পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাক্ষা * 1 سياسيالا ] লাক্ষা বিশেষ অপকারক। ইহার বৃক্ষে উঠিয়া লাক্ষাকীটের স্ত্রীcoffiz-(Female cell) of: মধ্যে প্রবিষ্ট হয় এবং ক্রমশঃ তদুপরি গুস্ত সুমিষ্টরলসম্পন্ন মোমবৎ সাদাছাল খাইতে আরম্ভ করে। তাহাতে কোটরস্থ কীট পরিপুষ্ট হইতে না হইতেই বায়ু ও উত্তাপের প্রখরতায় নষ্ট হইয়া যায়। যে বৃক্ষে পিপড়া ধরে, সৈ গাছের গালা আর পুষ্ট হইতে পারে না। এতদ্ভিন্ন Galleria ও Tinea শ্রেণীর আরও দুই প্রকার কীট ইহাদিগের অপকার করে। উহার কেবল স্ত্রী-লাক্ষাকীটের রঙের অংশ ও শিশু কীটগুলিকে খাইয়া থাকে । রাসায়নিক পরীক্ষা দ্বারা লাক্ষার বিভিন্ন পদার্থের সমাবেশ নির্ণীত হইয়াছে। ঐ সকল পদার্থে বিশেষ বিশেষ গুণ থাকায় এবং উহা স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র কার্য্যে ব্যবহৃত হয় বলিয়,উহা এত অধিক আগ্রহ্মের সহিত্ন পণ্যদ্রব্যরূপে বাজারে বিক্রীত হইয়া থাকে। অধ্যাপক হাচেট বিশ্লেষণ দ্বারা দেখিয়াছেন যে,পল্লবমণ্ডিত লাক্ষার (Stick lac ) ৬৮ ভাগ রজন, ১• ভাগ রঙ, ৬ ভাগ মোম, ৫•ভাগ আটাবৎ পদার্থ, ৬০ভাগ মাড় ও ৪ তাগ ধূলা গুড়া हैडानि श्रां7श् । লাক্ষাচুর্ণে (Seedlac) vb-ot gara, o Rio রঙ, ৪ মোম ও ২ ভাগ আঠা এবং টাচ গালায় (Shell-lae) ৯৭ ভাগ রজন, ॥• ভাগ রঙ, ৪ ভাগ মোম এবং ২৮ ভাগ নাইটুে জেনসম্বন্ধীয় পদার্থ থাকে। উনভারডোরবেন বলেন, চাচগালার রজন নামক পদার্থ মালকোহল ও ইথারে দ্রবীভূত হয়। আবার ঐ ধূনাবৎ পদার্থের কতকাংশ আলকোহলে দ্রবীভূত হয়, কিন্তু ইথারে হয় না। উহা দানা বাধে। উছাতে লাক্ষাকীটের বসা ( ເກaaoມified fat) or ওলিক ও মাসরিক এসিড, আছে। কতক পরিমাণে মোম ও ]accine f७म्न झुग्नि ! গালার পাত প্রস্তুত করিবার প্রণালী ।~প্রথমে পল্লবমণ্ডিত লাক্ষাগুলিকে জাতায় পিষিয়া চূৰ্ণ করিতে হয়, তদনন্তর বড় কাটিকুটা বাছিয়া ফেলা হয়। পরে সেই লক্ষ খণ্ড গুলি ক্রমশঃ ফল-বীজের স্তায় ক্ষুদ্রতম করিবার জন্য তিন বা চারিপ্রকার জাতীয় উপযুপিরি পেষিত ও চূর্ণ করিয়া ছাত্নী দিয়া ছাকিয়া লওয়া হইয়া থাকে। এইরূপে ছাকিতে ছাকিতে যখন কেবল গালাচুৰ্ণ মেজের উপর পড়ে এবং কাটিকুটা ছাকৃনীতে আলাহিদা থাকে, তখন সেই কাটিকুটা ফেলিয়া দিয়া লাক্ষাচর্ণগুলি উঠাষ্টয়া স্ত্রীলোকেরা কুলায় ঝাড়িয়া পরিষ্কার করে। কুলায় পরিষ্কার : করিবার সময় আবর্জনামিশ্রিত লাক্ষাচুর্ণগুলি একধারে রাথিস্থা পরিষ্কার লাক্ষার দানাগুলি পাতগাল প্রস্তুতের জন্ত সরাইয়া রাখে এবং ঐ আৰঙ্গনামিশ্রিত অপরিষ্কার দাঙ্কচু চুটীওয়ালদের নিকট বিক্র করে। তাছার উৎ

গলাইয়া ভারতীয় রমণীগণের হস্তালঙ্কার প্রস্তুত কম্বিয়া থাকে । অতঃপর সেই পরিষ্কৃত দানাগুলি লইয়া একটা লম্বমান নলের মধ্যে পুরিয়া জলে কচলান হইয় থাকে। নলের ভিতর জল থাকার গালার রঙ ক্রমশঃ জলে মিলিত হইয়া লালবর্ণ ধারণ করে। ঐ দানাগুলি উত্তরোত্তর জল-আলোড়নে চূর্ণ হইয়া ক্ষুদ্র হইতে ক্ষুদ্রতম দানায় পরিণত হয় এবং বর্ণপদার্থ ( Colouring matter ) aroxir; otto &o বিযুক্ত झहेब्रां পড়ে। তখন সেই রঙ্গিণ জল থিতাইবার জন্য একটা বড় ८फोबॉक्रांब्र भरथा २8 षझेोकांन ब्रांथ श्ब्र । नैौण गॅीयाहेदांब्र মত চৌবাচ্ছার তলে রঙ, সঞ্চিত হইলে একটা ছিদ্রপথে উপরের জল চালিত করিয়া চৌবাচ্ছার বাহির করা হইয় থাকে। পরে সেই সঞ্চিত রঙ্গিণ পদার্থ উত্তমরূপে ছ'কিয়৷ একটা পাত্রে রাখা হয়। ঐ স্থানে উহা শুকাইয়া গাঢ় হইলে তাহাকে বরফঁীর আকারে খণ্ড থও কল্পিয়া কাটিয়া রৌত্রে পুনরায় শুকাইয়া লওয়া হইয়া থাকে। উহাই বাণিজ্যের ‘লাক্‌-ডাই’ নামক পণ্যদ্রব্য। উপরোক্ত জলধোঁত লাক্ষাকণাই "Seed-lae” নামে পরিচিত। উহাকে আবৃত পাত্রে বাস্পোত্তাপে তরল করিয়া লইয়া পাত্রগাত্রস্থ উত্তপ্ত নালীপথ দিয়া রজন মিশ্রিত করা হয়। তাহা হইলে অভ্যন্তরস্থ লাক্ষা আরও তরল হইয়া পড়ে। উহ আর পাত্রের গাত্রে কামড়াইয়া ধরে না, বরং অগ্নির উত্তাপে থাকিয়া ফুটিতে ফুটিতে কিছুকাল পরে ঐ রঞ্জন উপিয়া যায়। পুৰ্ব্বকথিত ভাণ্ডের চারিপাশ্বে দস্তানিৰ্ম্মিত কতকগুলি নল সজ্জিত থাকে। উহার শিরোদেশ ৪৫° কোণে বক্র । উহাদের ভিতর ফাঁপা এবং অভ্যস্তরে নিরস্তুর উষ্ণ জল রাখা হয়। তাহার তাপ অতি সামান্ত, কারণ অধিক তাপ হইলে গালা ঈষৎ ঠাগু হইতে পায় না, সুতরাং জমিতেও পারে না, আবার একবারে ঠাণ্ড হইলে গালা শীঘ্ৰ দৃঢ় হইয়া যাইবার সম্ভাৰন । ঐরূপ অবস্থায় তাহাতে তরল গাল লাগাইয়া টানিলে সহজেই, তাহা ঐ দস্তাস্তস্তে আটকাইয়া যাইবে । অতএব নিয়মিত উত্তপ্তজলে ঐ দস্তার চোঙ্গাগুলি পূর্ণ হইলে, একজন ব্যক্তি কলার পেট্রোতে খানিকট গলিত গালা লইয়া একটী স্তম্ভের শিরোদেশে লাগাইয়া দেয়। গোলাকার ও মন্থণ ঐ দণ্ডের উপর সমানভাবে উত্তাপ প্রাপ্ত হইয়া গাল সরল ও পাতলাভাবে ছড়াইয় পড়ে, তখন একব্যক্তি আনারস, তাল বা নারিকেলপত্র দুই হাতে দুই কোণে ধরিয়া নলের মাথা হইতে সেই তরল গালা টানিয়া ঘাড়াইতে থাকে। গালার উত্তাপ ও করলতা কমিক্স রায়ুতে ক্রমশঃ শুকাইয়া আসিলে উপরের মোটা অংশটুকু ভারি