পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लकध* করিতেন, কখনও পরস্তহস্তে শালশাখা কৰ্ত্তন করিতেন, কখনও বা মহিষ ও বৃষের করীব সংগ্ৰহ করিয়া অগ্নি জালিবার ব্যৰস্থা করিতেন। কখন শীতকালের তুষারমলিন জ্যোৎস্নায় শেবরাত্রিতে বৰগোধূমাচ্ছন্ন বনপন্থায় নাল-শেষ নলিনী-শোভিত লয়সীতে কলস লইয়া তিনি জল তুলিতেন। আবার কখনও চিত্রকূটপৰ্ব্বতের পর্শশালা হইতে সরলীতটে যাইবারু পথটি চিহ্নিত করিবার জন্ত তিনি পথে পথে উচ্চ তরুশাখায় চীরখও বদ্ধ করিয়া রাখিতেন। কখনও বা তিনি কোমল দৰ্ত্তাকুর ও বৃক্ষপণ দ্বারা রামের শ্যা প্রস্তুত করিয়া অপেক্ষ করিতেন, কখনও বা দেখিতে পাই, তিনি কালিন্দী উত্তীর্ণ হইবার জন্ত বৃহৎ কাঠগুলি শুষ্ক ও বঙ্গ ও বেতসলতা দ্বারা মুসংবদ্ধ করিয়া মধ্যভাগে জৰুশাখা দ্বারা সীতার উপবেশন জন্ত মুখাসন রচনা করিতেছেন। এই সংযমী মেহবীর ভ্রাতৃসেবায় তাহার নিজসত্তা হারাইয়া ফেলিয়াছিলেন। রামচন্দ্র পঞ্চবটীতে উপস্থিত হইয়া লক্ষ্মণকে বলিয়াছিলেন,—“এই সুনার তরুরাজিপূর্ণ প্রদেশে পর্যশালা রচনার জন্ত একটা স্থান খুজিয়া বাহির করিয়া লও।” লক্ষ্মণ বলিলেন, “আপনি যে স্থানটি ভালবাসেন, তাহাই দেখাইয়া দিন, সেবকের উপর নির্বাচনের ভার দিবেন না।” প্রভুসেবায় এরূপ আত্মহারা ভৃত্য কুত্ৰাপি দৃষ্ট হয় না। রামচন্দ্র স্থান নির্দেশ করিয়া দিলে লক্ষ্মণ ভূমির সমতা সম্পাদন করিয়া খনিত্ৰহস্তে মৃত্তিকাখননে প্রবৃত্ত হইলেন। আর এক দিন কৃঞ্চসপসস্কুল গভীর অরণ্যে অনশন ও পৰ্যটনক্লিষ্ট সীতার মুন্দর মুখখানি একটু হতশ্ৰী দেখিয়া রামচঞ্জেরও সেই দুঃখময়ী রজনীর কষ্ট অসহ হইয়া উঠিল, তিনি লক্ষ্মণকে অযোধ্যায় ফিরিয়া যাইবার জন্ত বারংবার বলিতে লাগিলেন, “এ কষ্ট আমার এবং সীতারই হউক, তুমি ফিরিয়া যাও, শোকের অবস্থায় সাৰনাদান করিয়া আমার মাতাদিগকে পালন করিও।” রামের এবম্বিধ কাতরোক্তিতে তুঃখিত হইয়া লক্ষ্মণ বলিলেন-“আমি পিতা, সুমিত্র, শক্ৰশ্ন, এমন কি স্বর্গও তোমাকে ছাড়িয়া দেখিতে ইচ্ছা করি না।” এইখানে দশাননভগিনী শূৰ্পণখা আসিয়া রামের প্রেমভিখারিণী হইলে রাম তাহাকে লক্ষ্মণের সমীপে প্রেরণ করেন। সংযমী, জিতেন্দ্রিয় ও অনাহারক্লিষ্ট লক্ষ্মণের রমণীপ্রেম আদৌ ভাল লাগে নাই । তিনি সুর্পণখার নাক কাণ কাটিয়া তাহার নিলজতার পুরস্কার দিলেন। স্বৰ্পণখার প্রার্থনায় রাক্ষসসেনাপতি খরদূষণ আসির উপস্থিত হইলেন। উভয় ভ্রাতার শাণিত শরে রাক্ষসকুল নিৰ্ম্মল হইল। স্বৰ্পণখার বাক্যে সীতার রূপলাৰণ্যের কথা শুনিয়া দশানন ঈৰ্ষাপর ও ক্রুদ্ধ হইয় গীতাহরণ করিলেন। স্বর্ণমৃগরূপধারী মারীচ রামশরে নিহত হইল। XVII [ ১১৭ ] লক্ষণ কৰন্ধ মরিল, জটায়ু মরিল ; লক্ষ্মণ নিঃশব্দে সমাধিস্থল খনন করিয়া কাঠ আহরণপূর্বক কবন্ধ ও জটায়ুর সৎকার করিলেন। দিবারাত্র তাহার বিশ্রাম ছিল না-বনে আসিবার সময় তাই তিনি বলিয়া আসিয়াছিলেন—“দেবী জানকীর সঙ্গে আপনি গিরিলাসুদেশে বিহার করিবেন, জাগরিত श निजिउहे भांडून, श्रां★नांब्र गरून रूई श्राभिहै कब्रिब्र। দিব । খনিত্র, পিটক এবং ধনুর্হস্তে আমি আপনার সঙ্গে সঙ্গে কিরিব।” বনবাসের শেষ বৎসর বিপদ আসিয়া উপস্থিত হইল ; রাবণ সীতাকে হরণ করিয়া লইয়া গেল । সীতার শোকে রাম ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া পড়িলেন, ভ্রাতার এই দারুণ কষ্ট দেখিয়া লক্ষ্মণও পাগলের মত সীতাকে ইতস্ততঃ খুজিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। রামের অনুজ্ঞায় তিনি বারংবার গোদাবরীর তীরভূমি খুজিয়া আসিলেন। . অতঃপর দমুনামক শাপগ্ৰস্ত যক্ষের নির্দেশানুসারে রাম লক্ষ্মণের সহিত পম্পার্তীরে সুগ্ৰীবের সন্ধানে গেলেন। তখন হনুমান সুগ্ৰীবকর্তৃক প্রেরিত হইয়া সেখানে উপস্থিত হইলেন এবং তাছাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। হনুমান সন্ত্রম ও আদরের সহিত বলিলেন, “জ্ঞাপনার পৃথিবীজয়ে সম্পন্ন, আপনারা চীর ও বন্ধল ধারণ করিয়াছেন কেন ? আপনাদের বৃত্তায়িত মহাবাহু সৰ্ব্বভূষণে ভূষিত হইবার যোগ্য, সে বাহ ভূষণহীন কেন ?” এই আদরের কণ্ঠস্বর শুনিয়া লক্ষ্মণের চিরকুদ্ধ দুঃখ উচ্ছসিত হইয়া উঠিল। যিনি চিরদিন মৌনভাবে স্নেহার্ফ হৃদয় বহন করিয়া আসিয়াছেন, আজ তিনি স্নেহের ছন্দ ও ভাষা রোধ করিতে পারিলেন না । পরিচয় প্রদানের পর তিনি বলিলেন—“দমুর নির্দেশে আজ আমরা সুগ্ৰীবের শরণাপন্ন হইতে আসিয়াছি। যে রাম শরণাগতদিগকে অগণিত বিস্তু অকুণ্ঠতচিত্তে দান করিয়াছেন, ত্রিলোকবিশ্ৰুতকীৰ্ত্তি দশরথের জ্যেষ্ঠ পুত্র আমার গুরু সেই জগৎপুজ্য রামচন্দ্র আজ বানরাধিপতির শরণ লইবার জন্ত এখানে উপস্থিত। সৰ্ব্বলোক র্যাহার আশ্রয়লাভে কৃতাৰ্থ হইত, যিনি প্রজাপুঞ্জের রক্ষক ও পালক ছিলেন, আজ তিনি আশ্রয়ভিক্ষা করিয়া সুগ্ৰীবের নিকট উপস্থিত। তিনি শোকাভিভূত ও আর্ত, সুগ্ৰীব অবশুই প্রসন্ন হইয় তাহাকে শরণ দান করিবেন।”—বলিতে বলিতে লক্ষ্মণের চিরনিরুদ্ধ অশ্রু উচ্ছসিত হইয়া উঠিল, তিনি কঁাদিয়া মৌনী হইলেন। রামের দুরবস্থাদর্শনে লক্ষ্মণ একস্তিরূপে অভিভূত হইয়াছিলেন, তাহার দৃঢ়চরিত্র জার্ক্স ও করুণ ফুী পড়িয়ছিল। অশোকবনে হনুমানের নিকট সীতা লিয়াছিলেন,লক্ষ্মণ অাম অপেক্ষ রামের নিয়ত প্রিয়তর। রাবণের শেলে বিন্ধ লক্ষ্মণ যেদিন যুদ্ধক্ষেত্রে মৃতকর হইয়া পড়িয়াছিলেন, সেদিন রাম মাহত