পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शंकांशैर्भ [ ১৯১ ] t লাক্ষাদ্বীপ বহুকাল হইতে লাক্ষার বাণিজ্যের জন্য স্বলবার উপকূলে যাতায়াত ক্ষরিত। তাহার লাক্ষার নাম হইতেই এই দ্বীপের নাম লাক্ষাদ্বীপ वलिंग्र ८थाषेिङ कब्रेिब्र थक्रिद ।। ४९४७ थुडेॉटक दांtर्षींना লক্ষদ্বীপকে মলনস্বীপ ও মালদ্বীপকে পলনীপ শব্দে অভিহিত করিা গিয়াছেন। তুহফৎ-উল-মজাহিনী গ্রন্থে ইহা মলবারদ্বীপপুঞ্জ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। নিম্নে বর্তমান দ্বীপপুঞ্জগুলির নাম প্রদত্ত হইল,— দক্ষিণ কণাড়া বা আমীনদীবি দ্বীপাবলী- লোকসংখ্যা আমীনি ব| আমীনদীৰি ه و۹ م ډ ¢5९जाँ९ ¢ሞ ጓ हिङ्गम् ૨ 84 কিলতান ግእ ● বিত্র ( বসবাস নাই ) - কোনুর দ্বীপাবলী অগত্তি ›©ፃ¢ কবরক্তি २४ ९* অক্রোথ &bry8 কালপেণি ४.२२२ মিনিকোই (মীনকট ) \రిగి సి) মুহেলী ( বসবাস নাই ) - মিনিকোই দ্বীপবাসীরা লাক্ষাদ্বীপবাসীর দ্যায় মলয়ালম ভাষায় কথা কয় না। ইহাদের কথিত ভাষায় লাক্ষাদ্বীপি ভাষার অনেকটা পার্থক্য ও মালদ্বীপবাসীর ভাষার সহিত অনেক সাদৃশু দেখিয়া এই দ্বীপকে মালদ্বীপপুঞ্জের অন্তৰ্ভুক্ত করা হইয়া থাকে । ইহার প্রত্যেক দ্বীপগুলিই প্রবালসমষ্টির সংযোগে উৎপন্ন। সকল গুলিই সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১০ বা ১৫ ফিট উচ্চ এবং ভূপরিমাণ ২ হইতে ৩ বর্গমাইল। ইহাদের চারিপাশ্বে ই প্রবালজ পৰ্ব্বতশিখর দৃষ্ট হয়। পূৰ্ব্বাংশের প্রবাল গিরি . পশ্চিমের অপেক্ষ কম। পশ্চিম দিকে উহা ৫০ গজ হইতে কোন কোন স্থানে এক মাইলের তিন পোয়া ভাগ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। ঐ স্থানের স্বল্প-গভীরতা নিবন্ধন জল ‘লেগুণের মত স্থির। এমন কি, ভীষণ ঝটিকার সময় সেই জলে নিৰ্ভয়ে কয়ার (নারিকেলের ছোবড়া ) তিজান যাইতে পারে। ভাসিয়া যাইবার কোন ভয় থাকে না। জুয়ারের সময় এই স্থির ভাগ জল পূর্ণ থাকে, ভাটা পড়িলে খাতের মধ্য দিয়া জল ক্রমশঃ নিকাশ হইয়া যায়। তখন উহার উপরি ভাগ শুষ্ক দেখায় এবং সেই নালী দিয়া দেশীয় বড় বড় নৌকাগুলি চালিত হইয়া লেগুণের বন্দরাংশে যেখানে অধিক জল আবদ্ধ থাকে, সেই অংশে সরিয়া আইসে। উক্ত দ্বীপসমূহের পশ্চিম ভাগে যেরূপ প্রশস্ত প্রবালজ গিরি বিদ্যমান, পূৰ্ব্বভাগে সেরূপ নাই। সেদিকের উচ্চ পৰ্ব্বতগাত্র একেবারে সমুদ্রগর্ভে নামিয়া গিয়াছে। ভূতত্ত্বের আলোচনা দ্বারা জানা যায় যে, পশ্চিম অপেক্ষা পূৰ্ব্বদিক অনেক পূৰ্ব্বে গঠিত হইয়াছে। এই দ্বীপপুঞ্জের প্রত্যেকের উপরি ভাগে চুণা পাথর বা প্রবালজম্বর দৃষ্ট হয়। উহার উপর কখন জল উঠে না। ঐ স্তর ১ হইতে ১॥• ফুট পর্যন্ত মোটা। ইহা খনন করিলে নিয়ে বালুমাটা পাওয়া যায়। কোদালে করিয়া ঐ বালুক তুলিয়া ফেলিলে সেই গৰ্ত্ত জলে পূর্ণ হইয় পড়ে। এইরূপে কূপ, তড়াগ ও পুষ্করিণ্যাদি কাটিয়া জল উৎপন্ন হইলে কয়ার ভিজান হইয়া থাকে। এখানে প্রভূত পরিমাণে নারিকেল বৃক্ষ জন্মে। অন্য কোন প্রকার সবজি সেরূপ উৎপন্ন হয় না। ইন্দর ব্যতীত অন্ত কোন চতুষ্পদ পশু নাই। ইহার নারিকেলের পরম শত্রু। কচ্ছপ ও মৎস্ত প্রচুর পাওয়া যায়। প্রায় সাদ্ধ শিতাব্দ কাল এই দ্বীপপুঞ্জ কোয়নুত্ব-রাজ্যের শাসনাধীন রহিয়াছে। ১৫৫০ খৃষ্টাব্দে কোলক্তিরী-রাজ মুপ্রিসিদ্ধ চিরক্কল এখানকার সর্দারকে জায়গীর স্বরূপ দান করেন । ইহার অনেক পরে মালদ্বীপের সুলতানের নিকট হইতে মিনিকোই দ্বীপ অধিকার করিয়া লওয়া হয়। ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দে উত্তর দ্বীপবাসিগণ বিদ্রোহী হইয়। রাজার অধীনতাপাশ ছিন্ন করিয়া মহিমুররাজের বহুত স্বীকার করে । ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে কণাড়। বিভাগ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর করতল গত হয়, তদবধি এই সকল দ্বীপ কোন্ননুরের নবাব-প্পানীকে আর প্রত্যপিত হয় নাই; কেবল তাহার রাজস্বের ৫২৫০২ টাকা ইংরাজরাজ কমাইয়া দেন। সেই সময় হইতেই এই দ্বীপমালার দুইটী বিভাগ হইয়াছে। ১৮৫৫ হইতে ১৮৬০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত দক্ষিণ দ্বীপাংশের খাজনা বাকী পড়ায় উছার রাজস্ব-সংগ্রহের জন্য ন্যাসী নিযুক্ত হয়। তদনন্তর ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে পুনরায় রাজস্বের অনাদায় ঘটলে উক্ত বিভাগ মলবারের রাজস্ব-সংগ্রাহকের (Collector of Malabar) অধীনে স্থাপিত হইয়াছিল । ইহাতে প্রজাবর্গের মধ্যে অসন্তোষ ঘটে। ইংরাজ গবমেণ্ট উত্তর বিভাগে এবং কোয়নুরের আলী রাজা স্বীয় অধিকৃত বিভাগে উৎপন্ন কয়ারের উদৃত্ত হইতে রাজস্ব আদায় করিয়া থাকেন। তাহারা উভয়েই প্রজাবর্গের নিকট নির্দিষ্ট মূল্যে কয়ার খরিদ করিয়া উপকূলস্থ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করেন। মূলধনবাদে যাহা লভ্য হয়, তাছাই উভয়ে রাজস্ব বাদে বাণিজ্যের লভ্যাংশ বলিয়া গ্রহণ করিয়া থাকেন। আলীরাজ স্বয়ং যে অংশ শাসন করেন, তাহার জন্ত ইংরাজ গবমেটিকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা পেসকল দিয়া থাকেন।