পাতা:বিলাসী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান হইলে উঠিয়া বসিয়া দেখিল, সেইদিনই তাহার মেয়াদের শেষ न् ि। আজ শেষ দিন। আপনার নিভৃত কক্ষে বসিয়া মা-শোয়ে কল্পনার জাল বানিতেছিল। তাহার নিজের অহঙ্কার অনুক্ষণ ঘ! খাইয়া খাইয়া আর একজনের অহঙ্কারকে একেবারে তাত্ৰিভেদী উচ্চ করিয়া দাড় করাইয়াছিল । সেই বিরাট অহঙ্কার আজ তাহার পদমূলে পড়িয়া যে মাটির সঙ্গে মিশাইবে, ইহাতে তাহার লেশমাত্ৰ সংশয় ছিল না । এমন সময়ে ভূত্য আসিয়া জানাইল, নাচে বা-থিন অপেক্ষা করিতেছে মা-শোযে মনে মনে ক্রুর-হাসি হাসিয়া বলিল, জানি । সে নিজেও ইতারই প্ৰতীক্ষা করতেছিল । মা-শোয়ে নীচে অ্যাসিতেই বা-থিন উঠিয়া দাড়াইল । কিন্তু তাহার মুখেব দিকে চাহিয়া মা-শোয়েব বুকে শেল বিধিল ৷ টাকা সে চাহে না, টাকার প্রতি লোভ, তাহার কানাকড়ির নাই, কিন্তু সেই টাকার নাম দিয়া কত ভয়ঙ্কর অত্যাচার যে অনুষ্ঠিত হইতে পারে। ইহা সে আজ এই দেখিল । বা-থিন প্ৰথমে কথা কহিল, বলিল, আজি সাতদিনের শেষ দিন. তোমার টাকা আনিয়াছি । হায় রে মানুষ মারিতে বসিয়া ও দর্প ছাড়িতে চায় না। নইলে, প্ৰত্যুত্তরে এমন কথা মা-শোয়ের মুখ দিয়া কেমন করিয়া বাহির হইতে পারে যে, সে সামান্য কিছু টাকা প্ৰাথনা করে নাই—ঋণেব সমস্ত টাকা পরিশোধ করিতে বলিয়াছে। বা-থিনের টাকা পীড়িত শুষ্ক মুখ হাসিতে ভরিয়া গেল, বলিল, তাই বটে, তোমার সমস্ত টাকাই আনিয়াছি । সমস্ত টাকা ? পেলে কোথায় ? কালই জানিতে পরিবে । ওই বাক্সটায় টাকা আছে, কাহাকেও