, লবণ [ s१8 ] লবণ ১৫ অম্বুধিয়াপুরী-লবণ-লোহিতসাগরের উপকূলে প্রস্তুত হইয়া থাকে । ১৬ আদেন-লবণ-আদেন নগরের নিকট প্রস্তুত হয় । এই লবণ প্রায় প্রতিবৎসর ৩৩ হাজার টন আমদানী হয়। ১৭ মস্কট ও মস্কট্রসেন্ধা-পারস্ত উপসাগর উপকূলে প্রস্তুত । ১৮ লেন্টা লবণ-তিব্বতদেশে উৎপন্ন। ১৯ মণিপুর প্রভৃতি ক্ষুদ্রদেশজাত বিভিন্ন প্রকার লবণ। এই সকল লৰণ ভারতে প্রচলিত থাকিলেও লিভারপুল Mga sērs CR ‘Cheshire Salt sfăşrri, būsifs, রেঙ্গুন ও ব্রহ্মের প্রসিদ্ধ বন্দরে আমদানী হয়, তাহার পরিমাণ সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক । ভারতবর্ষের ভূতত্ত্ব আলোচনা করিলে, মৃত্তিকাস্তর বিশেষে লবণের অৰস্থান নির্ণয় করিতে পারা যায়। ভূতত্ত্ববিদ ব্লানফোর্ড ও মেডুলিকোট-কোহাট, কাঙড়া, বাহাদুরথেল, মণ্ডি, লবণপৰ্ব্বত ও হিমালয়-সন্নিহিত শিবালিক পৰ্ব্বতভাগে প্রচুর লবণের অস্তিত্ব লক্ষ্য করিয়াছিলেন। তাহারা ইওসিন বা নিউমুলিটিক্স্তরে সিলিউরীয়-যুগন্তরে, পেলিওজোইকু-স্তরে, জিপসামূ-স্তরে এবং প্রাচীন ও আধুনিক টার্সিয়ারি-যুগুস্তরে সৈন্ধব লবণস্তর ( beds of rock-salt ) প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এখনও কোহাট প্রভৃতি স্থানের লবণ-খনি হইতে সৈন্ধব লবণ উত্ত্বোলিত হইতেছে । যুগান্তরীয় মৃৎস্তর হইতে প্রাপ্ত লবণ ব্যতীত ভারতের বিভিন্ন স্থানের সাগরোপকূলে ও হ্রদতীরে স্থানীয় লোকের ব্যবহারার্থ যে সকল লবণ প্রস্তুত হইয়া থাকে, তাহার সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিম্নে প্রদত্ত হইল -- মান্দ্রাজ--এই প্রেসিডেন্সীতে পূৰ্ব্বে সমুদ্রের লবণ-জল বাষ্পাকারে পরিণত করিয়া লবণ প্রস্তুত করিত। স্থানবিশেষে লবণাক্ত মৃত্তিক অথবা ক্ষারঙ্গ ভষ্ম জলনিষিক্ত করিয়া সেই লবণাক্ত জল হইতে লবণ প্রস্তুত করিয়া লইত। শেষোক্ত প্রথা একবারে পরিত্যক্ত হইয়াছে। প্রথমোক্ত প্রণালীতে যে লবণ প্রস্তুত হয়, তাহাই স্থানীয় লোকে ব্যবহার করিয়া থাকে । এতদ্ভিন্ন বোম্বাই হইতে কতক লবণ এখানে আমদানী হয়। বাঙ্গালা-পূর্বে মেদিনীপুর ও যশোহর জেলায় লবণ প্রস্তুতের প্রধান কারখানা ছিল । বেহার, ভাগলপুর ও মুঙ্গের বিভাগে কতক পরিমাণ লবণ উৎপন্ন হইত। কলিকাতার সন্নিকটবৰ্ত্তী সোরার কলসমূহে সোরা হইতে লবণ বাহির করিয়া লওয়া হইত । উড়িষ্যায় এখনও সুৰ্য্যোত্তাপে লবণজল শুকাইয়া লবণ প্রস্তুত হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে কৃত্রিম উত্তাপ দ্বারাও পাঙ্গা-লবণ প্রস্তুত হইত। বেরার—এখানে লোণার-হ্রদের জল হইতে এবং আকোলার , অন্তর্গত পূর্ণ বিভাগের লবণজলপূর্ণ কুপ হইতে লবণ তৈয়ারী হইত। এখন আর এখানে লবণ প্রস্তুত হয় না । রাজপুতনা-শান্তরক্স, দ্বিবানাহ্রদ ও কাচোর-য়েৰাস কদের জল হইতে প্রভূত লবণ প্রস্তুত হইয় থাকে। বোম্বাই-সমুদ্রের লবণজল সুৰ্য্যোক্তাপে শুকাইয় উপকূলদেশে বহুপূৰ্ব্ব হইতেই লৰণ প্রস্তুত হইয়া আসিতেছে। কাম্বে উপসাগর তীরে, কচ্ছের রণপ্রেদেশে ও সিন্ধুপ্রদেশে এবং ঠানায় লবণ প্রস্তুতের কারখানা ( Thana salt-works ) আছে । ইংরাজরাজ লবণের ব্যবসা একচেটিয়া করিবার অভিপ্রায়ে কাম্বের নবাবকে বার্ষিক ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ স্বরূপ দিয়া ঐ লবণের ব্যবসা রহিত করিয়া দেন । পঞ্জাব-এখানে প্রধানতঃ সৈন্ধব লবণই উত্তোলিত হয়। সিন্ধুনদীর অপর পারে বক্স,জেলার কোহাট ও কালাবাগ এবং লবণগিরিতে (Salt-range ) প্রভূত সৈন্ধৰ উৎপন্ন হয় । কালাবাগ ও লবণগিরির সৈন্ধৰ সিলিউীয় যুগুস্তরীয়, কাঙড়ায় s asfat fürgafi ( Mandi deposits ) erytot i. এতদ্ভিন্ন এখানে গুরগাঁও জেলার লবণাস্বাদযুক্ত কূপজল হইতে লবণ প্রস্তুত হইয়া থাকে। উহা শান্তর-হ্রদজাত লবণ হইতে নিকৃষ্ট । যুক্তপ্রদেশ-লবণাক্ত কৃপবারি হইতে এই বিভাগের নানা স্থানে লবণ প্রস্তুত হয় ; কিন্তু ইহা অপরাপর স্থামজাত লবণের স্থায় বিশুদ্ধ নহে। এখানকার লবণে Sodium Sulphate, magnisium sulphates, sodium carbonate 8 nitre মিশ্রিত দেখা যায়। বুললাসহর ও মুজঃফরনগরে সামান্ত পরিমাণ লবণ প্রস্তুত হয় । আসাম-লবণাক্ত কূপ এবং জোরহাট ও সদিয়ার লবণপ্রস্রবণ হইতে প্রভূত পরিমাণ লবণ প্রস্তুত হয়। কাছাড়, মণিপুর ও চট্টগ্রামের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশেও ঐরূপ কুপের লোণজিলু হইতে লবণ প্রস্তুত হইয়া থাকে। অশিক্ষিত ও অৰ্দ্ধ সভ্যজাতিরা বঁাশের চোঙ্গে লবণজল ফুটাইয়া লবণ প্রস্তুত করে। ব্ৰহ্ম—পেশুর টার্সিয়ারি যুগস্তরীয় পৰ্ব্বতসমূহে বহশত লবণপ্রশ্রবণ আছে। উহা হইতে স্থানীয় লোকে লবণ প্রস্তুত করে। আকারাব হইতে মাগু ই পর্যন্ত সমুদ্রোপকূলে সমুদ্রজল হইতে সামুদ্র লবণ প্রস্তুত হয় । । ভারত গবমেণ্ট লবণের বাণিজ্য একচেটিয়া করিয়া ১৮৮২ খৃষ্টাবো লবণের প্রতিমণ ২০ টাকা শুষ্ক ধাৰ্য্য করেন। খৃষ্টীয় বিংশশতাদের প্রারম্ভে ঐ গুদ্ধের হার ২ টাকার কম হয়। বর্তমান সময়ে ১৯৯৬ খৃষ্টাৰে কলিকাতার বাজারে
