পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লামা بود ه } লামা মুগ্ধ হইলে মঠের নাম-তালিকায় ঐ শিব্যের ও গুরুর নাম লিখিয়া বৃন্ধাঙ্গুলির ছাপ দিয়া রাখেন এবং বালককে একখানি উত্তরীয় পারিতোধিক দেন । তদন স্তর তাহকে শাক্যমুনির সংসারত্যাগ ও সন্ন্যাসশ্রমগ্রহণকালীন বাসধারণের অনুরূপ লাল বা হরিদ্রারঞ্জিত বস্ত্র পরিধান করান হয় । বালক উপাধ্যায়ের পরীক্ষায় লামা ধৰ্ম্মগ্রহণের অনুপযোগী হইলে তাহাকে মঠ হইতে তাড়াইয়া দেওয়া হয় এবং তাহার শিক্ষক দগুনীয় হন। উপাধ্যায় তাহাকে বেত্ৰাঘাত করেন এবং ঐ শিক্ষক মঠে আলোক জালাইবার জন্ত কএক সের মাখম দিতে বাধ্য হন । উপাধ্যায়কর্তৃক অনুমোদিত হইলে,শিক্ষক পুনরায় ঐ বালককে লইয়া মটস্থ জাল-ঙো’ বা শ্রেষ্ঠ লামার নিকট লইয়া যান এবং র্তাহাকেও একখানি উত্তরীয় ও একটা টাকা প্রণামী দিয়া স্বীয় বক্তব্য জ্ঞাপন করেন । শ্রেষ্ঠ লামা তাহাকে মঠবাসের অধিকার ও স্থানদানপূর্বক পুনরায় একখানি খাতায় তাহার নাম লিথিয় রাখেন। এই বালক যদি ভবিষ্যতে কোন অপরাধ করে, তাহা হইলে সে ও তাহার গুব দণ্ডনীয় হইয়া থাকে। জাঙো-লাম কর্তৃক নাম থো হইবার পর, সেই বালক ছাপা পদাভিষিক্ত হইয়া মঠে ফিরিয়া আইসে। অবস্থানুসারে সে সেই মঠের অপরাপর সহাধ্যায়ীদিগকে চ পান করাইয়া থাকে। যদি সেখানে তাহার কোন আত্মীয না থাকে এবং খাদ্যাদি রন্ধনের অসুবিধা ঘটে,তাহা হইলে মঠের ভাণ্ডার হইতে সে খাদ্যাদি পায়। তাহার আত্মীয়রা খাদ্যহিসাবে যাহা কিছু পাঠাইয়া দেন, তাহা তিনভাগ করিয়া তাঙ্গর একভাগ মঠ-ভাণ্ডারে গৃহীত হয় এবং অবশিষ্ট হইতে সে স্তেদ-গগ, ধু যম-ঠ{যস, গজন, জু-গম, যাব-সর, গ্রে-লুগুস প্রভৃপ্তি যতিব উপযোগী বস্থ, পানপত্র, ময়দার থলি ও একছড়া মাল পায়। অন্তঃশর প্রখ্রজাস্ত্ৰত অবলম্বন করিয়া সে যশ দিন না সরাগিবৎ চিবাল্গুষ্ঠান করিতে পারে, ততদিন লে গেংষ্ণু বা শ্রমণগদ গায় না এবং মঠের ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে যোগ দিবার অধিকাপ ২য় সা । ভূপে পদাভিষিক্ত ঘাপক কনিষ্ঠায় গাবাণী হইয়া ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে লিপ্ত হইবার সাশাধ মঠধিকারী শ্রেষ্ঠ মাকু ( দূগেগদে খু-খন পোছে ) স্বীয় অভিলাধ লগা করেন। ঐ সময়ে তাহাকে একখানি উত্তরীয় ও সাধ্যমত অধিক টাকা ( পূৰ্ণাপেক্ষ বেণী ) প্রণামী দিতে হয়। শ্রেষ্ঠ লামার মস্টিনন্দন সমসাবে সে গেৎসুল-পদলাভ করিয়া থাকে। বালককে গেংষুল পদাভিষিক্ত করিতে এটি দিন নির্দিষ্ট হয়। সাধারণতঃ উপোসথ' বা উপবাসদিনই প্রশস্ত। ঐ দিনে তাহার মস্তক মুগুন করিয়া দেওয়া হয়। কেবলমাত্র মধ্যস্থলে একটী শিখা থাকে। তদনন্তর তাহাকে সত্যের প্রধান প্রকোষ্ঠে উপাধ্যায়ের সম্মুখে আনিয়া সন্ন্যাসীর বেশধারণ করান হয়। একটা মন্ত্র পাঠের পর, শ্রেষ্ঠ লামা অথবা মঠাধ্যক্ষ লামা তাহার সন্ন্যাসাশ্রমের একটী স্বতন্ত্র নামকরণ করেন। তৎপরে ঐ বালক সন্ন্যাসধৰ্ম্ম স্বেচ্ছায় ও সানন্দে গ্রহণ করিয়াছে জানাইলে মঠাধিকারী বা দীক্ষাকার্য্যের সময় উপস্থিত লামা সেই শিখা কাটিয়া দেন। তখন সেই গেংষুল ৩৬টা ধৰ্ম্মোপদেশ ও ৩৬টা নিয়ম পালন করিতে বাধ্য হয়। সে প্রধান লামাকে নরদেহী বুদ্ধ বলিয়া জ্ঞান করে এবং তাহার কথিত “আমি বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সত্তেঘর আশ্রম গ্রহণ করিলাম।” এই মহামন্ত্র তিনবার উচ্চারণ পূর্বক অঙ্গীকার করিলে সংস্কারকার্য্য সমাধা হইয়া যায়। সংস্কার-সমাধানাস্তুে সে লামাকে একখানি কাপড় ও ১৯টা টাকা প্রণামী দেয় । এখন হইতে সেই গেংষুল লামাপ্রদত্ত নাম ও উপাধিতে মঠমধ্যে পরিচিত থাকে । ইহার পর তাহাকে সঙ্ঘের দালানে আনিয়া মঠের সহিত তাহার বিবাহরূপ’ একট প্রক্রিয়ার অনুষ্ঠান করা হয় । তখন তাহার মাথায় টোপর এবং হস্তে প্ৰজলিত ধূপ থাকে। তদনন্তর তাহাকে নির্দিষ্ট আসনে বসান হয় । যে বৌদ্ধ যতি এই সময়ে তাহাকে যতিধৰ্ম্মের রীতিনীতি প্রভৃতি শিক্ষা দেয় তিনি বাগ্রাগ, নামে অভিহিত। বজ্রাচার্য্য-সম্প্রদায়ভুক্ত তান্ত্রিক-বৌদ্ধাচাৰ্য্যগণের এই দীক্ষাপ্রথা কতকতা নেপালী "লাঢ়া”দিগের মত । { নেপাল দেখ । ] যতিরূপে দীক্ষিত এবং তৎসাম্প্রদায়িক সমুদায় কৰ্ম্মে অধিকারী হইলেও, সে ড্রাপা বা ছাত্র বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে। এ সময়েও প্রায় ৩ বৎসর কাল তাহাকে বিদ্যাভ্যাস করিতে হয়। তদনন্তর সেই বালক যতিধৰ্ম্মের ‘ঋগ ছ’উন’ শিক্ষাকাল অতিক্রম করে। তাহার পর সে স্বতন্ত্র বাসের জন্য একটী ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ পায়। এইরূপে শিক্ষার পারদর্শিতানুসারে সে পর পা ও গে-লেঙ, ( পূর্ণ যতি) পদে উন্নীত হয়। তিব্বতীয় প্রধান এ ধান সঙ্গারামের অধ্যক্ষ যতিরাই কেবলমাত্র লামা উপাধি লত ফরয থাকেন । 輸 পুণ ছ'উন পদাসীন হইলেও সে শিক্ষাকাল অতিক্রম সিতে পারে স{। এখন হইতে তাহাকে কঠোর পরিশ্রমের মহিত্যু ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদি মধ্যয়ন করিতে হয়। শাস্ত্রালোচনী ব্যতীত সেই শিয্য কোনরূপ শিল্প বা চিত্রবিদ্যা অভ্যাস করিতে পারে। তথম পাঠে অবহেলা করিলে তাহাকে বেত্ৰাঘাত করা হইয়া থাকে। এই সমসে যে আচাৰ্য গেৎসুলকে বৌদ্ধধর্মের গুঢ় রহস্ত উ gদন করিয়া দেন, তিনি ‘তস-বৈ-লামা’ নামে ঐ বালকের নিকট চিরদিন পূজিত হন। এই সময়ে প্রায়ই তাহাদিগকে পরীক্ষা করা হইয়া থাকে।