের মত কঠিন ও অচল হইয়া গেছে।-কোথাকার কোন ঝঞ্জাই আর তাহাকে একবিন্দু বিচলিত করিতে পারে না । কিন্তু তথাপি জন্মতিথি-উৎসবের বিরাট আয়োজন আড়ম্বরের সঙ্গেই চলিতেছিল । পো-থিন আজ সর্বত্ৰ, সকল কাজে । এমন কি, পরিচিতদের মধ্যে একটা কানাম্বুষাও চলিতেছিল যে একদিন এই লোকটাই এ বাড়ির কর্তী হইয়া উঠিবে- এবং বোধ হয়, সেদিন বড় বেশী দূরেও নয়। গ্রামের নরনারীতে বাড়ি পরিপূর্ণ হইয়া গেছে—চারিদিকেই আনন্দ-কলরব । শুধ যাহার জন্য এই-সব সেই মানুষটিই বিমনাতাহারই মুখ নিরানন্দের ছায়ায় আচ্ছন্ন। কিন্তু এই ছায়া বাহিবের কাহারো চোখেই প্ৰায় পড়িল না-পড়িল কেবল বাটীর দুই-একজন সাবেক দিনের দাস-দাসীর । আর পড়িল বোধ হয় তাহার-যিনি অলক্ষ্যে থাকিয়াও সমস্ত দেখেন । কেবল তিনিই দেখিতে লাগিলেন, ওই মেয়েটির কাছে আজ সমস্তই শুধু বিড়ম্বন । এই জন্মতিথির দিনে প্ৰতিবৎসর যে লোকটি সকলের আগে গোপনে তাহার গলায় আশীৰ্বাদের মালা পরাইয়া দিত, আজ সে-লোক নাই, সে-মালা मांश् , 6न-डाकौर्वप्निद्ध यांङ ७ीकारु अङाद । মা-শোয়ের পিতার আমলের বৃদ্ধ আসিয়া কহিল, ছোটমা কৈ তাহাকে ত দেখি না ? বুড়া কিছুকাল পূর্বে কর্মে অবসর লইয়া চলিয়া গিয়াছিল, তাহার ঘরও অন্য গ্রামে-এই মনান্তরের খবর সে জানিতো না । আজ আসিয়া চাকর-মহলে শুনিয়াছে । মা-শোয়ে উদ্ধতভাবে বলিল, 校创