পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষণ o মাইল । এখানকার সর্দার বড়োদার গাইকবাড়কে বার্ষিক ১৫৪ টাকা ও জুনাগড়ের নবাবকে বার্ষিক ২৪২ টাকা রাজকর দিয়া থাকেন। লাকিনী (স্ত্রী) যোগিনীভেদ। তন্ত্রে এই যোগিনীর বিষয় বর্ণিত আছে। দুর্গোৎসবপদ্ধতিতে লাং লাকিনীভো নমঃ’ এই মন্ত্র পূজা করিতে হয় । লাকুচ (ত্রি) নকুচ-ক্ষম্ভব। লকুচি ( পুং ) বাকুচের গোত্রাপত্য । লক্ষ (ত্রি) লক্ষ্ম বা লক্ষ্মী শব্দের অপপ্রয়োগ । লাক্ষর্কী ( স্ত্রী) সীতা ।

  • রাঘব তে ইয়ং সীতা দ্বারকেশস্ত রুক্মিণী । বিঞ্চোৎবতারমাত্রস্ত লক্ষ্মীৰ্য্যা কমলালয় ॥ লক্ষণ কমূল দান্তে যন্তা: সা লাক্ষকী মতা। এবং শতসহস্রাণামীশ্বরী রাধিকাধিক ॥”

(পদ্মপুরাণ উত্তরথও ৫৫ অধ্যায় ) লক্ষণ (ত্রি) ১ লক্ষণসম্বন্ধীয়। ২ লক্ষণবিৎ । লাক্ষণি (পুং ) লক্ষণের গোত্রাপত্য। লাক্ষণিক (পুং ) লক্ষণমধীতে দেবা বা লক্ষণ ( কর্তৃক্থাদিস্বত্রাস্তাৎ ঠক্ । পা ৪।২৬০ ) ইতি ঠক্‌। ১ লক্ষণাভিজ্ঞ, লক্ষণবেত্তা। ২ লক্ষণ শক্তি দ্বারা প্রতিপাদক অর্থ। "লক্ষণয় প্রতিপাদকঃ লাক্ষণিকঃ’ ( সাহিত্যুদণ্ড ) লক্ষণাত্মক বৃত্তিমং পদত্বই লাক্ষণিকত্ব । লক্ষণাত্মকবৃত্তিমং পদত্বং লাক্ষণিকত্বং ( সারমু” ) বিভক্তিতত্ত্বার্থবাদে লিখিত আছে যে, শব্দ ও প্রকার শক্ত, লাক্ষণিক, রূঢ়, যোগরূঢ়, যৌগিক, ও যৌগিকরূঢ় । “শক্তে লাক্ষণিকে রূঢ়ো যোগরূঢ়শ্চ যৌগিক: । কচিৎ যৌগিকরূঢ়শ্চ শব্দ; ষোঢ়া নিগস্থতে ॥” ( বিভক্তিতত্ত্বার্থবা” ) [ লক্ষণ দেখ ] লক্ষণ্য (ত্রি) লক্ষণবিৎ । লক্ষা, কামরূপের দক্ষিণে প্রবাহিত একটা নদী। (কালিকাপু ১৭ অ: ) রামপালের দক্ষিণেও এই নদী প্রবাহিত । (দেশাবলী ) লাল (স্ত্রী ) লক্ষ্যতেইনয়েতি লক্ষ (গুরোশ্চ হল: । পা ৩৩।১০৩) ইতি অ-টাপ যথা-বাহুলকাৎ রাজতেরপি সঃ’ কপিলিকাদিত্বাং বা লক্ষ্মং (উণ, ৩৬২ ) রক্তবর্ণ বৃক্ষনির্যাস বিশেষ, চলিত লাহা,গালা। সংস্কৃত পৰ্য্যায়--রাক্ষা, জতু, যাব, অলক্ত, ক্রমাময়, খনিরিকা, রক্তা, রঙ্গমাতা, পলঙ্কষা, কৃমিহা, ক্রমব্যাধি, অলক্তক, পলাশী, মুদ্রিণী, দীপ্তি, জন্তুক, গন্ধমাদিনী, নীলা, দ্রষয়সা, পিত্তারি। বিভিন্ন দেশে লাক্ষা বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিন্দী-লাক্ষ', [ ১৮৬ ] লাক্ষা লা, লাহা ; বাঙ্গালা-গালা ; গুজরাত—লাক্‌ ; তামিল— কোন্নুরুকী ; তৈলঙ্গ—কোম্মলক, লজুক, লৱ ; মলয়ালমূঅম্বুলু; ব্ৰহ্ম-থেজিঙ্গক ; শিঙ্গাপুর—লকদ ; মহারাষ্ট্র-লাখ ; কলিঙ্গ-অরণ্ড । আশন, বট, মহুয়া, পলাশ প্রভৃতি বৃক্ষ-ত্বকে লাক্ষাকীটের (coccus lacca ) অবস্থানহেতু যে রক্তবর্ণ নিৰ্য্যাস উৎপন্ন হয়, তাহাই লাক্ষ বা গালা নামে পরিচিত। কেহ কেহ বলেন, লাক্ষাকীট বৃক্ষবিশেষের ত্বক ভক্ষণ করিয়া যে মল ত্যাগ করে, তাছাই জলবায়ু ও বৃক্ষের রসগুণে লাক্ষায় পৰ্য্যবসিত হয় । এই লাক্ষ বা গাল উৎপাদনের জন্ত ভারতবর্ষের স্থানবিশেষে চাস হইতে দেখা যায়। তত্তৎস্থানের অধিবাসীরা এক বৃক্ষ হইতে লাক্ষা কীট লইয়া অপর বৃক্ষে ছাড়িয়া দেয়, সেই কীট হইতে বৃক্ষত্বকে নূতন কীটের উৎপত্তি হইতে থাকে। ক্রমশ: এই নুতন কীটবংশ বৃক্ষকে ছাইয়া ফেলে। যখন লাক্ষাকীটে বৃক্ষের আপাদ-মস্তক আচ্ছন্ন হয়, তখন আর বৃক্ষট সজীব থাকে না, বরং রসহীন হওয়ায় তাহার পত্রাদি ঝরিয়া যায় এবং গুড়ি হইতে সমগ্র পল্লবাদি লাক্ষামলে আবৃত হইয়া মলসংযুক্ত হরিদ্রাভ লোহিত বর্ণে রঞ্জিত হইয়া উঠে। লাক্ষাপালনকারিগণ উপযুক্ত সময়ে ঐ লাক্ষামল সুপরিপক্ষ হইয়াছে জানিয়া তাহা ভাঙ্গিয়া বাজারে বিক্রয় করিতে আনে । ঐ লাক্ষা দেশীয় বাণিজ্যের একটী পণ্যদ্রব্য মধ্যে গণ্য। উহা হইতে নানাপ্রকার খেলান প্রস্তুত হইয়া থাকে। খেলান প্রস্তুত করিবার পূৰ্ব্বে উহাকে জলে ভিঞ্জাইয়া রাখিতে হয় । তাহাতে সেই জল ক্রমশঃ লাল হইয় উঠে। সেই লোহিতবর্ণ জল শুকাইয়া গাঢ় হইলে পর যে লাল রঙ, তলায় জমে, তাহ পুনরায় শুকাইয়া লইলে ‘Lad dye' প্রস্তুত হইয়া থাকে। তাহাই বাণিজ্যদ্রব্যরূপে বাজারে বিক্রীত হয় । আমাদের দেশের অলক্তক নামক কাপাস-পত্র (তুলার পাত) এই লাক্ষর রঙ্গেই প্রস্তুত । ময়লাযুক্ত লাক্ষাকে সাধারণতঃ লোকে খাম্‌লাখ, বা লাক্ষার খামি বলে। লাক্ষা ভিজাইয়া পরিষ্কৃত করিবার পর উহা এক ' একটা ক্ষুদ্র বীজের স্তায় চূর্ণ হইয়া যায়। উহা লাক্‌দান বা Seed-lae নামে পরিচিত । এই দানাগুলি অগ্নির উত্তাপে সামান্ত পরিমাণ রজন যোগে গলাইয়া যে পাতগাল (Shell-lae) প্রস্তুত হয়, বাঙ্গালায় ও হিন্দুস্থানে তাহ চাপড়া-গালা বা চাছ-গালা বলিয়া প্রসিদ্ধ। বোতামের স্থায় ক্ষুদ্র ও গোলাকার মোটাগুলি বড়া-গালা বা Button-lae নামে প্রচলিত আছে। ভারতবর্ষের স্থানবিশেষে লাক্ষার উৎপত্তি ও পরিমাণ স্বতন্ত্র । পশ্চিমবঙ্গের ও আসামের পাৰ্ব্বত্য-প্রদেশে এবং মধ্যপ্রদেশের নানাস্থানে প্রচুর গাল জন্মে। যুক্তপ্রদেশে তদপেক্ষা