পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লবণ [ s१४ ] লবণ লবণ জলে দিবার ঘরের নাম ভুসূরি ঘর ; তাহা চাতরের সন্নিকটেই নিৰ্ম্মিত হয়। তাহার দৈর্ঘ্য পরিমাণ ২৫ । ২৬ হাত, এবং প্রস্থ ৭ বা ৮ হাত। মলঙ্গীমাত্রেই ঐ ঘর উত্তরদক্ষিণে দীর্ঘ, এবং তাহার দক্ষিণ ভাগাপেক্ষা উত্তর ভাগ অধিক উচ্চ করিয়া নিৰ্ম্মাণ করে ; তাহার কারণ এই যে দক্ষিণ ভাগ তাহাদিগের আবাসস্থান, তাহা অধিক উচ্চ করিবার প্রয়োজন নাই, কিন্তু উত্তর-ভাগে লবণজালের উমুন নিৰ্ম্মাণ করিতে হয় ; তজ্জাত-ঘুমনিৰ্গমনের নিমিত্ত উহা উচ্চ না করিলে গৃহমধ্যে অবস্থিতি করা কঠিন হইয়া উঠে। উক্ত উমুন মৃত্তিকাদ্বারা নিৰ্ম্মিত হয় ; তাহা তিনহস্ত উচ্চ। ঐ উননের উপরিভাগে কর্দম দিয়৷ তদুপরি দুই শত বা দুই শত পচিশটা মিছরির কুন্দাকার ছোট ছোট মৃৎপাত্র স্থাপিত করিতে হয় ; ঐ পাত্রের নাম “কুঁড়ি", তাহার প্রত্যেকটতে দেড় সের জিনিস আটে। তৎসমুদায় উনুনের উপর কাদায় স্থাপিত করিলে যে অবয়ব হয়, তাহ পাশ্বে প্রদর্শিত হইল ; মলঙ্গীরা তাহাকে “ঝাট” এবং যে মৃৎপিণ্ডের উপর তাহা স্থাপিত করে, তাহাকে “ঝটিচক্র” কহে । উমুনে অগ্নি প্রজ্বলিত করিলে কর্দম !, শুষ্ক হইয়া তত্রস্থ সমস্ত কড়ি-পাত্রের vv y এক পিণ্ড হইয় উঠে। চারি পাঁচ W. বা ছয় ঘণ্টাকাল তাহাতে নাদের লবণ- VVVV VV VVV VVV W জল পাক করিলে দুই ঝোড় লবণ wwww. প্রস্তুত হয়। ঐ ঝোড়া উনুনের পার্থে "YYYYYYYY বাট । স্থাপিত থাকে, এবং তাহা হইতে যে জল নিঃস্থত হয়, তাহা ঝোড়ার নিম্নস্থ তৃণের উপর পড়িয়া লবণের স্থল-পগুরূপে পরিণত হয়। ঐ লবণ-পিণ্ডের নাম “গাছ-লবণ” ; অন্ত লবণাপেক্ষায় তাহ বিশেষ নিৰ্ম্মল ; কিন্তু মলঙ্গীরা ঐ লবণ কোম্পানিকে না দিয়া অনায়াসে গোপনে অন্তকে বিক্রয় করিতে পারে বলিয়া গাছ-লবণ প্রস্তুত করণের নিষেধ আছে । লবণপাকের অন্ত আর একটী নাম পোক্তান। কারখানায় এই পোক্তান শব্দটীরই ব্যবহার হইয়া থাকে। দুই ঝোড় লবণ পোক্তান হইলে কোম্পানীর আদলদার নামক কৰ্ম্মচাৰী আসিয়া তাহা কাষ্ঠে মুদ্র ( মোহর ) দ্বারা চিহ্নিত করিয়া দেয়। ঐ মুদ্রার নাম আদল, ঐ আদল হইতে আদলদার নাম স্মৃষ্টি হইয়াছে। লবণের মোহর হইলে উহা মলঙ্গীর খটিতে রাখা হয়, তথায় একদিন ও একরাত্রি থাকিয়া শুকাইলে গোলাঘরের মৃত্ত্বিকার উপর স্ত,পাকারে রাখিয়া দেয়। দশ কি বার দিন লবণ, অমুরবিশেষ। গোলাঘরে রাখিয়া পরে বাহিরে আনিয়া গোলাঘরের সন্মুখে শু,পাকার করিয়া রাখে। ঐ স্তপের নাম “বহির বাড়ি"। ১•১৫ দিন ঐ কঁাড়িতে থাকিয় লবণ শুষ্ক হইলে পর ੱਿਜ দারোগা আসিয়া উক্ত লবণ মলঙ্গীর নিকট হইতে ওজন করিয়া লয় ও উক্ত পরিমাণ মলঙ্গীর হাতচিঠায় তুলিয়া দেয়। লবণ ওজন করিবার সময় ওজনদার ( কয়াল ) অনবরত নিম্নোক্ত প্রকার নূতন পদ বলিতে থাকে,— “রামগোপালে পঞ্জুড়ে মাল দিতে হবে পঙ্গুড়ে ॥ জলদি চলে ভইয়া রে । এক পাও দিতে হবে পছুড়ে” । পোক্তান-দারোগী কর্তৃক লবণ ওজন হইলে তখন তাহা কোম্পানির হইল। র্তাহারা ঐ লবণ ঘটনারায়ণপুর নামক স্থানে আনয়ন করিয়া আপনাদিগের গোলা পূর্ণ করেন ; অবকাশ-মতে তাহা লবণবিক্রেতাদিগকে আপনাদিগের নিদিষ্ট মূল্যে বিক্রয় থাকেন। মলঙ্গীরা কোম্পানির নিকট লবণের মূল্য আড়ঙ্গ ভেদে মণ করা ৮০ আনা বা ৯/১০ আনা করিয়া প্রাপ্ত হইয়া থাকে ; পরে কোম্পানির ঐ লবণ ৩৮১৭ • করিয়া বিক্রয় করিয়া থাকেন। সুতরাং ক্রয়বিক্রয়ের মূল্য কৰ্ম্মকৰ্ত্তাদিগের বেতন ও অন্তান্ত সমস্ত ব্যয় ব্যতীত তাহারা মণ করা অনুন ২০ টাকা লাভ করিয়া থাকেন। রামায়ণে লিখিত আছে,—সত্যযুগে দৈত্যবংশে লোলার মধুনামে একপুত্র জন্মে, এই মধু মহাদেবের উদ্দেশে কঠোর তপশ্চরণ করিয়া এক শূললাভ করে । মহাদেবের শূলপ্রাপ্ত হইয়া মধু অতিশয় বলীয়ান হয়। কিন্তু মধু দৈববলে বলীয়া হইয়াও পরমধাৰ্ম্মিক ছিল, কাহারও কোন অনিষ্টাচরণ করিত না । পরে মধু পুনৰ্ব্বার তপশ্চরণ করিয়া এই শূল যাহাতে বংশপরম্পরাক্রমে থাকে, মহাদেবের নিকট এই বর প্রার্থনা করে, কিন্তু মহাদেব তাহাকে এই বর না দিয়া তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র এই শূলপ্রাপ্ত হইবে, এইবর দেন। বিশ্বাবস্থর কস্তা অনলার গর্ভে কুস্তানসী নামে এককম্ভ হয়। মধু কুম্ভীনসীকে বিবাহ করিলে ত্বীয় গর্তে লবণের জন্ম হয়। ক্রমে লৰণ অতিশয় দুৰ্ব্বত্ত হইয়া উঠিল। মধু পুত্রকে মুর্কিনীত দেখিয়া রুষ্ট ও শোকাবিষ্ট হইয় তাহার হস্তে শূল দিয়া ইহলোক পরিত্যাগ করিল। লবণ এই শূলপ্রভাবে ত্রিলোকের অবধ্য হইয়া পড়িল । লবণের ভীষণ অত্যাচারে পীড়িত হইয়া ঋষিগণ রামচন্দ্রের শরণাপন্ন হন । তখন ভগবদৰতার রামচন্দ্র ইহাকে বধের জন্য ভরতকে আদেশ করিলে শক্রয় স্বয়ং তাহাকে বধ করিবার জন্ত প্রার্থনা করেন । শক্রমের