বাঙ্গালা সাহিত্য শৈক্তিপ্রভাব দয়ারাম এইরূপে সারদার মাহাত্ম্য প্রচার করিয়াছেনসুরেশ্বর দেশে সুবাহ নামে এক রাজা ছিলেম, তিনি নিরাহারে বহু বর্ষ শিৰপূজা করেন, তাহাতে লক্ষধর নামে এক পুত্র জন্মে। লক্ষধর বাপের বড় আন্তরে ছেলে। সাত বর্ষ পর্যন্ত তাহার অক্ষর পরিচয় হইল না। রাজার পুয়েছিত গৌরীদাস পণ্ডিত রাজাকে জানাইলেন যে, এখন হইতে চেষ্টা না করিলে কুমারের লেখাপড়া হইবে না। রাজা শুভদিনে ষোড়শোপচারে দেবী সরস্বতীর পূজা করিয়া পণ্ডিতের হাতে পুত্রকে সপিয়া দিলেন। লক্ষধর বার বর্ষে পড়িল, তবু তার কিছু হইল না। পণ্ডিত রাজাকে গিয়া সংবাদ দিলেন। মূর্থের বাচিয়া ফল কি ? রাজা মুখ কুমারের মাথা কাটিতে আদেশ করিলেন। রাজপুত্রের মুখ দেখিয়া কোতোয়ালের দয়া হইল। তাহার পরামর্শে লক্ষধর বনে পলাইয়া রক্ষা পাইল ; তৎপরিবর্তে কোতোয়াল শিয়ালের মুও কাটির রাজাকে আনিয়া দেখাইল । ভালুকের মধ্যে ফলমূল খাইয়া লক্ষধর বেড়াইতে লাগিল। তাহার কষ্ট দেখিয়া দেবী সরস্বতীর দয়া হইল। দেবী বুদ্ধা ব্রাহ্মণী সাজিয়া বনে আসিয়া কুটার বধিলেন। দৈবাৎ একদিন ব্রাহ্মণীর সহিত কুমারের দেখা হইল। দেবী তাহাকে ধৰ্ম্মপুত্র করিল। কুমারও সেই কুটারে বাস করিতে লাগিল। লক্ষধর কাট কাটিয়া আনে, দেবী তাহ বাজারে লইয়া গিয়া বেচেন। এইরূপে কিছুদিন গেল। একদিন ভাগবতের খুল্পী ফেলিয়া দেবী বাজারে গিয়াছেন ; পুথি দেখিয়া কুমারের বড় ক্রোধ হইল। যার জন্ত তাহার বনবাস, বনেও তাই। আর কালবিলম্ব সহিল না, কুমার সেই পুরাণ পুথিখানি সমুদ্রের জলে ফেলিয়া দিল। জলে “রাধাকৃষ্ণ” ছুটী নাম নষ্ট হইল। দেবগণ দেবীকে সংবাদ দিতে নারদকে পাঠাইলেন। নারদ আসিয়া দেবীকে ভৎসনা করিলেন। তখন দেবী অনেক কষ্টে সমুদ্র হইতে পুথিখানি তুলিয়া জানিলেন এবং লক্ষধরকে যথেষ্ট তিরস্কার করিলেন। কেন যে সে পুথি ফেলিয়া দিয়াছিল, কুমার একে একে তাহার পুৰ্ব্ব কাহিনী প্রকাশ করিল। এতদিন পরে দেবী দয়া করিয়া আপনার পরিচয় দিয়া কছিলেন, পূৰ্ব্বে পড়িয়া গুরুদক্ষিণ দাও নাই, সেই জঙ্ক তোমার এই ছৰ্দশা ঘটিয়াছে । ৰৈদৰ্ভদেশে এক কৃষ্ণভক্ত রাজা আছে, তাহার কালিনী, কেশরী, উমা প্রভৃতি পাচ কম্বা। সেই পঞ্চ কস্তার গিয়া সেবা কর, তাহ হইলে তুমি সৰ্ব্ব বিয়া লাভ কৱিৰে। দেবীর জাশে বালক লক্ষধর বৈার্ডদেশে গেল, পঞ্চ কঙ্গর কাছে চাষী পাইল। ছড়া কাটি সন্ধা মেই ধূলাকুট্য রাখে। খুলীফুটা বল্য তাঁয়ে সৰ্ব্বলোকে ডাকে। ঐপঞ্চমী জালিল । পঞ্চকক্স যোড়শোপচারে দেবীর भूज रुबिन । जां★ब्रtतत्र जछ ‘र्नाडूतीव्र लेनब्र जाएलन रहेण । XVIII বনে বনে বাঘ | [ ११ ] বাঙ্গালাসাহিত্য (শাক্তপ্রভাব) ' ' ' বালককলিলন্তরাঞ্জলাল ৰক্ষিত পানি, ৰিপালৰ, . পাটের মলার ও মশাল জাগা খাকা চাই। চাকরের মুখে উচ্চ क्षी समिब्रा नक्षकछ शनिद्रा ८कनिण । काशं हर्षेरु, ऊांशग्न कूमांtब्रङ्ग रूष भङहे कांथ रुब्रिज । अंडेौब्र मिनैt५ नैंौणबढ़পরিধান দেবী সরস্বতী সেবকের পূজা গইতে আসিলেন। এ সময়ে কুমার যোগমিত্রায় জাচ্ছন্ন হইয় পড়িয়াছিল, অকস্মাৎ দেবীর হাতের শাখার শৰে জাগিয়া উঠিল এবং পূজার দ্রব্য চুরি করিতেছে মনে করিয়া দেবীকে ধরিয়া খাটের খুয়ায় বান্ধিয়া ফেলিল। দেবী তখন আপন পরিচয় দিলেন এবং বাধন খুলিয়া দিবার জন্ত কতই কাকুতি মিনতি করিলেন। এখন দেবীকে হাতে পাইয়া বালক বেশ শুনাইয়া দিল, “তোমারই জন্ত আমার এই দুর্দশ, উচিত মত শাস্তি দিব। দেৰী কছিলেন, “তুমি যখন স্মরণ করিবে, তখনি আমায় পাইবে, সকল বিস্কায় পতুমি পণ্ডিত হইলে । এইরূপে বর পাইরা কুমার দেবীকে झैप्लिग्न प्रिंश । - প্রভাতে পঞ্চকন্যা দেবীর প্রসাদ বাটিয়া লইল ও পুথি লইয় পড়িতে বসিল । দেবীর কৌশলে গুরু জনাৰ্দ্দন পণ্ডিত আসিয়া তাহাদিগকে বুঝাইলেন যে, এখানে তোমাদের লেখা পড়া হইবে না। আমার সঙ্গে বিদেশে গেলে তোমাদের অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে। তাহারা গুরুর আদেশ লঙ্ঘন করিতে পারিল না। দেবী বিশ্বকৰ্ম্মাকে ডাকাইয়া মণিমাণিক্য খচিত এক খানি তরণী প্রস্তুত করিতে বলিলেন ও নিজেও মায়ানদী করিয়া বলিলেন। সন্ধ্যা কালে পঞ্চ কস্তা বহু রত্ন লইয়া সেই নৌকায় আসিয়া উঠিল। কুমারও নৌকা ছাড়িল না"। কিন্তু দেবীর কৌশলে জনাৰ্দ্দন পিতার নিকট ধরা পড়িল। দেবী নিজে কর্ণধার হইয়া নৌকা চালাইলেন। পঞ্চ কস্তা জনাৰ্দ্দনকে না পাইয়া সকলে মৰ্ম্মাহত হইল ; যে তাঁহাদের নফর সেই বুঝি তাহাদের বর হইল, লোকে কত কথাই বলিবে, তাহারা কিরূপে সহ করিবে ? যাহা হউক, তাহারা অষ্টের দোহাই দিয়া কতকটা শান্ত হইল। অবশেষে “ধূলাকুটা’র উপরই তাহাদের ভালবাসা পড়িল । ভালবাসার প্রতিদানও প্রার্থনা করিল। দেবী সরস্বতী বিজয় দত্ত নামে এক সাধুকে জানাইল যে, কুড়ি বর্ষ পরে পুত্রবধুসহ পুত্র ঘরে আসিয়াছে, তাহাকে ঘরে আনিয়া উপযুক্ত মহল বানাই। দাও। বিজয়দত্ত লে আদেশ পালন করিল। এদিকে সুবাহু নৃপতি পুত্রছায় হইয় এক প্রকার উদাসীন, রাজকার্থে তাহার লক্ষ্য নাই, ক্রমে তাহার রাজধানী জনমানৰमूंछ इद्देब्र পড়িয়াছে, অতি কষ্টে ওঁাহার দিন বাইতেছে। ২• বর্ষ পরে লক্ষধর পিতৃরাজ্যে ফিরিল, কিন্তু কেহই তাহাকে মিনিতে পারিল না। দেবীর কপার এখানে নূতন জঙ্গল কাটাইয়া
