পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাজীকরণ জগুরু, কৃষ্ণগুরু, দেবদার, সয়লকা, পল্পকাঠ, কুশ, কাশ, পর, উলু, ইক্ষুশূল, কপূর, মৃগনাভি, লতাকবী, শিলাৱস, কুঙ্কুম, রক্তপুনর্নবী, জাতীফল, জাতীপত্র, লবঙ্গ, বড় ও ছোট এলাচি, কাকলাফল, পৃষ্ণ, তেজপত্র, নাগকেশর, বালা, বেলার মূল, জটামাংস, দারুচিনি, স্বতকপূর, শৈলজ, নাগরমুখ, রেণুকা, প্রিয়ঙ্গু, টারপিন, গুগগুলু, লাক্ষা, নখী, ধূনা, ধাইফুল, গাঠিয়ান, মঞ্জিষ্ঠ, তগরপাদিক এবং মোম এই সকল দ্রব্যের প্রত্যেকের অৰ্দ্ধতোলা, চতুগুণ জলে যথাবিধানে পাক করিবে । এই তৈল গাত্রে মর্দন করিলে অশীতিপর বৃদ্ধও শুক্ৰাধিক্যে যুবার স্তায় স্ত্রীদিগের প্রিয় হয়। বিশেষতঃ বন্ধ্যা স্ত্রী এই তৈল মাখিলে তাঁহার বন্ধ্যাত্বদোষ প্রশমিত হয় । ইহাকে চন্দনাদিতৈল কহে । দশমুল, পিপ্পলী, চিতা, কপিখ, বহেড়া, কটফল, মরিচ, শুষ্ঠ, সৈন্ধব, রক্তরোহীতক, দন্তী, দ্রাক্ষা, কৃষ্ণজীরা, হরিদ্র, দারুহুরিদ্র, আমলকী, বিড়ঙ্গ, কাকড়াশৃঙ্গী, দেবদার, পুনর্নব, [ રક 1 ধনে, লবঙ্গ, শোনালু, গোকুর, বৃদ্ধদারক, পারুল ও বীরণমূল প্রত্যেকে একপোয় ও হরীতকী /৮ সের, এই সকল একত্র করিয়া ২ মণ জলে পাক করিবে। হরীতকী উত্তমরূপে সিদ্ধ হইলে পরে উহাতে মধু দিবে। তৎপরে তিন দিন, পাচ দিন ও । দশ দিনে পুনরায় উছাতে মধু নিক্ষেপ করিতে হইবে। এই | রূপে হরীতকী দৃঢ় হইয়া আসিলে দ্বতপাত্রে তাহ মধুপুর্ণ করিয়া । রাখিবে। এই মধুপক হরীতকী সম্বন্ধে ধন্বন্তরি স্বয়ং বলিয়ছেন, ইহা ভক্ষণে শ্বাস, কাশ প্রভৃতি নানাবিধ রোগ প্রশমিত এবং বলবীৰ্য্য বন্ধিত হইয়া রোগী অত্যধিক সুরতক্ষম হয় । শূকশিৰীবীজ অঞ্চলের ও স্বত/8সের গবাঢ়ন্ধে পাক করিতে হইৰে । পরে ইহা গাঢ় হইয়া আসিলে নামাইয়া উক্ত বীজের । ছাল ছাড়াইয়া উত্তমরূপে পেষণ করিবে এবং সেই পিষ্ট পদার্থ গইয়। বট প্রস্তুত করিয়া ঐ বট স্বতে পাক করিয়া দ্বিগুণ চিনির মধ্যে নিক্ষেপ করিবে, তৎপরে ঐ বটসকল নিমগ্ন হইতে । পারে এরূপ পরিমাণ মধু একটা পাত্রে রাখিয়৷ তন্মধ্যে ঐ বট স্থাপন করিতে হুইবে । ইহার আড়াই তোলা পরিমাণে প্রাতে ও সায়ংকালে ভক্ষণ করিলে শুক্রের তরলতা নষ্ট করিয়া শিশ্নের উত্তেজন বৃদ্ধি করে এবং অশ্বের স্থায় রতিশক্তি জন্মে । ইহার নাম বানরী বটিক । আকারকরভ (আকরকড়া ), শুষ্ট, লবঙ্গ, কুকুম, পিপ্পলী, জাতীফল, জাতীপুষ্প, রক্তচন্দন এই সকল দ্রব্যের চুর্ণ প্রত্যেকে অৰ্দ্ধছটাক এবং অহিফেন অৰ্দ্ধপোয় এই সকল দ্রব্য একত্র করিয়া মধুর সস্থিত একমাব পরিমাণে রাত্রে সেবন করিলে শুক্রস্তম্ভিত ছুইয়া অত্যন্ত রতিশক্তি বৃদ্ধি ছয় । ( ভাবপ্র” বাঙ্গীকরণধি” ) বাভটে লিখিত আছে নে-- “বাঙ্গীকরণমন্বিচ্ছেৎ সততং বিষয়ীপুমান। * * * তুষ্টঃ পুষ্টিরপত্যঞ্চ গুণবন্তয় সংশ্রিতম্ ॥ অপত্যসন্তানকরং যৎসদ্যঃ সংপ্রহর্ষণম্। বালীবাতিবুলে যেন বাস্তপ্রতিস্থাতোখানাঃ * ভবতাতিপ্রিয়ঃ স্ত্রীণাং যেন যেনোপটীয়তে । তদ্বাজীকরণং তদ্ধি দেহন্তোর্জক্ষয়ং পরম্ ॥ ধৰ্ম্ম্যং যশস্তমায়ুষ্যং লোকদ্বয়রসায়নম্। অমুমোদামহে ব্ৰহ্মচৰ্য্যমেকান্ত নিৰ্ম্মলম্ ॥ অল্পসবন্ত তু ক্লেশৈবাধ্যমানন্ত রাগিণঃ। শরীরক্ষয়রক্ষাৰ্থং বাজীকরণমুচ্যতে ॥ কল্পস্তোদগ্ৰাবয়সো বাজীকরণসেবিনয় । সৰ্ব্বেস্তুৰহরহর্বাবায়ে ন নিবাৰ্য্যতে ॥” (বাভট উ” ৪. অ’) বিষয়ীপুরুষ বাজীকরণযোগসমূহ ব্যবহার করিবেন, কারণ এই বাজীকরণ ঔষধ সেবন করিলে তুষ্ট, পুষ্ট, গুণবান পুত্র এবং সপ্ত জানন্দ বৰ্দ্ধিত হয়। ইহাতে বাজী অর্থাৎ অশ্বের স্কায় স্বরতক্ষমতা জন্মে, এই জন্য এই যোগের নাম বাজীকরণ। ইহাতে স্ত্রীদিগের দপচুৰ্ণ এবং তাহাদের অতিশয় প্রিয় হওয়া যায়। এই যোগ দেহের বলবদ্ধক, ধৰ্ম্মকর, মশঙ্কর, আয়ুবৰ্দ্ধক এবং লোকদ্বয় রসায়ন। যাহাদের শরীর বলহীন হইয়াছে, অথবা রোগ শোকাদি দ্বারা যাহাদের শরীর জীর্ণ আছে, তাহাদের শরীর-ক্ষয় রক্ষার জন্য বাজীকরণযোগ সেবন করা আবশুক। বৃদ্ধ ব্যক্তিও বাজীকরণযোগ সেবন করিয়া শরীরের সামর্থ্য ও বহু স্ত্রীতে উপগত হইবার সামর্থ্য লাভ করিয়া থাকেন । “চিন্তয়া জরয়া শুক্রং ব্যাধিভিঃ কৰ্ম্মকৰ্ষণাৎ । ক্ষয়ং গচ্ছত্যনশনাৎ স্ত্রীণাঞ্চতিনিষেবণাৎ ॥” বাজং শুক্রং তদন্তান্তীতি বাজী অৰাজী বাজী ক্রিয়তে পুরুষোধনেন ইতি বালীকরণ, অথবা বাজীব যোগাৎ যছুক্তং চরকে—

  • যেন নারীষু সামর্থ্যং বাজীবল্লভতে নরঃ। যেন বাপ্যধিকং বীৰ্য্যং বাজীকরণমেব তৎ ॥*

(ভৈষজ্যরয়া বাজীকরণাধি, ) চিন্তা, জরা, ব্যাধি, ক্লেশজনক কৰ্ম্ম, উপবাস এবং অতিরিক্ত স্ত্রীসঙ্গমাদি দ্বারা দেহের শুক্রক্ষয় হইয়া থাকে। গে৯ হেতু, দেহের বল ও শুক্রক্ষয় নিবারণ জন্ত বাজীকরণ যোগ সেবন বিধেয়। যদ্বারা পুরুষের স্ত্রীলঙ্গমবিষয়ে আখের তীয় শক্তি ও অতিশয় শুক্র উৎপন্ন হয়, তাহাকে বাজীকরণ কছে । যদি অতিরিক্ত স্ত্রীসঙ্গম করা যায়, অথচ বালীকরণ ঔষধ