পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়প্রশস্তি বিজয়পাল (পুং) একজন প্রাচীন সংস্কৃত কবি, রাজানক বিজয় পাল নামে খ্যাত । ২ কনোজের একজন রাজা, ১৯১৬ সংৰতে বিদ্যমান ছিলেন। ৩ একজন পরাক্রান্ত চন্দেল্লরাজ, ১৯৩৭ খৃষ্টাব্দে বিদ্যমান ছিলেন । [ চন্দ্রাত্রের-রাজবংশ দেথ । ] বিজয়পুর (কী) ভ ব্রহ্মখণ্ড বর্ণিত বঙ্গদেশের অন্তর্গত একটা প্রাচীন নগর। [ বিজয়নগর, বর্গীয় ‘ব’ বিজাপুর দেখ। ] বিজয়পুর্ণিমা (স্ত্রী) বিজ্ঞাপনীয় পরবর্তী আনীি পূর্ণিমা, এই পূর্ণিমাতে বঙ্গবাসী হিন্দুমাত্রেই অতি উৎসাহের সহিত লক্ষ্মীপূজা করিয়া থাকে। যদিও প্রতি মাসে মাসে বৃহস্পতিবারে বা কোন শুভদিন দেখিয়া লক্ষ্মীপুজার বিধান আছে এবং তদনুসারে অনেকে পূজাও করিয়া থাকে ; কিন্তু ধনরত্নাধিপতি কুবের উক্ত পূর্ণিমার দিনে পূজা করিয়াছিলেন বলিয়া লোকে ধনরত্নকামনায় এই দিনেই যত্নের সহিত কায়মনোবাক্যে লক্ষ্মীদেবীর পূজা করিয়া থাকে। সকলেই নিজের অবস্থানুসারে যতদুর সাধ্য চেষ্টা করিয়া পুজার আয়োজন করে। সম্পন্নলোকমাত্রেই প্রায় প্রতিদুৰ্বি গড়িয়া ষোড়শোপচারে অতি ধুমধামের সহিত পূজা করিয়া থাকেন। কিঞ্চিৎ সম্পন্ন লোকের মধ্যে কেহ প্রতিমূৰ্ত্তি গঠন করিয়া কেহ বা পট চিরিত করিয়া তাহাতে দেবীর পূজা করেন। ইতরলোকমাত্রেই খপর ( থাপর বা টাটার ) পৃষ্ঠে চিত্রিত মায়ের মূৰ্ত্তি পূজা করিয়া থাকে। যাহা হউক এই দিন ব্রাহ্মণ হইতে চণ্ডাল পর্য্যস্ত যাবতীয় হিন্দু যে লোকমাতার আরাধনার জন্ত নিয়ত ব্যগ্র থাকে, তাছাতে আর সন্দেহ নাই। এই দিবসের প্রায় সপ্তাহকাল পূৰ্ব্ব হইতেই বঙ্গদেশের প্রতি- হাটবাজারে বহু সংখ্যক খর্পর পৃষ্ঠাঙ্কিত মাতৃমূৰ্ত্তি ও শোলার ফুল ও ঝাড়,প্রভৃতি বিক্রীত হইতে দেখা যায়। পূজার দিন গৃহকর্তী বা কত্রীর সমস্ত দিন নিরস্তু উপবাসের পর পূজা অন্তে মাত্র নারিকেল জল পান করিয়া জাগরণ ও দ্যুত্তক্ৰীড়াদিতে সমস্ত রাত্রি অতিবাহিত করিতে হয়। কারণ প্রসিদ্ধি আছে যে, ঐ দিন রাত্রিতে লক্ষ্মী বলিয়াছিলেন,— (নারিকেলম্বলং পীত্ব কে জাগত্তি মহীতলে ? ) “নারিকেলজল পান করিয়া আজ কে জাগিয়া আছ ? আমি তাহাকে ধনরত্ব দিব” এবং ধনাধ্যক্ষ কুবেরও নাকি ঐ দিনে ঐরুপ অবস্থায় থাকিয়া পূজা করিয়াছিলেন। লক্ষ্মী ঐদিনে এই কথা বলিয়াছেন বলিয়। ঐদিনের নাম “কোজাগর" এবং এই দিনের লক্ষ্মীপূজাকে “কোজাগরী লক্ষ্মীপুঙ্খা" বলে। [ পুজ এবং অস্থান্ত ব্ৰত নিয়ম দির বিবরণ কোজাগর শৰে স্ৰষ্টব্য ] বিজয়প্রশস্তি (স্ত্রী) কবি হর্ষরচিত্ত খণ্ডকাৰ্যভেদ। ইছাত্তে স্বাঞ্জ বিজয়ুসেনের কার্যকলাপ বর্ণিত হইয়াছে। [ & St. J ङिग्नुख्श (प्र) जामा र बंगालो বিজয়ভৈরব তৈল ( ক্লী) আমবাত রোগে ব্যবহার্ঘ্য পৰতৈল। বিজয়মন্দিরগড় --- - ইহার প্রস্তুতপ্রণালী এই,—পায়, গন্ধক, মনছাল ও হরিতাল, প্রত্যেক দ্রব্য ২ তোলা পরিমাণ লইয়া কাজিতে পেষণাত্তে তস্থার একখণ্ড সুক্ষ্মবন্ত্র লিপ্ত করিবে। পরে উহা শুষ্ক করিয়া বাতির দ্যায় পাকাইবে অথবা কোন একটী লৌহশলাকায় বাতির স্থায় জড়াইবে। অতঃপর ঐ বাতি তৈলাক্ত করিয়া তাহার নিম্নভাগে একটী পাত্র রাখিয় উৰ্দ্ধভাগ প্রঞ্জলিত করিবে এবং তথায় ক্রমে ক্রমে বৰ্ত্তিনিঃশেষ না হওয়া পৰ্য্যন্ত পুনরায় আস্তে আস্তে তৈল দিতে থাকিবে ; ঐ তৈল পঙ্ক হইয়া ক্রমশঃ অধোভাগস্থ পাত্রে সঞ্চিত হয়। এই পকতৈল মৰ্দ্ধন করিলে প্রবল বেদন, একাঙ্গবাস্ত s বাহুকম্প প্রভৃতি বিবিধ বাতরোগ প্রশমিত হয়। এই তৈল দুগ্ধের সহিত ৩৪ বিন্দু মাত্রায় পান করিতেও দেওয়া যায়। বিজয়ভৈরব রস (পুং ) কাসরোগের ঔষধবিশেষ। প্রস্তুত প্রণালী এই,- পারদ, গন্ধক, লৌহ, বিয, অভ্ৰ, হরিতাল, বিড়ঙ্গ, মুথী, এলাচ, পিপুলমূল, নাগেশ্বর, শুঠ, পিপুল, মরিচ, আমলকী, হরীতকী, বয়ড়া চিতামুল, শোধিত জয়পালবীজ, এই সকল দ্রব্যের চূর্ণ প্রত্যেক এক এক তোলা এবং গুড় তোলা একত্র মিশ্রিত করির উত্তমরূপ মর্থন করিবে। পরে তেঁতুলের আটর স্থায় ইহার এক একটা বট প্রত্যহ প্রাতঃকালে সেবন করিলে ক{স, শ্বাস, অজীর্ণ ও অন্তান্ত রোগ উপশমিত হইয়া থাকে। বিয়েভৈরব রস, কুষ্ঠরোগের ঔষধ বিশেষ। গ্রস্তুতপ্রণালী উৰ্দ্ধ পাতিত যন্ত্রে সপ্ত দোষ নির্মুক্ত পারদ মন্ত্রপূত করিয়া মৃন্ময় কটাহে এবং কুষ্মাণ্ডের রসে বা তৈলাদিতে দোলাযন্ত্রে সাতবার পরিশোধিত পারদের দ্বিগুণ হরিতাল এবং কৈবৰ্ত্তমুস্তকের রস ও ঝিন্টার রস যুক্তিপূর্বক দিয়া পারদ ও হরিতালের দ্বিগুণ পলাশ ভক্ষ প্রদান করবে। অনন্তর ঝিন্টীর রসে সমুদয়, ডুবাইয়া পোস্তের রসে পুনঃ আত করিবে এবং যত্নপূৰ্ব্বক শালকাঠের জালে চব্বিশ প্রহর পাক করিয়া শীতল হইলে কাচ পাত্রে রাখিয়া দিৰে। মধু ও জল, নারিকেল, ছিদিনী ৰাথ বা মধু ও মুতার রস অনুমানে চার রতি হইতে সেবনাভ্যাস করিয়া প্রতি দিবস এক এক রতি বৃদ্ধি করিবে । ইহাতে বাতরক্ত, আম, সৰ্ব্ব গ্রকার কুষ্ঠ, অন্নপিত্ত, বিস্ফোট, মস্থরিকা ও প্রঘর রোগ নাশ হয়। মৎস্ত, মাংস, দধি, শাক, জয় ও লঙ্কা খাওয়া নিষিদ্ধ। বিজয়মন্দিরগড়, রাজপুতনার ভরতপুর রাজ্যের অন্তর্গত একটা প্রাচীন গড় । এখানে ভরতপুরের পূৰ্ব্বতন রাজগণ বাস কৰুিতেন। এখন বিস্তীর্ণ ধ্বংসাৰশেষে পরিণত ।