পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাখনৌ [ ১৯৯ ] লাখনৌ একটা মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। তাহার বাল্যাবস্থায় তিনি ঐস্থানে বাস করিতেন, তাহার উপর তাহার পিতা ও মাতার জন্য দুইট সমাধিমন্দির স্থাপন করেন। জলসরবরাহের সুবিধার্থ তিনি একটা খাল কাটাইতে চেষ্টা পান। উহার নিদর্শন নগরের পূর্ব ও দক্ষিণে রহিয়াছে। অর্থাভাব বশত: তিনি উক্ত কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে পারেন নাই । তিনি কদম-রস্থল অর্থাৎ মহম্মদের পদচিহ্নস্থাপিত কৃত্রিম স্ত,পোপরি একটা স্ববৃহৎ অট্টালিক নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে একজন মুসলমান ঐ পদচিহ্ন আরব হইতে এদেশে আনয়ন করেন। তিনিই উহা উচ্চ ভূমে স্থাপন করিয়া উহাকে একটা মুসলমান তীর্থরূপে ঘোষিত করিয়া যান। গাজি উদ্দীনের আগ্রহে উহার মাহাত্ম্য বাড়িয়া উঠে। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের সিপাহীবিদ্রোহের সময় ঐ প্রস্তর স্থানান্তরিত হয়, তদবধি উহা আর কদম্রস্থল মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত झग्न नाझे । গাজি উদ্দীনের পুত্র নাসির উদ্দীন হাইদার ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে পিতৃসিংহাসনে অভিষিক্ত হইয়া রাজকাৰ্য পরিচালন করিতে থাকেন। জ্যোতিঃশাস্ত্রে ঐকান্তিক আসক্তি বশত: তিনি বহু অর্থব্যয়ে ‘তারাবালী কোঠী নামক একটা বেধালয় স্থাপন করেন। বিখ্যাত ইংরাজ জ্যোতিৰ্ব্বিদ কর্ণেল উইলকক্স তাহার কৰ্ম্মচারিরূপে নিযুক্ত থাকিয়া উক্ত বেধালয়ের যন্ত্রাদির পরিদর্শন করিতেন। ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দে কর্ণেল উইলকক্সের মৃত্যুর পর, ওয়াঞ্জি আলীশাহ এই বেধালয় বন্ধ করিয়া দেন,সিপাহীবিদ্রোহের ঘোরবিপ্লবে বিদ্রোহীদিগের উপদ্রবে উক্ত বেধালয়স্থ যন্ত্রাদি নষ্ট হইয়া যায়। বিদ্রোহিদলের নেতা ও পরামর্শদাতা ফৈজাবাদবাসী মৌলবী আহ্মদ উল্লাশাহ সেই সময়ে এখানে আসিয়া বাস করেন। তিনি বিদ্রোহীদিগকে উৎসাহদানার্থ ইহার প্রাঙ্গণ মধ্যে সময় সময় এক একটী সভার অনুষ্ঠান করিতেন। নাসির উদ্দীন হাইদার উপরোক্ত বেধালয় ভিন্ন ইরাদৎ নগরে একটা মহতী কারবালা’ নিৰ্ম্মাণ করাষ্ট্ৰয়ছিলেন, উহার মধ্যে র্তাহার মৃতদেহ সমাহিত রহিয়াছে। নাসির উদ্দীনের মৃত্যুর পর, তাহার খুল্লতাত মহম্মদ আলীশাহ ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরূঢ় হইয়া স্বীয় কীৰ্ত্তিস্তম্ভ হুসেনাবাদের ইমামবাড়া প্রতিষ্ঠা করেন । ইহা দুই ভাগে বিভক্ত। লানে দুর্গের প্রসিদ্ধ রূমী দরবাজা ছাড়িয়া গোমতীতীরবর্তী প্রশস্ত পথ দিয়া এই ইমামবাড়ার বহিঃপ্রাঙ্গণে আসা যায়। এই স্থানে রাস্তার একটু পশ্চিমে দাড়াইয়া দেখিলে দক্ষিণদিকে আসফ উদ্দৌলার ইমামবাড়া ও রূমীরবাজ এবং বামভাগে হুসেনাবানের ইমামবাড়া ও জুম মসজিদ দৃষ্টিগোচর হয়। এই কয়টা অট্টালিকার সমাবেশ দেখিয়া অনেক স্থাপত্য বিৎ মুক্তকণ্ঠে বলিয়া গিয়াছেন যে, স্থাপত্যশিল্পের এরূপ অত্যুৎকৃষ্ট নিদর্শন জগতে অতি বিরল। রাজা মহম্মদ আলীশাহ স্বীয় ইমামবাড়ায় আসিবার জন্য झजयश्लिल श्रेष्ठ झुर्णभक्षा ग्नि हेभाभदाफू श्रीस्त्र अर्काप्ने अश्रस्त्र পথ বাহির করিয়া দেন। এই পথের ধারে তাহার যত্নে একটা নীধিকাও কাটা হইয়াছিল। তিনি দিল্লীর জুয়াম জিদের অপেক্ষা অধিকতর উৎকৃষ্ট প্রণালীতে স্বনিৰ্ম্মিত ইমামবাড়ার পার্শ্বে একটা মসজিদের পত্তন করিয়াছিলেন। অকালে তাহার মৃত্যু হওয়ায়, তাহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সমাধা হয় নাই। তদবধি উহা অৰ্দ্ধগ্রথিত অবস্থায় নিপতিত রহিয়াছে। তিনি “সাতখগু” নামে আর একটা দুৰ্গস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণের উযোগ করিয়াছিলেন । উহার চারিখও নিৰ্ম্মিত হইবার পর তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন, তাহাও ঐরূপে অসমাপ্ত হইয়া রহিয়াছে। তদনন্তর লাখনেীর চতুর্থ রাজা আমৃঙ্গাদ আলীশাহ ( ১৮৪১ খৃষ্টাব্দে ) কাণপুর পর্য্যস্ত পাকারাস্ত, হজরৎ গঞ্জের স্বীয় সমাধিমন্দির ও গোমতীর লৌহসেতু নিৰ্ম্মাণ করান। রাজা গাজি উদ্দীন হাইদার এই সেতু ইংলণ্ড হইতে আনয়ন করিবার আদেশ দেন। উহা এখানে পৌছবার পূর্কেই তাহার মৃত্যু ঘটে। তাহার পুত্র নাসির উদ্দীন রেসিডেন্সীর সম্মুখে উহা স্থাপনের চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু নদীগর্ভে স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ সহজসাধ্য না হওয়ায় সে প্রস্তাব স্থগিত থাকে। অবশেষে আমজাদ আলী তাহার প্রতিষ্ঠা করিয়া যান। অযোধ্যারাজবংশের শেষরাজ ওয়াজিদ আলীশাহ ১৮৪৭ হইতে ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত লাথ নেসিংহাসন অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন । তাছার নিৰ্ম্মিত কৈসরবাগ নামক প্রমোদোদ্যান নগর মধ্যে সৰ্ব্ববৃহৎ ও মনোজ্ঞ অট্টালিকা হইলেও অমার্জিত রুচিনিবন্ধন উহার নিৰ্ম্মিত বলিয়া তিনি সাধারণের নিকট প্রশংসাভাজন হইতে পারেন নাই। ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে উহার কাৰ্য্যারম্ভ এবং ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে উছার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সমাধা হয় । উহাতে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছিল। বেধালয়ের সম্মুখস্থ উত্তরপূৰ্ব্বদ্বার দিয়া প্রবেশ করিলে দর্শক প্রথমে জিলোঁখানা নামক প্রাসাদদ্বার অতিক্রম করিবেন। এই প্রাসাদ হইতে রাজকীয় যাত্রোৎসব সাধিত হইত। এই স্থান হইতে দক্ষিণে ফিরিয়া একটা আচ্ছাদিত দ্বার অতিক্রম করিলে চীনিবাগে আসা যায় । এখানে চীনে কাচের পাত্রাদিতে উদ্যানভাগ অলঙ্কৃত করিয়া রাখিয়াছে। তথা इहेड নপ্পাকৃতি রমণীমূৰ্ত্তিপরিশোভিত একটা প্রবেশদ্বার অতিক্রম করিলে হজরৎবাগে উপনীত হওয়া যায়। ঐ নগ্ন প্রতিকৃতিসমূহ অষ্টাদশ শতাব্দীর অমার্জিত যুরোপীয় রুচিপ্রস্থত। হজরৎবাগের দক্ষিণে