পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৬২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিনয়পিটক [ ૭૩૪ ] বিনয়ন্থ বিনয়পিটক, আদিবৌদ্ধশাস্ত্রভেদ। আদিবৌদ্ধশাস্ত্রসমূহ তিনভাগে বিভক্ত-তাহা বিনয়, স্বত্র ও অভিধৰ্ম্ম নামে পরিচিত। এই ত্ৰিবিধ শাস্ত্র ত্রিপিটক বা তিনটী পেটার নামে খ্যাত। অর্থাৎ এই তিনটী পেটারার মধ্যে বুদ্ধ ও বুদ্ধের উপদেশমূলক তত্ত্বাদি সম্বন্ধে যাহা কিছু জানিবার আছে, তৎসমুদায়ই সংরক্ষিত । বুদ্ধদেব তাহার শিষ্যমণ্ডলীর মধ্যে র্তাহাদের কর্তব্য অর্থাৎ শ্রমণ বা ভিক্ষুধৰ্ম্মসম্বন্ধে যে সকল উপদেশ করিয়াছিলেন, তাহাই বিনয়পিটকে বর্ণিত হইয়াছে। কিরূপে:বিনয়পিটক সঙ্কলিত হইল, এ সম্বন্ধে নানা বৌদ্ধগ্রন্থে এইরূপ কথা পাওয়া যায়-- বুদ্ধদেবের মহাপরিনিৰ্ব্বাণের কিছুকাল পরে তাহার প্রধান শিষ্য মহাকাশুপ শুনিলেন যে, শারিপুত্রের মৃত্যুর সহিত ৮•••• ভিক্ষু, মোগল্যায়নের মৃত্যুর পর ৭•••• ভিক্ষু এবং তথাগতের পরিনিৰ্ব্বাণকালে ১৮••• ভিক্ষু দেহত্যাগ করিয়াছেন । এইরূপে প্রধান প্রধান সকল ভিক্ষুই দেহত্যাগ করায় তথাগতের উপদিষ্ট বিনয়, সুত্র ও মাতৃকা বা অভিধৰ্ম্ম আর কেহ শিক্ষা করেন না। এই কারণ নানালোকেই নানারূপে দোষারোপ করিতেছে। এই সকল গোলযোগ নিবারণ করিবার উদ্দেঙ্গে মহাকাশুপ নিৰ্ব্বাণস্থান কুশিনগরে সকলে সমবেত হুইবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিল। কিন্তু এ সময়ে স্থবির গবাংপতি নিৰ্ব্বাণলাভ করায় কাপ্তাপ স্থির করিলেন যে, মগধপতি অজাতশত্রু তথাগতের একজন অনুরক্ত ভক্ত । রাজগৃহে আমরা সমবেত হইলে তিনি সঙ্ঘের উপযোগী সমস্ত আহাৰ্য্য যোগাইতে পারেন। তদনুসারে পঞ্চশত স্থবির রাজগৃহের নিকটবৰ্ত্তী বৈভারশৈলস্থ সত্তপল্লী (সপ্তপণী ) গুহায় মিলিত হইলেন । এই মহাসড়ায় মহাকাশুপ সভাপতি হইলেন। তাহার অনুমতিক্রমে উপালি বুদ্ধোপদিষ্ট বিনয় প্রকাশ করিলেন। উপালি বুঝাইলেন যে, ভিক্ষুদিগের জন্তই ভগবান বিনয় প্রকাশ করিয়াছেন। এই বিনয়ই ভগবানের উপদেশ, ইহাই ধৰ্ম্ম, ইছাই নিয়ম। পরাজিক, সঙ্ঘাতিদেশ, দ্ব্যনিয়ত, ত্রিংশল্লিসর্গীয় প্রায়শ্চিত্ত, বহুশার্থীয় ধৰ্ম্ম, সপ্তাধিকরণ এই গুলি বিশেষ লক্ষ্য। উপসম্পন্ধালাভ বা সজেঘ প্রবেশের যোগ্যতা ও অযোগ্যঞ্জ, পাপস্বীকার, নির্জনবাস, ভিক্ষুর পালনীয় ধৰ্ম্ম ও পূজাবিধি বিনয়ে বিধিবদ্ধ। উপালি ও আনন্দ, বিনয় ও সুত্রের প্রবক্তা বলিয়া নির্দিষ্ট হইলেও অপরাপর স্থবিরেরাও যে বিনয় ও স্বত্রসংগ্রহে সাহায্য করিয়াছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই । . ইহার পর কালাশোকের রাজ্যকালে বৈশালীর বলিকারাম ভারতীয় ভিক্ষুদিগের মতে যথেষ্ট মতভেদ উপস্থিত হইয়াছিল। বুজিপুত্র ভিক্ষুগণ সকলে বিরক্ত হইয়া দলাদলি আরম্ভ করেন। যাহা হউক এই সভাতেও বিনয় সংগৃহীত হইয়াছিল। বিরুদ্ধপক্ষ আর একটী মহাসভা আহবান করেন। উক্ত সভায় যে সকল বিষয় গৃহীত হইয়াছিল, এই সভায় তাহার অনেক বিষয় খণ্ডন করা হয়। এই কারণ মহীশাসক ও মহাসৰ্ব্বাস্তিবাদিগণের সঙ্কলিত বিনয়ের সহিত মহাসাজ্যিকম্বিগের বিনয়ের কিছু কিছু পার্থক্য লক্ষিত হয়। যাহা হউক, সম্রাট, অশোকের সমর বিনয়পিটক যথারীতি লিপিবদ্ধ হইয়াছিল, তাহা আমরা প্রিয়দর্শীর ভাত্রা-অনুশাসন লিপি হইতে জানিতে পারি। ভোটদেশীয় ফুলবগ্রন্থে চারিপ্রকার বিনয়ের উল্লেখ আছে। বথা-বিনয়বস্তু, বিনয়বিভঙ্গ, বিনয়ক্ষুদ্রক ও বিনয়োত্তরগ্রন্থ। ঐ সমস্ত পালিভাষায় লিখিত । ভোটদেশ ও নেপাল হইতে ‘মহাবস্তু’ নামে এক সংস্কৃত বৌদ্ধগ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে, ঐ গ্রন্থের মুখবন্ধের পর "আর্য্যমহাসাজিঘকানাং লোকোত্তরবাদিনাং মধ্যদেশিকানাং পাঠেন বিনয়পিটকস্ত মহাবস্তু আদি”--অর্থাৎ মধ্যদেশবাসী লোকোত্তরবাদী আর্য্যমহাসাজ্যিকদিগের পাঠার্থ বিনয়পিটকেয় মহাবস্তু আদি । এইরূপ লিখিত থাকায় মহাবস্তুকেও কেহ কেহ বিনয়পিটকের অন্তর্গত বলিয়া মনে করেন, কিন্তু ঐ গ্রন্থে বিনয়পিটকের প্রতিপাদ্য বিষয় বিবৃত না হওয়ায় অনেকে ঐ গ্রন্থখানি বিনয়পিটকের অন্তর্গত বলিয়া স্বীকার করেন না। বিনয়মহাদেবী, ত্রিকলিঙ্গের গঙ্গবংশীয় নরপতি কামার্ণবের মহিষী। ইনি বৈদ্যুম্ববংশীয় রাজকন্ত ছিলেন । বিনয়বৎ (ত্রি) বিনয় অস্ত্যর্থে মতুপ, মন্ত ব। বিনয়বিশিষ্ট, বিনীত। স্ক্রিয়াং ভীষ । বিনয়বতী। বিনয়বিজয়, হৈমলঘুপ্রক্রিয়াবৃত্তি-প্রণেতা। তেজপালের পুত্র। ইনি জৈনমতাবলম্বী ছিলেন। বিনয়সাগর, একজন পণ্ডিত। ইষ্ঠার পিতার নাম ভীম ও গুরুর নাম কল্যাণসাগর। ইনি কচ্ছের ভোজরাজের জন্ত ভোজ ব্যাকরণ রচনা করেন। বিনয়সিংহ, চম্পার অন্তর্গত নয়নী নগরের রাজা । ( ভবিষ্য ব্ৰহ্মথ• ৫২৮৫ ) বিনয়সুন্দর, কিরাতার্জনীয়গ্ৰদীপিক-রচয়িতা। ইনি বিনররাম নামেও প্রসিদ্ধ ছিলেন। বিনয়সূত্র (জী) বোদিগের বিনয় ও স্বরবিধি। বিনয়হংসমতি, দশবৈকালিক-স্বত্রবৃত্তিরচয়িত। বিনয়স্থ (ত্রি) বিনয়ে তিষ্ঠতীতি স্বাক। আজ্ঞাকারী, পৰ্যায়— বিধেয়, আশ্রব, বচনস্থিত, বগু, প্রশেয় । ( হেম } নামক স্থানে ৭•• ভক্ষু মিলিত হইয়া ২য় বার আর একটা সভার আয়োজন করেন। এই সভায় পশ্চিমভারতীয় ও পূৰ্ব্ব