পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাট { مياهه ] লাটিক সমর্থ হইয়াছিলেন। বৌদ্ধস্তম্ভাদিতে পাবিন্যাস দ্বারা কালমান বর্ণিত দেখা যায়। লাটলিপির অক্ষরমালা প্রাচীন ব্রাহ্মীলিপি ভিন্ন আর কিছুই নহে। স্তম্ভোপরি ভিন্ন অন্যত্র ঐন্ধপ বর্ণমালা দৃষ্ট না হওয়ায় উহ লাটলিপি বলিয়াই প্রসিদ্ধ। আফগানস্থানের কপৰ্দ্দগিরির বর্ণমাল উহা অপেক্ষ কিছু বৃহৎ এবং প্রাচীন সেমিতিক-ধরণে { অঙ্কিত ; কিন্তু কটক, দিল্লী, আলাহাবাদ, বেতিয়া, মুলটিয়া ও রাধিয়া প্রভৃতি স্থানের স্তম্ভলিপি ভারতীয় ব্রাহ্মী। উপরে যতগুলি লটিস্তম্ভের কথা বিবৃত হইল, তৎসমুদ্ৰায়ের আকৃতি ভিন্ন ভিন্ন। কোনটা চতুষ্কোণ, কোনটা পলকাটা, কোনুটী বা কোণাকার গোল, ঐ সকলের মধ্যে দিল্লীর ফিরোজস্তম্ভ নামে পরিচিত লাটই সাধারণে সুপরিচিত। উহা একটা উচ্চ অট্টালিকার উপরি স্থাপিত। যে স্থানে এই স্তম্ভ গৃহছাদে সংস্থাপিত হইয়াছে, তথায় উহার পরিধি ১•॥• ফিট, ; উহার ৩৯ ফিট, মন্থণাংশ একখণ্ড কঠিন গোলাকার প্রস্তরে গঠিত। ইহার উপরের লাটলিপি বহুপ্রাচীন এবং নিম্নদেশে অপেক্ষাকৃত পরবর্তিকালের সংস্কৃত অক্ষরে খোদিত আর একখানি শিলাফলক উৎকীর্ণ আছে। অধুনা বৌদ্ধসম্রাট অশোকের প্রতিষ্ঠিত যে চতুর্দশট লাটস্তম্ভ আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহাতে যে সকল রাজামুশাসন বিবৃত আছে, সাধারণের অবগতির জন্ত নিয়ে তাহা উদ্ধত হইল :– অশোকের অমুশাসন ও তাঁহার বিষয় । ১ম-খাম্বার্থে বা যজ্ঞার্থে পশুহিংসার নিষেধ এবং ধৰ্ম্মনীতির পরিবৃন্ধ্যর্থ আদেশ । ২য়—রাজ্যময় আয়ুৰ্ব্বেদশিক্ষা-প্রচার ও বিনামূল্যে দুঃস্থ প্রজাবর্গের চিকিৎসাব্যবস্থা, পথপার্থে কূপখনন ও বৃক্ষরোপণ । ৩য়—প্রিয়দর্শীর রাজত্বকালের দ্বাদশবার্ষিক সমারোহ প্রচার ও পঞ্চমবার্ষিক রাজামুগত্য বা রাজভক্তিপ্রদর্শন । ৪র্থ-প্রিয়দর্শীর রাজত্বকালের বিগত দ্বাদশবাধিক রাজ্যশাসনের সহিত বর্তমান নিৰ্ব্বিরোধ রাজত্বের সামঞ্জস্য প্রচার। ৫ম-বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারার্থ ধৰ্ম্মগুরু ও প্রচারকনিয়োগ । ৬ষ্ঠ-পতিবেদক, রাজ্যরক্ষক, ধৰ্ম্মাধিকরণ প্রভৃতি পদে ব্যক্তিবিশেষকে নিযুক্ত করিয়া রাজ্যের মঙ্গল ব্যবস্থাপ্রচার। ৭ম-বিভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মত পার্থক্যের সামঞ্জস্ত সাধন করিয়া ঐক্য-মত স্থাপনে রাজার আগ্রহঞ্জাপন । ৮ম-পুৰ্ব্ববৰ্ত্তা রাজগণের পার্থিব ভোগবিলাসের সহিত স্বীয় নিরীহ আমোদের পার্থক্যনির্দেশ ও পবিত্রচিন্তু সাধুপুরুষ সন্শন, ভিক্ষাদান ও ধৰ্ম্মগুরু প্রভৃতি মাননীয়গণকে যথাযোগ্য সন্মাননা দানের অনুজ্ঞা । ৯ম-ধৰ্ম্ম ও নীতিবিষয়ক কথা, ধৰ্ম্মমঙ্গল, ধৰ্ম্মসেবীর সুখ, ভিক্ষুকদিগকে দান, সৰ্ব্বজনে দয়া ও গুরুজনদ্বিগের প্রতি মান্তের ফলনির্দেশ ও তাহার কৰ্ত্তব্যতা সম্বন্ধে আদেশপ্রচার। ১•ম-বিশো বা ক্ষিতি বা’ বাদের মীমাংসা, মনিত্য সংসারের অবিস্তাজনিত গর্তের প্রত্যাখ্যান ও জীবন্মুক্তির প্রকৃষ্ট পন্থানির্দেশ । ১১শ–ধৌলী ও গির্ণর প্রশস্তিতে বর্ণিত “ধৰ্ম্মই ঈশ্বরের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ দান ।” ১২শ-বৌদ্ধধৰ্ম্মে অবিশ্বাসীদিগের প্রতি সামুনয়ে মতাङिदाद्धि । ১৪শ—সমগ্র অনুশাসনের সারমর্ম ও সংক্ষিপ্ত উপদেশ। লাটলোড়), কোৱালোক অপদেবতাভো। মক্ষেরে সনার বামিয়া ও কোরেশ জাতি এই দেবতার উপাসনা করিত। লাটক (পুং ) লাটজাতিসম্বন্ধীয়। লাট ডিওঁীর, একজন প্রাচীন কৰি। ক্ষেমেশ্রকৃত স্বভিতিলকে ইহার উল্লেখ আছে। লাটচাৰ্য্য, একজন প্রসিদ্ধ জ্যোতিৰ্ব্বি পণ্ডিত। লাটিক ( স্ত্রী) রতিভেদ। বৈদভী, পাঞ্চালী, গৌড়ী ও লাটিক এই চারিপ্রকার রীতি। মোটামুটি রচনাপদ্ধতিকে রীতি বলা যায়। “লাট তু রীতির্বৈদর্ভপাঞ্চল্যেরস্তরাস্থিতা।” ( সাহিত্যদর্পণ ৯৬২৯ ) বৈদর্ভ ও পাঞ্চালী রীতির মধ্যস্থিতা যে রীতি তাহাকে লাটী কহে । তাৎপর্য্য এই যে, কেবল বৈদভী রীতি অনুসারে রচনা বা পাঞ্চালী রীতি অনুসারে রচনা না হইয়া ইহার মাঝামাঝি ভাবে যে রচনা হইবে, তাহাই লাটরীতি। বৈদর্ভ ও পাঞ্চালী এই উভয় রীতিরই নিয়ম অনুসরণ করিয়া যে রচনা, তাহাই লাটী-রীতি। কাহারও কাহার মতে ইহার লক্ষণ “মৃঢ়পদসমাসস্বভগাযুক্তৈবর্ণৈন চাতিভূয়িষ্ঠ । উচিতবিশেষণপূরিতবস্তুষ্ঠাসা ভবেল্লাটা।” & ( সাহিত্যদ” ৯ পরি” ) এই রীতিতে মৃত্যুমূদ্র পদবিদ্যাস হইবে, অথচ দীর্ঘসমাস বহুল ও যুক্তবর্ণ অধিক না থাকে এবং উচিত বিশেষ দ্বার বস্তু বিদ্যাস হইলে এই রীতি হইবে। এইরূপ ভাবে বিশেষণ প্রয়োগ করিতে হইবে যে, বর্ণনীয় বস্তুর সহিত তাহার সঙ্গতি থাকে। অন্তবিধ লক্ষণ— · "গৌড়ী ডম্বরবন্ধ স্তাৎ বৈদর্ভ ললিতক্রম। পঞ্চালী মিশ্রভাবেণ লাট তু মৃদ্ধভিঃ পদৈঃ "(সাহিত্যদ• ৯পরি) ডম্বরবন্ধযুক্ত রচনা হইলে গৌড়ী রীতি, ললিতপদ বিস্তত্ব