পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লখি t [ ১৩২ ] | A লখিমপুর / উপরিস্থ লৌহসেতুর উপর দিয়া গিয়াছে। বর্ষাকালে এই নদীতে সীতামাঢ় হী পৰ্য্যন্ত নৌকাযোগে যাওয়া যায়। রাজাপতি, ছাড়া, বেলাহী, শেরপুর ও রাজখও নীলকুঠী এই নদীর তীরে অবস্থিত । লখনোর, রোহিলখণ্ডের রামপুর রাজ্যের অন্তর্গত একটা নগর। পূর্বে এই স্থান কাটারিয়া জাতির রাজধানী ছিল। বর্তমান কালে শাহাবাদ নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছে। এখানে প্রাচীন কীৰ্ত্তির অনেকগুলি ধ্বস্ত নিদর্শন পড়িয়া আছে । লখনোঁতী (লক্ষ্মণাবতী), যুক্তপ্রদেশের শাহারণপুর জেলার নাকুর তহনীলের অন্তর্গত একটা প্রাচীন নগর। এক্ষণে ধ্বংসাবস্থায় পতিত ও শ্ৰীশ্ৰষ্ট । অক্ষা ২৯° ৪৬’ উঃ এবং দ্রাঘি" ৭৭° ১৬ পূঃ। প্রাচীন কীৰ্ত্তির নিদর্শনস্বরূপ একটা ভগ্নদুর্গ এখানে বিদ্যমান আছে। এই নগর ও তাহার উপকণ্ঠস্থিত পাঁচখানি গ্রামে পূৰ্ব্ব হইতে তুর্কজাতির একটা উপনিবেশ ছিল। বহুকাল বলবীৰ্য্য ও সমৃদ্ধি-হীন হইয়া তথায় বসবাস করিলেও, খৃষ্টীয় ১৮শ শতাদের শেষভাগে তাহারা ক্রমশঃ দলপুষ্ট হইয়া শক্তিসঞ্চারে প্রয়াস পায়। ১৭৯৪ খৃষ্টাব্দে শাহারাণপুরের মহারাষ্ট্রীয় শাসনকর্তা বাপু সিন্দে তাহদের ঔদ্ধতা দমনে বদ্ধপরিকর হন। অবশেষে জর্জ টমাসের অধীনে প্রেরিত সাহায্যকারী সেনাদল উপনীত হইয়া দুর্গপ্রাচীর ভঙ্গ করিলে তুর্কগণ আত্মসমর্পণ করিতে বাধ্য হয় । - লখ হাণ্ডাই, বাঙ্গালার ত্রিছতজেলায় প্রবাহিত একটা ক্ষুদ্র নদী। লখাত, আসামপ্রদেশের শ্ৰীহট্টজেলার সীমান্তস্থিত একটা গওগ্রাম। খসিয়া শৈলের পাদমূলে অবস্থিত। এখানে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। পাৰ্ব্বত্য থশ ও সনৃতেঙ্গ জাতি তথায় পৰ্ব্বতজাত নানাদ্রব্য লইয়া আইসে । লখি, বোম্বাই-প্রেসিডেন্সীর সিন্ধুপ্রদেশান্তর্গত একটা গিরিশ্রণী। বলুচস্থানের হাল বা ব্রাহুই পৰ্ব্বতশ্রেণীর সহিত সংযোজিত। ইহা প্রায় ৫০ মাইল লম্বা । উচ্চতা ১৫• • হইতে ২ হাজার ফিট, অক্ষা” ( মধ্যের ) ২৬° উঃ এবং দ্রাঘি• ৬৭° ৫' পূঃ। এই পৰ্ব্বতে অনেকগুলি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। সেবান নগর সান্নিধ্যে এই পৰ্ব্বতাংশ ক্রমশঃ সিন্ধুনদের সমতল বেলাভূমিতে পরিণত হইয়াছে। পৰ্ব্বতবক্ষে স্থান বিশেষে সীসক, রসাঞ্জন ও তাম্র পাওয়া যায় । লখি, সিন্ধুপ্রদেশের করাচীজেলার সেবান উপবিভাগের অন্তর্গত একটা গওগ্রা। সিন্ধুনদের পশ্চিমকুলের অদূরে ও লখিগিরিসঙ্কটের প্রবেশপথে অবস্থিত । সিন্ধু, পঞ্জাব ও দিল্লী রেলপথ লখিনগর হইয়া গিরিপথের মধ্য দিয়া গিয়াছে। এখানে উক্ত রেলপথের একটী ষ্টেসন আছে। এখান হইতে প্রসিদ্ধ ধারাতীর্থ দুই মাইল। ঐ উষ্ণ প্রস্রবণে গমনার্থ প্রশস্ত রাস্তা আছে। লখি, সিন্ধুপ্রদেশের শীকারপুর জেলার অন্তর্গত একটা নগর। অক্ষা- ২৭° ৫১/৩• উঃ এবং দ্রাঘি• ৬৮° ৪৪* ભૂઃ । બર્ફ নগর হইতে সিন্ধু, পঞ্জাব ও দিল্লী রেলপথের রুকূ-জংসন ৩॥• মাইল মাত্র। এই নগর বহু প্রাচীন। যখন বর্তমান শিকারপুর বিভাগ বনমালায় সমাচ্ছন্ন তখন সিন্ধুপ্রদেশের প্রসিদ্ধ বৰ্দ্ধিক ও লখনি বিভাগের প্রধান কেন্দ্র বলিয়াই লথি-নগর পরিগণিত ছিল। এখন সে সৌন্দৰ্য্য অনেক নষ্ট হইয়া গিয়াছে। লখিমপুর, আসামপ্রদেশের পূর্বসীমান্তস্থিত ইংরাজাঙ্কিত একটা জেলা। ব্ৰহ্মপুত্রনদের উভয় তীরবর্তী ভূভাগ লইয়া গঠিত। অক্ষা ২৬° ৫১% হইতে ২৭° ৪৪' উঃ এবং দ্রাঘি• ৯৩° ৪৯%। হইতে ৯৬° ৪% পূঃ মধ্য। ভূপরিমাণ ১১৫০০ বর্গমাইল । ইহার অধিকাংশস্থানই জঙ্গলাবৃত ও পৰ্ব্বতময় । মধ্যে মধ্যে পাৰ্ব্বত্যজাতির বাস আছে। ইংরাজরাজের বর্তমান জরীপে বাসযোগ্য ভূমির পরিমাণ ৩৭২৩ বর্গমাইল নির্দিষ্ট হইয়াছে। ডিব্ৰু নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত ডিব্ৰুগড় নগর ইহার বিচার সদর । এই জেলার উত্তর সীমায় দফ ল, মীর, আবর ও মিশমী শৈলশ্রেণী 3. পূৰ্ব্বে মিশনী wo সিঙ্গ ফো-শৈলমাল, দক্ষিণে পাটকৈ পৰ্ব্বত ও নাগাশৈলের অববাহিকাপ্রদেশ এবং পশ্চিমে দরঙ্গ ও শিবসাগর জেলার প্রাস্তু-প্রবাহী মর-মরণাই,দিহিঙ্গ ও দিসঙ্গনদী। উত্তর ও পূর্বপ্রান্তস্থিত শৈলমালায় তত্তন্নামীয় পাৰ্ব্বত্যজাতির বাস থাকায় অস্থাপি পৰ্ব্বতপ্রাস্তুে ইংরাজাধিকারের সীমা নির্দিষ্ট হয় নাই। দক্ষিণসীমা লইয়া ইংরাজরাজ ও ব্রহ্ম-গবর্মেন্টের বন্দোবস্ত হইয়াছিল। এখন ব্রহ্মরাজ্য ইংরাজাধিকৃত হইলেও তদেশবাসী বহুসংখ্যক পাৰ্ব্বত্যজাতি আজিও স্বাধীনভাবে পৰ্ব্বতবক্ষে বিচরণ করিতেছে । ব্ৰহ্মপুত্রনদের উভয় তীরবর্তী সমতল প্রান্তর খামল শস্ত: ক্ষেত্র মণ্ডিত। ইহার উত্তর, পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ সীমায় চূড়াবিলম্বী পৰ্ব্বতসমূহ বনমালায় বিভূষিত হইয়া আসাম-উপত্যকার এই শ্ৰেষ্ঠ স্থানকে নানা মনোরম দৃশ্বে পরিপূর্ণ রাথিয়াছে। ব্ৰহ্মপুত্র নদ নানাশাথা বিস্তারপূর্বক হিমালয়-কদর পথে নিৰ্গত হইয়াই আসাম-উপত্যক বিধৌত করিয়া নিম্নাভিমুখে প্রধাবিত হইয়াছে'। নীকুলবর্তী স্থানসমূহ সুবিস্তৃত ধান্তক্ষেত্রে পরিপূর্ণ। বাশবন ও ফলবৃক্ষ পরিবেষ্টিত গ্রামসমূহ সেই খামল প্রাস্তরের মধ্যে মধ্যে বিরাজিত থাকিয়া গ্রামবাসী প্রজাবর্গের মুখসমৃদ্ধির পরিচয় প্রদান করিতেছে। *.