পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੱਡੇ [ २०१ ] लांछे এই স্তম্ভগাত্রে দুইট প্রধান ও কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লিপি উৎকীর্ণ আছে। তন্মধ্যে খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৩য় শতাদের শেষভাগে বৌদ্ধসম্রাটু অশোকের প্রশস্তিই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন। উহা পালী অক্ষরে লিঞ্চিত । উহার বর্ণমালা ভারতীয় বর্ণমালার সর্ব প্রাচীন নিদর্শন, এখনও উহার অক্ষরাবলী পরিষ্কার খোদিত রহিয়াছে, কেবল মাত্র দুএকটা স্থানে পাথরের চটা উঠিয়া যাওয়ায় সেই স্থানের লিপি নষ্ট হইয়াছে। উহার শেষভাগে একটা ছাত্র সম্রাট, অশোকের এইরূপ অমুজ্ঞা উৎকীর্ণ আছে —“ধৰ্ম্মের রক্ষা হেতু শিলাস্তম্ভোপরি এই শিলাফলক উৎকীর্ণ কর, যেন ইহা আবহমানকাল বিদ্যমান থাকে।” উহার উপরিভাগের চারিপাশ্বে চরিখানি ও নিম্নে একখানি শিলালিপি দেখা যায় । পূৰ্ব্বমুখী ফলকের শেষ দশ ছত্র ও অন্তান্ত ফলকগুলির লিপি এই দিল্লীস্তম্ভের পার্থক্য জ্ঞাপন করিতেছে । দ্বিতীয় একখানি ফলকে চৌহানরাজ বিশাল (বিগ্রহ) দেবের বিজয়বাৰ্ত্ত উৎকীর্ণ রহিয়াছে। উহ! পাঠে জানা যায় যে, তিনি হিমাদ্রি হইতে বিন্ধ্যগিরি পর্য্যস্ত সমুদায় ভূভাগ একচ্ছত্রাধীন করিয়াছিলেন। চৌহান-রাজবংশের গৌরবজ্ঞাপক এই লিপি দুইখণ্ডে বিভক্ত। উহার অৰ্দ্ধাংশ প্রাচীন অশোকলিপির উপরে এবং শেয়ার্দ্ধ তাহার নিয়ে উৎকীর্ণ। উভয় লিপিখণ্ডেই ১২২০ সংবং লিখিত আছে। নিম্নখণ্ডের বর্ণমালা আধুনিক সংস্কৃত । উগতে লিখিত আছে, শাকম্ভরীরাজ বিশালদেব ১১৬৯ খৃষ্টাব্দে এই শিলাফলক নুতন থোদিত করিয়া দেন। ঐৰূপ আর একটা লাটস্তস্ত মীৰাট হইতে আনীত হইয়া দিল্লীনগরে স্থাপিত হইয়াছিল । সম্রাট অশোক তাহার সুপ্রসিদ্ধ অনুশাসন রাজ্যমধ্যে প্রচারার্থ যে সকল স্তম্ভ স্থাপিত করিয়াছিলেন, তাহাতেই পরবর্তী রাজ্য ও বৈদেশিক ভ্রমণকারিবর্গ আপন আপন বীরকীষ্টি উৎকীর্ণ করিয়া গিয়াছেন, তাহাদের আর নূতন স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণের কষ্টভোগ করিতে হয় নাই । ৪ দিল্লীব লৌহস্তম্ভ—মসজিদের মধ্যস্থলে স্থাপিত। উচ্চতা * ২২ ফিট এবং ব্যাস ১৬ ইঞ্চ। প্রত্নতত্ত্ববিৎ প্রিন্সেন্স উহাকে খৃষ্টীয় ৩য় বা চতুর্থ শতাদে নিৰ্ম্মিত বলিয়া অহমান করেন। উহার গা গ্রন্থ লিপি “কনোজী নাগরী" ও অন্যান্ত মিশ্রবর্ণমালায় লৌহগাত্র খোদিত । ইহাতে হস্তিনাপুর-রাজ্যপহীরক রাজা ধব এবং বালিকাদি জাতির উল্লেখ থাকায় উহাকে খুষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীয় পরবর্তী বলিয়াই মনে হয়। ং নিগমবোধ—যমুনাতীরবর্তী একট তীর্থস্থান, দিল্লী হইতে কএকমাইল দক্ষিণে স্থাপিত । চাদ কবির বিবরণী হইতে জানা যায় যে, চৌহানরাজবংশের গৌরব প্রকাশক একটা স্তম্ভ এখানে বিদ্যমান ছিল । কালবশে উহ নাশ প্রাপ্ত হইয়াছে। ও বারাণসীস্থ অশোকের প্রশস্তিযুক্ত স্তম্ভ। উচ্চতা ৪২ ফিট্‌ ৭ ইঞ্চ । ইহার গাত্রে নানা প্রকার কারুকার্য্য আছে। ৭ গাজিপুরস্তম্ভ-গাজিপুরে স্থাপিত একটী বৌদ্ধস্তম্ভ । উহার বর্ণমালা পূর্ণসংস্কৃত নহে, এই কারণে সাধারণের পক্ষে সহজবোধ্য নহে। ইহার গাত্রে যে শিলাফলক খোদিত আছে, তাহা অালাহাবাদ, দিল্লী প্রভৃতি স্তম্ভের দ্যায় বৌদ্ধস্তম্ভোপরি স্থাপিত হইয়াছে। উহাতে গুপ্তবংশীয় সমুদ্রগুপ্ত হইতে যুবরাজ মহেন্দ্র গুপ্তের নাম পাওয়া যায় । ৮ রূপবাস-শৈলস্তম্ভ-ভরতপুর রাজ্যের রূপবাসবিভাগের একটা গগুশৈলোপরি স্থাপিত । ইহা বেলেপাথরে নিৰ্ম্মিত এবং অসম্পূর্ণ অবস্থায় নিপতিত রহিয়াছে। উহার বৃহৎ দুইটার একের উচ্চতা ৩৩০ ফিটু এবং অপরটর ২২॥০ ফিট । ৯ ধৌলীস্তম্ভ-কটকের ধৌলীগ্রামে অবস্থিত । ইহাতে লাটবর্ণমালা এবং মধ্যে মধ্যে বলভী ও সিওনী লিপির অক্ষরমালা দৃষ্ট হয়। উড়িষ্যা-বিভাগে যে সকল অশোকস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত আছে, তৎসমুদায়ই বেলেপাথরে গঠিত। ১০ জুনরস্তম্ভ--ইহাতে ছুইখানি শিলাফলক উৎকীর্ণ আছে । নানাঘাটের স্তম্ভোপরি উৎকীর্ণ লিপির সহিত দিল্লীস্তম্ভের ও গির্ণর পর্বতস্থ শিলাফলকের সোসাদৃশু আছে। গির্ণরের পাৰ্ব্বত্য-লিপিকে জেমস্ প্রিন্সেপ, পালি বলিয়া অনুমান করেন । লাটলিপি । মহামতি কর্ণেল টড রাজস্থানের প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও স্তম্ভখোদিত লিপিমালা দেখিয মুক্তকণ্ঠে বলিয়াছিলেন, “আগে ইন্দ্রপ্রস্তু, প্রয়াগ, মেবার, জুনাগড়ের শৈলমালা, বিজুলী ও আরাবল্পী শিখরে স্থাপিত স্তস্তাদির, পৰ্ব্ব গুগাত্রপোদিত লিপির এবং ভারতের সব্ব এ প্রতিষ্ঠিত জৈন ও বৌদ্ধমন্দিরাদিতে উৎকীর্ণ শিলাফলকসমূহের প্রকৃত তত্ত্ব অবগত হইতে পারিলে, অবশুই আমরা ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিবৃত্ত আলোচনা করিতে অগ্রসর হইতে পারি।” সেই মহৎ সঙ্গল্পে ব্ৰতী হইয়া মহামতি জেমস প্রিন্সেপ, গভীর গবেষণার সহিত ভারতীয় প্রত্নত ধাতুশালনে যত্নবান হন। তিনি প্রথমে লাটলিপি উদ্ধারে কুতসঙ্কল্প হইয়া পর্যবেক্ষণ করিতে করিতে বুঝিতে পারিলেন যে, উহ! পালী ও সংস্কৃত ভাষার মিশ্রণে গঠিত। উহার বিশেষ্য ও অপরাপর পদগুলি পাপিবিভক্তি ও প্রত্যয়যোগে সাঁধত এব: ক্রিয়াপদ গুলি প্রায় সংস্কৃত হইতে গৃহীত হইয়াছে। ভিলসা স্তস্তেও গুপ্তবংশীয় ফলকাদির অমুরূপ ভাযার প্রয়োগ আছে, তিনিই প্রথমে ভিলস স্তস্তের সংখ্যানিরূপণ দ্বারা কালনির্ণয়