পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাখনৌ t সকলেই কাণপুর অভিমুখে চলিলেন, কেবল সৰ্ব জেমস্ আউট্রমে ৩৫• • সৈন্ত লইয়া অালমবাগ রক্ষা করিতে লাগিলেন, তিনি নগর উদ্ধারের আশা পোষণ করিয়া প্রধান সেনাপতির আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। এই সময়ে অবসর বুঝিয় বিদ্রোহিদল নগরের চতুঃসাম ঘিরিয়া ফেলিল এবং আত্মরক্ষার জন্ত চারিদিক স্ববৃঢ় করিতে লাগিল। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষিত সিপাহী ও ৫০ হাজার ভলাটিয়ার একত্র হইয়া নগরের চারিদকের প্রায় ২০ মাইল স্থান আচ্ছন্ন করিয়াছিল। তাহাদের নিকট ১০০ কামান ছিল । ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের ২রা মার্চ সর কলিন কাম্বেল পুনরায় লাখনেী অভিমুখে যাত্র করলেন। তিনি লিখুস অধিকার করিঃ মাটনিয়ার রক্ষার জন্ত কামান সজ্জিত করিয়া লইলেন । এই ব্রিগেডিয়ার ফ্রাস্ক নেপালরাঞ্জের প্রেরিত ৩ হাজার গোখ । ও ৩ হাজার ইংরাজসৈন্য লইয়া সমুপস্থিত হইলেন, আউট.ম তখন সদলে গোমতী অতিক্রম করিয়া ফৈজাবাদ অভিমুখে যাত্র করিলেন । এই সময়ে সিপাহীদল দক্ষিণপূৰ্ব্ব হইতে র্তাহাকে আক্রমণ করে। এক সপ্তাহ কাল ঘোরতর যুদ্ধের পর (৯ই হইতে ১৫ই পৰ্য্যন্ত ) সিপাহীদল পরাজিত হইল। ইংরাজগণ একে একে তাহদের সমস্ত সুরক্ষিত স্থানই অধিকার করিয়া হইলেন । সিপাহীদল লাখনেী ছাড়িয়া পলায়ন করিল। তখন সেনাপতি কাম্বেল অযোধ্যার সেনাদলকে বিভক্ত করিয়া তাহার সংস্কারকার্য্যে ব্ৰতী হইলেন। উক্ত বর্যের ১৮ই অক্টোবর লর্ড কানিং সন্ত্রীক এখানে আসিয়া ধ্বস্ত নগরের পুনঃসংস্কার কাৰ্য্য সনদর্শন করিয়াছিলেন । এই নগরে নানাপ্রকার শিল্পের বাণিজ্য পরিচালিত হইতেছে, তন্মধ্যে জরি, রেশম ও জহরতের কার্য্যই প্রসিদ্ধ। কএক ঘর কাশ্মীরাবণিক এখানে শাল প্রস্তুতের কারখানা স্থাপন করিয়াছে। কাচের বাসন ও কাগজ প্রস্তুতের কল প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ফতেগড়, দিগ্বিজয়গঞ্জ, সয়াদংগঞ্জ, শাহগঞ্জ, চিকমণ্ডী ও নখাস প্রভৃতি স্থানের বিস্তৃত হাটে স্থানীয় শস্ত, তুল, চৰ্ম্ম প্রভৃতি প্রচুর পরমাণে বিক্রয়াথ আমদানী হইয়া থাকে। শিক্ষাযিভাগে মাটিনেয়ার ব্যতীত লাখনেীর কানিং কলেজ প্রসিদ্ধ। বিভাগীয় কমিশনর শেষোক্ত কলেজের সভাপতি । এতস্থির আমেরিকান মিসনের অধীনে ৭ট ও ইংলিস চার্চ মিসনের অধীনে এটা বিদ্যালয় আছে। হিন্দুস্থানীদিগের বাদ্যযন্ত্র ও সঙ্গীতশিক্ষার জন্ত এখানে অনেক ওস্তাদের অধীনে বিদ্যালয় পরিচালিত হইতেছে। লাথ নেীর দেশীয় রঙ্গমঞ্চ সাধারণের আদরের জিনিস। ঐ রঙ্গালয়ের অভিনীত পুস্তকগুলি ভারতবালী ইংরাজগণের জীবনী লইয়া সাধারণতঃ রচিত। . [ २०२ ] লাখেরী লাখ পতি (দেশজ) ১ ধনশালী ব্যক্তি। নি লক্ষুদ্রার অধিকারী । লাখরাজ (আরবী) নিষ্কর ভূমি, যে জমির কোন খাজনা দিতে श्ध्न नीं } লাখ রাজী (আরবী ) লাখরাজভূক্ত জমি। * লাখেরী, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীবাসী জাতিৰিশেষ। লাক্ষ হইতে চুড়ি প্রভৃতি প্রস্তুত করাই ইহাদের উপজীবিকা । তাহারা বলে যে, তাহদের পূর্বপুরুষগণ মারবাড় হইতে আহ্মদনগর, ধারবাড় প্রভৃতি দাক্ষিণাত্যের প্রধান প্রধান নগরে আসিয়া বাস করিয়াছে। সকলেই হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী। তাহাদের মধ্যে শ্রেণিগত কোমরূপ বিভাগ নাই। এক উপাধিবিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে আদান প্রদান চলে না । বালাজীর প্রতিমূৰ্ত্তি , ও তিরুপতির ব্যঙ্কোবা মূৰ্ত্তিই তাহাদের প্রধান উপাস্ত দেবতা । বিবাহাদিতে তাহারা মদ্যপান করে । রমণীগণ ও বালকের পুরুষের সহিত একত্র চুড়ি প্রস্তুত করে। তাহার স্থানীয় কুম্‌বিদিগের অপেক্ষা সামাজিক মর্যাদায় উচ্চ এবং ব্রাহ্মণদিগের অপেক্ষা হীন । সিমগা, দশের, দিবালী, একাদশী ও শিবরাত্রি পর্বে ইহার উপবাসাদি করিয়া থাকে। জাতকৰ্ম্ম ও অস্ত্যেষ্টি ব্যতীত তাহাদের আর অন্ত কোন সংস্কার নাই। জাতকৰ্ম্ম অনেকটা উচ্চ হিন্দুর মত । বিবাহকার্য্যে রমণীরা মারবাড়ীভাষায় গান করিয়া থাকে। ব্রাহ্মণ আসিয়া সম্প্রদান করে। সিন্দানই বিবাহের প্রধান অঙ্গ । বিবাহন্তে বর কন্যাকে স্বগৃহে লইয়া যায় এবং আত্মীয়কুটুম্বদিগকে একটা ভোজ দেয়। বালিকাবধু ঋতুমতী হইলে তিন দিন অশৌচ থাকে। চতুর্থ দিনে তাহার গাত্রে হরিদ্র লেপন করিয়া উষ্ণ জলে স্নান করান হয়। পরে রমণীরা আসিয়া বালিকার ক্রোড়ে চাউল, নারিকেল, পঞ্চ ফল ও পাণ দিয়া থাকে । তদনন্তর সে স্বামিসহবাস করিতে পায় । একবৎসরের অনধিক বর্ষ বয়স্ক শিশুদিগের মৃত্যু ঘটলে তাহাদিগকে পুতিয়া ফেলে ; তদু সকলেরই দাহের ব্যবস্থা আছে। মৃতের পুত্র বা নিকট আত্মীয় দাহান্তে ক্ষৌরকর্ম করিয়! শুদ্ধ হয়। সেই দিন সে স্বহস্তে পাক করে না । কোন আত্মীয়ের বাটতে খিচুড়ী থাইয়া থাকে। তৃতীয়দিনে তাহার মৃতের ভস্মরাশি একত্র করে এবং দধি ও তপুল খায়। দশদিনে তাহার ব্রাহ্মণ ডাকিয়া মৃতের উদ্দেশে গৃহে বসিয়া পিণ্ড এবং স্বাদশাহে আত্মীয় কুটুম্বদিগকে একটা ভোজ দেয়। ছয় মাসে স্বাগ্মাসিক শ্রান্ধে ও বৎসরাস্তে বাৎসরিক শ্রান্ধেও তাহারা জ্ঞাতিভোজ দিয়া থাকে। মহালয় পক্ষেও তাহারা পিতৃগণের উদ্দেশ্নে শ্ৰাদ্ধ করে। জাতীয় পঞ্চায়ত সামাজিক বিবাদের নিম্পত্তি