পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লবণক্ষার [ ১৭৯ - } লবণধেনু mimmetim প্রার্থনায় রামচন্দ্র তাহাকেই লবণবধার্থে প্রেরণ করেন । “লবণের হস্তে শূল থাকিলে দেবদানবাদি যে কেহ যুদ্ধার্থ তাহার সমুখে উপস্থিত হইবে, সেই ভক্ষ্মীভূত হইয়া যাইবে শক্ৰ ইহা অবগত হইয়া যখন তাহার হস্তে শূল ছিল না, সেই সময় তাহার সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহাকে নিহত করেন। শক্রন্থের হস্তে লবণ নিহত হইলে দেবগণ তাহার ভূয়সী প্রশংসা ও তীয় মস্তকোপরি পুষ্পবৃষ্টি করিয়াছিলেন। পরে দেবগণ তৎসমীপে উপস্থিত হইয়া তাহাকে বর প্রার্থনা করিতে বলেন, তখন শক্রয় দেবগণের নিকট এই বর প্রার্থনা করেন, “দেববিনিৰ্ম্মিত এই লবণামুরের মনোহারিণী মধুপুরী (মথুরা) অবিলম্বে জনসমূহে পরিপূর্ণ হউক” দেবগণ তাহাই হইবে, এই বর দিয়া প্রস্থান করেন। পরে শত্রয় এই নগরীতে স্বাদশবর্ষকাল অবস্থিতি করিয়া অযোধ্যা নগরীতে প্রত্যাবৃত্ত হন। ( রামায়ণ অযোধ্যাকা- ৭৩-৮৪ অ• ) ২ রাক্ষসবিশেষ। (মেদিনী ) ৩ সমুদ্রবিশেষ, লবণ-সমুদ্র। এই সমুদ্রের উৎপত্তিবিবরণ ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত-পুরাণে এইরূপ আছে,— শ্ৰীকৃষ্ণের ঔরসে বিরজার গর্ভে সঞ্চপুত্র হয়। বিরজা এই সপ্তপুত্রের সহিত অবস্থিতি করিতেছিলেন, একদা বিরজা শৃঙ্গারে আসক্তচিত্ত হইয়া শ্ৰীহরির সহিত পুনরায় বিহার করিতেছিলেন, এমন সময় তাহার কনিষ্ঠপুত্র অপর ভ্রাতৃগণ কর্তৃক পীড়িত হইয় ভয়ে তথায় জননীর ক্রোড়ে আগমন করিল । হরি নিজপুত্রকে ভীত দেখিয়া বিরজাকে ত্যাগ করিলেন। বিরজ পুত্রকে ক্রোড়ে করিয়া তাহাকে সাম্বন করিতে লাগিলেন, ইত্যবসরে শ্রীকৃষ্ণ বিরজাকে ত্যাগ করিয়া শ্ৰীমতী রাধিকার নিকট গমন করিলেন, বিরজা পুত্রকে সাস্তুনা করিয়া প্রিয়তম হরিকে নিকটে দেখিতে পাইলেন না, তথন বিরজা শৃঙ্গারে অতৃপ্তমনা হইয়া অতিশয় রোদন করিতে লাগিলেন এবং পুত্রের প্রতি অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয় তাহাকে শাপ দিলেন যে, তুমি লবণ সমুদ্র হইবে, কোন প্রাণী আর তোমার জলপান করিবে না, অপর পুত্ৰগণ ইক্ষু প্রভৃতি সমুদ্র হইবে। বিরজার শাপে তাহার কনিষ্ঠ পুত্র লবণ সমুদ্র হইয়াছিল। বিরজার সপ্তপুত্র সপ্তদ্বীপে সপ্তসমূত্রে পরিণত হইয়াছিল । (ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপু• শ্ৰীকৃষ্ণজন্মথ• ৩ অ• ) (ত্রি) লবণেন সংস্কৃষ্ট: লবণ-ঠক্‌ (লবণাৎ ঠক্ । পা ৪৪.২৪) ইত ঠকোলুক্‌ যজ্ঞ লবণে রসোহস্তম্মিন্নিতি অৰ্শ আল্পচ। ৪ লবণরসযুক্ত। এ লাবণ্যযুক্ত । লবণ, চট্টলের অন্তর্গত একটা গওগ্রাম। (অধিব্যব্ৰহ্মথও ১৫৪৫) লবণকিংশুকা (স্ত্রী) মহাজ্যোতিষ্মতী । ( রাজমি” ) লবণক্ষার (পুং ) লবণস্য ক্ষার: লোণার ক্ষার। ( রাজনি" ) লবণখনি (পুং) লবণাকর, লবণের খনি, যেস্থান হইতে লবণের উৎপত্তি হয়। লবণজল (ত্রি ) লবণং জলং বল্য। ১ লবণসমূদ্র । (ক্লা) লবণং জলং। ২ লবণাক্ত জল, লোণাজল। ৩ লবণমিশ্রিত জল । লবণজলধি (পুং ) লবণসমুদ্র । ( ভাগৰত ৫৷১৭৯১) লবণঞ্জলনিধি (পুং ) লৱণসমুদ্র। ( রামায়ণ ৫।৩১৬২ ) লবণতা (স্ত্রী) লবণস্য ভাবঃ তল-টাপ, লবণের ভাব বা ধৰ্ম্ম, লবণত্ব, লবণাক্ত, লবণরসযুক্ত। লবণতৃণ (কী ) লবণরসবিশিষ্ট তৃণং। তৃণবিশেষ। চলিত লোণ স্বাস। সংস্কৃত পর্যায়—লোমকৃ", তৃণাম, পটুতূণক, মুম্বকাও। গুণ --অম্ল, কযায়, স্তনদুগ্ধনাশক, অন্নবৃদ্ধিকর। ( রাজনি• ) লবণতোয় (ত্রি ) লবণজল, লৰণসমুদ্র। (রামা,৫৭২১) লবণত্রয় ( স্ত্রী) লবণস্য ত্রয়ং। ত্রিবিধলবণ, সৈন্ধব, বিট, সচল । লবণত্ব (ক্লী) লবণধৰ্ম্মান্বিত। লোণ । লবণদ্বয় ( ক্লী) দ্বিবিধ লবণ, সচল ও সৈন্ধব। লবণনিত্য (ত্রি ) প্রতিদিন লবণরসাস্বাদনশীল । ( শব্দচ” ) লবণধেনু (স্ত্রী) লবণনিৰ্ম্মিত ধেমু: দানার্থ লবণাদিনিৰ্ম্মিত ধেমু। বরাহপুরাণে এই ধেমুদানের বিধান এইরূপ আছে—মহীতল প্রথমে গোময়াদি দ্বার উত্তমরূপে লেপন করিয়া তাহার উপর কুশচন্ধ আস্তরণ করিতে হইবে, ঐ চক্ষ্মের উপর ষোড়শপ্রস্থ পরিমাণ লবণের দ্বারা একটী কল্পিত ধেমু প্রস্তুত করিবে. চারিপ্রস্থ দ্বারা ইহার বৎস প্রস্তুত করিতে হয়, ইক্ষুদও দ্বারা এই ধেনুর পাদ, সুবর্ণদ্বারা মুখ ও শৃঙ্গ, রৌপ্যদ্বারা খুর, গুড়ম্বারা মুখ, ফলময় দস্ত সকল, শর্করা দ্বারা জিহবা, গন্ধদ্রব্যে প্রাণ, রত্নদ্বারা নেত্রদ্বয়, পত্রদ্বারা কর্ণদ্বয়, নবনীত দ্বারা স্তন, স্বত্রদ্বারা পুচ্ছ, তাম্রময় পৃষ্ঠ, কুশময় রোম, কাংস্যের দ্বারা দোহনীপাত্র করিবে ; পরে এই ধেমুকে ঘণ্টাভরণে ভূষিত করিতে হয়। তদনন্তর মুগন্ধ পুষ্পাদি দ্বারা যথাবিধানে পূজা করিয়া এই ধেমুকে যুগ্মবন্ত্রদ্বারা আচ্ছাদন করিয়া ব্রাহ্মণকে দান করিবে। সংক্রাস্তি, গ্রহণ, ব্যতীপাতাদিযোগ ও উত্তমকালে দান করা বিধেয়। যথাবিধানে ধেমু দান করিয়া ইহার দক্ষিণ সুবর্ণ দিতে হয়। দানান্তে এই মন্ত্র পাঠ করিবে “পুৰ্ব্বোক্তেন বিধানেন স্বশক্ত কনকেন তু। ইমাং গৃহাণ ভো বিপ্র রুদ্ররূপে নমোহস্তু তে । . রসজ্ঞা সৰ্ব্বভূতানাং সৰ্ব্বদেবনমস্কতা । কামং কামহ্লধে কাম ক্ষারধেনে নমোহন্তু তে।” (বরাহপু• শ্বেতোপা, লবণধেমুম • ) যথাবিধানে এই লবণধেমু দান করিলে ইহলোকে বিবিধমুখ ও অন্তকালে রদ্রলোকে গতি হইয় থাকে।