পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাখনৌ [ న4 } লাখনোঁ ৩ উক্ত জেলার উপবিভাগের অন্তর্গত একটী পরগণা লাখনো সহরের চতুষ্পার্শ্ব লইয়া গঠিত। ভূপরিমাণ ১৬৫ বর্গমাইল। লাখনেী নগর ব্যতীত এই পরগণার মধ্যে উজারিয়াওন, জযুগম, চিন্‌হাটু, মহাৰল্লিপুরওথাবাড় নামে পাঁচটা নগর আছে। লাখ নেলিখনৌ] (নগর), অযোধ্যা প্রদেশের রাজধানী। গোমতী নদীর উভয়কূলে অবস্থিত। অক্ষা” ২৬°৪১' ৪০" উঃ , এবং দ্রাঘি’ ৮০°৫৪′১৫′ পূঃ । কলিকাতা হইতে এই নগর ৬১. মাইল এবং বারাণসী হইতে ১৯৯ মাইল দূরবর্তী । নগর ভাগ ও সেনানিবাসের লোকসংখ্যা সৰ্ব্বসমেত প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার । নগরের ভূপরিমাণ ১৩• বর্গমাইল এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ৪০৩ ফিটু উচ্চ। ইংরাজাধিকৃত ভারতীয় নগরসমূহের মধ্যে ইহা চতুর্থ। সৌধমালা ও বিপণিসৌন্দর্য্যে ইহা অপরাপর নগর অপেক্ষা মনোরম ; কেবল কলিকাতা, মান্দ্রাজ ও বোম্বাই সহর ইহার স্থাপত্য বৈভবকে অতিক্রম করিয়াছে। মুসলমান-রাজত্বের শেষ সময়ে ইহা উত্তরপশ্চিম ভারতের রাজধানীরূপে পরিণ গণিত হইয়াছিল । ইংরাজাধিকারে আলিবার পরও এখানে . . __ళ তদ্বিভাগীয় বিচার সদর প্রতিষ্ঠিত থাকে । এখানে সভ্যতা ও উন্নতির পরাকাষ্ঠী যথেষ্টই বিদ্যমান আছে। সঙ্গীতবিদ্যালয়, ব্যাকরণ-শিক্ষাসমিতি ও ইসলামধৰ্ম্মের আলোচনার জন্ত কএকটা সাম্প্রদায়িক বিদ্যালয় অস্থাপি স্থানীয় সমৃদ্ধির পরিচয় দিতেছে। গোমতী নদীর উভয় তীরভূমি নানা সৌধমালায়,পরিবৃত হওয়ায় নগরের সৌন্দর্য্য অতীব মনোরম হইয়াছে । নগরসীম অতিক্রম করিলে, নদীতীরে দূরব্যাপী উদ্যানবাটিকাসমূহ স্থানীয় সৌনাৰ্য্যের মাত্রা আরও বদ্ধিত করিতেছে। নগরের পারাপার হইবার জন্ত উভয়তীরম্পর্শ চারিট সেতু গোমতীনক্ষে ভাসমান আছে। উহার দুইটী স্থানীয় মুসলমান রাজগণের যত্নে এবং ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে ইংরাজাধিকারে আসিবার পর, ইংরাজরাজের উদ্যোগে অপর দুইট সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। নদীবক্ষে নবনিৰ্ম্মিত সেতু অতিক্রম করিলে আর জ্যোৎস্নালোকে সমুদ্ভাসিত মৰ্ম্মরসল্লিভ মুরম্য হৰ্ম্মমালা দৃষ্টিগোচর হয় না। তখন ক্রমশঃই ফলফুলভারাবনত শ্বামল-বৃক্ষরাজি সমাবৃত উষ্ঠানবাটিকাই সাধারণের মনোরঞ্জক হইয় উঠে। এইরূপে কতকদুর নদীবক্ষে অতিক্রম করিলে নবাব আসফ উদ্দৌলার প্রাচীন লাপনে সেঃ প্রস্তুরসেতু দৃষ্টিগোচর হয়। উহারই বামভাগে মচ্ছিভবন দুর্গের সুবৃহৎ প্রাচীর, তাহার অভ্যন্তরে লক্ষ্মণ-টিলা নামক প্রাচীন নগরভাগ । ইহারই পাশ্বদেশে নানা অট্টালিকাদিপরিশোভিত আসফ উদ্দৌলার প্রতিষ্ঠত প্রসিদ্ধ ইমামবাড়া । এখান হইতে কিছুদূরে ইতিহাসপ্রসিদ্ধ জমা-মসজিদ উচ্চচুড়া তুলিয়৷ বেন নগরভাগ পরিদর্শন করিতেছে। ইহারই সন্নিকটে নদীর তীরে রেসিডেন্সী ভবনের ভগ্নপ্রাচীর । তথাকার স্মৃতিকুশ ( Memorial cross ) আজিও দর্শকের হৃদয়ে ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের সিপাহীবিদ্রোহকথা ও ইংরাজের বীরত্বকাহিনীর পরিচয় দিতেছে। এই সুবিস্তৃত প্রাঙ্গণের সন্মুখভাগে নদীসৈকতোপরি স্থাপিত ছত্রমঞ্জিল মামক বিখ্যাত প্রাসাদ। ঐ প্রাসাদোপরিস্থ স্বর্ণময় ছত্র স্বৰ্য্যালোকে প্রভান্বিত হইয়া দূরস্থানবাসীকেও প্রাসাদুড়ার ঔজ্জ্বল্য প্রদর্শন করিতেছে। ইহারই কিছু দূরে বামদিকে দুইট মসজিদ। উহারই মধ্য দিয়া কৈসরবাগ নামক প্রাসাদ । এখানে অযোধ্যারাজবংশের সিংহাসনচ্যুত বংশধরগণ বাস করিতেন । মোগল-সাম্রাজ্যের শেষ সময়েও অযোধ্যার উজীরবংশের প্রাধান্তসময়ে, লক্ষেী রাজধানীরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। উক্ত